মার্চপাস্টে ‘রহস্যময়’ তরুণী, বিব্রত ভারত
ছেলেদের পরনে নীল ব্লেজার ও সাদা ট্রাউজার, মাথায় হলুদ রঙের রাজস্থানি পাগড়ি। মেয়েদের পরনে হলুদ শাড়ি ও নীল ব্লেজার। এভাবেই গত শুক্রবার রাতে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মার্চপাস্টে অংশ নেয় ৪০ জন অ্যাথলেট ও ১১ জন কর্মকর্তা নিয়ে গড়া ভারতীয় দল। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু গোল বেধেছে মার্চপাস্টের ভারতীয় দলের সামনে থাকা ‘রহস্যময়’ এক তরুণীকে নিয়ে।
মার্চপাস্টে ভারতের পতাকা হাতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সুশীল কুমার। তাঁর ঠিক ডান পাশ ধরেই হাঁটছিলেন লাল ‘টপস’ ও নীল রঙের জিনস পরিহিত এক তরুণী। অবাক করার ব্যাপার হলো, তিনি ভারতীয় দলের কেউ নন। কেউ তাঁকে চেনেনও না। তাহলে কঠোর নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে এই তরুণী মাঠে প্রবেশ করলেন কীভাবে?
অচেনা এক তরুণীর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী বেশে মার্চপাস্টে অংশ নেওয়ায় ভারতীয় দল বিব্রত, বিস্মিত। এ ঘটনায় লন্ডন অলিম্পিক আয়োজক কমিটিকে ক্ষমা চাইতে বলবে তারা। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, এই তরুণীর কারণে গোটা বিশ্বের কাছে দেশের সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ, তাঁর পোশাক ছিল ভারতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে বেমানান। তা ছাড়া, ওই নারীর পোশাক-আশাক অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম হওয়ায় ক্যামেরার চোখও ছিল তাঁর দিকে!
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভারতীয় দলের শেফ দ্য মিশন পি কে এম রাজা বলেন, ‘অলিম্পিক ভিলেজ থেকে দুই কিলোমিটার হেঁটে আসি আমরা। বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তাতল্লাশির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় কেউ একজন এসে বলে যে সে আমাদের সামনে থাকতে চায়। আমরা ভেবেছিলাম, সে আয়োজক কমিটির কেউ। যখন আমরা হাঁটতে থাকি, ওই নারী হঠাত্ করে আমাদের পতাকাবাহক সুশীল কুমারের পাশ দিয়ে হাঁটতে শুরু করে। সে সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। সে যেভাবে আমাদের দলের ভেতর ঢুকল, আর হাঁটল, তাতে আমরা বিস্মিত। কারণ, মার্চপাস্ট শুধুই অ্যাথলেট এবং দলের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য। এটা লজ্জাজনক যে সে আমাদের সঙ্গে হেঁটেছে।’
খাটো চুলের তরুণীটি দেখতে ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ওই তরুণী ভারতীয় কি না, এ প্রশ্নে রাজা বলেন, ‘সে এশীয় হতে পারে, লাতিন আমেরিকান হতে পারে, আমি জানি না।’
রাজা আরও বলেন, ‘আয়োজক কমিটিকে এ ঘটনায় ক্ষমা চাইতে বলব আমরা। ওই নারী গোটা বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা নত করে দিয়েছে। ভারতীয় দলকে মাত্র ১০ সেকেন্ড দেখানো হয়েছে। আমার মনে হয়, গোটা সময় কেড়ে নিয়েছে ওই নারী।’
এদিকে সেই রহস্যময় তরুণীর পরিচয় মিলেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘টাইমস নাও’। তাঁর নাম মধুরা হানি। ভারতের বেঙ্গালুরুতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে বা কীভাবে তিনি ভারতীয় দলের সঙ্গে মার্চপোস্টে যোগ দিলেন, তা জানা যায়নি। টাইমস নাও-এর প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে ১৫-১৬ জন অ্যাথলেটের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু কেউই ওই তরুণী সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। রয়টার্স।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভারতীয় দলের শেফ দ্য মিশন পি কে এম রাজা বলেন, ‘অলিম্পিক ভিলেজ থেকে দুই কিলোমিটার হেঁটে আসি আমরা। বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তাতল্লাশির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় কেউ একজন এসে বলে যে সে আমাদের সামনে থাকতে চায়। আমরা ভেবেছিলাম, সে আয়োজক কমিটির কেউ। যখন আমরা হাঁটতে থাকি, ওই নারী হঠাত্ করে আমাদের পতাকাবাহক সুশীল কুমারের পাশ দিয়ে হাঁটতে শুরু করে। সে সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। সে যেভাবে আমাদের দলের ভেতর ঢুকল, আর হাঁটল, তাতে আমরা বিস্মিত। কারণ, মার্চপাস্ট শুধুই অ্যাথলেট এবং দলের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য। এটা লজ্জাজনক যে সে আমাদের সঙ্গে হেঁটেছে।’
খাটো চুলের তরুণীটি দেখতে ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ওই তরুণী ভারতীয় কি না, এ প্রশ্নে রাজা বলেন, ‘সে এশীয় হতে পারে, লাতিন আমেরিকান হতে পারে, আমি জানি না।’
রাজা আরও বলেন, ‘আয়োজক কমিটিকে এ ঘটনায় ক্ষমা চাইতে বলব আমরা। ওই নারী গোটা বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা নত করে দিয়েছে। ভারতীয় দলকে মাত্র ১০ সেকেন্ড দেখানো হয়েছে। আমার মনে হয়, গোটা সময় কেড়ে নিয়েছে ওই নারী।’
এদিকে সেই রহস্যময় তরুণীর পরিচয় মিলেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘টাইমস নাও’। তাঁর নাম মধুরা হানি। ভারতের বেঙ্গালুরুতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে বা কীভাবে তিনি ভারতীয় দলের সঙ্গে মার্চপোস্টে যোগ দিলেন, তা জানা যায়নি। টাইমস নাও-এর প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে ১৫-১৬ জন অ্যাথলেটের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু কেউই ওই তরুণী সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। রয়টার্স।
No comments