ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল-দপ্তরবিহীন দুই মন্ত্রী
একই সঙ্গে দুজন মন্ত্রীর দপ্তরবিহীন থাকার বিষয়টি সরকারি অব্যবস্থাপনার ইঙ্গিতবহ। অযোগ্য মন্ত্রীদের বহাল রেখে শুধু মন্ত্রিসভার পরিসর বাড়ানোকেও মানুষ সুনজরে দেখতে পারেনি। এসবের মাধ্যমে সরকার দেশের আমজনতাই শুধু নয়, উন্নয়ন-অংশীদারদের কাছেও ভ্রান্তিকর বার্তা পাঠাচ্ছে।
নানা ক্ষেত্রে সরকারের অদক্ষতা প্রকাশ পেয়ে চলেছে। ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর দুজন সদস্যকে মন্ত্রিত্ব দিতে গিয়ে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী যেন আগপাছ না ভেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়কে ভাগ করা নিয়ে আইনগত জটিলতার খবরও মিলছে। এতে করে সরকার পরিচালনার সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতাকেই স্পষ্ট করেছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব পালন করছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। একসময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা পদাধিকারবলে স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতেন। বর্তমান বিধান হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা স্থায়ী কমিটিগুলোতে পদাধিকারবলে সদস্য। তাঁদের মধ্যে যাঁরা সংসদ সদস্য নন, তাঁরা বৈঠকে অংশ নিলেও ভোটদানে বিরত থাকেন। বর্তমান আইনমন্ত্রী সাংসদ নন। সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় অধিকতর অভিজ্ঞ ও নির্বাচিত ব্যক্তিকে কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া আরেকটি মন্দ নজির হতে পারে। আবার বর্তমান অনির্বাচিত আইনমন্ত্রীকে সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়াও কতটা সমীচীন, তা ভেবে দেখার বিষয়।
সবচেয়ে বড় কথা, এ মন্ত্রণালয় বিভক্তিকরণ উদ্যোগ কি জনস্বার্থে? আমাদের সংসদ পরিচালনাবিষয়ক কোনো আলাপ-আলোচনায় এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি। বরং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগ করে দুই সচিবের পদ সৃষ্টি করা নিয়ে বিতর্ক ছিল। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট মামলা করা হয়েছিল, যা বিচারাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে ওবায়দুল কাদেরকে দিয়ে কোন দায়িত্ব পালন করানো হবে, তা নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বের খবর বেরিয়েছে। শোনা গিয়েছিল, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সড়ক বিভাগ থেকে আলাদা করে এর দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও জটিলতা চলছে। উপরন্তু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সোহেল তাজ ইস্তফা দিলেও তাঁকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করে রাখার বিষয়ে সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করা থেকে বিরত রয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে এটা প্রতীয়মান হতে পারে যে সুশাসনের দাবি পূরণের চেয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হিসাব-নিকাশই বড় প্রভাব ফেলেছে। মন্ত্রিসভা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ভেবেচিন্তেই এগোনো উচিত ছিল।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব পালন করছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। একসময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা পদাধিকারবলে স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতেন। বর্তমান বিধান হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা স্থায়ী কমিটিগুলোতে পদাধিকারবলে সদস্য। তাঁদের মধ্যে যাঁরা সংসদ সদস্য নন, তাঁরা বৈঠকে অংশ নিলেও ভোটদানে বিরত থাকেন। বর্তমান আইনমন্ত্রী সাংসদ নন। সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় অধিকতর অভিজ্ঞ ও নির্বাচিত ব্যক্তিকে কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া আরেকটি মন্দ নজির হতে পারে। আবার বর্তমান অনির্বাচিত আইনমন্ত্রীকে সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়াও কতটা সমীচীন, তা ভেবে দেখার বিষয়।
সবচেয়ে বড় কথা, এ মন্ত্রণালয় বিভক্তিকরণ উদ্যোগ কি জনস্বার্থে? আমাদের সংসদ পরিচালনাবিষয়ক কোনো আলাপ-আলোচনায় এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি। বরং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগ করে দুই সচিবের পদ সৃষ্টি করা নিয়ে বিতর্ক ছিল। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট মামলা করা হয়েছিল, যা বিচারাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে ওবায়দুল কাদেরকে দিয়ে কোন দায়িত্ব পালন করানো হবে, তা নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বের খবর বেরিয়েছে। শোনা গিয়েছিল, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সড়ক বিভাগ থেকে আলাদা করে এর দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও জটিলতা চলছে। উপরন্তু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সোহেল তাজ ইস্তফা দিলেও তাঁকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করে রাখার বিষয়ে সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করা থেকে বিরত রয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিলে এটা প্রতীয়মান হতে পারে যে সুশাসনের দাবি পূরণের চেয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হিসাব-নিকাশই বড় প্রভাব ফেলেছে। মন্ত্রিসভা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ভেবেচিন্তেই এগোনো উচিত ছিল।
No comments