দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত-শিক্ষক, না দুর্বৃত্ত!
সরকারি এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে বাস করেন দুজন শিক্ষক। একজন গণিত পড়ান, অন্যজন পড়ান ইংরেজি। গণিতের শিক্ষকের বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ত সপ্তম শ্রেণীর চার শিক্ষার্থী। গত সপ্তাহে তারা গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়া শুরু করে তাদের ইংরেজির শিক্ষকের কাছে।
চার শিক্ষার্থী এক সপ্তাহ আগে যে পথ দিয়ে গণিতের শিক্ষকের বাড়ি যেত প্রাইভেট পড়তে, সেই পথেই এখন তারা যায় ইংরেজির শিক্ষকের বাড়ি প্রাইভেট পড়তে।
কিন্তু গণিতের শিক্ষক তা সইতে পারলেন না। ইংরেজির শিক্ষকের বাড়ি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথ থেকে ওই চার ছাত্রকে নিজের বাসায় ডেকে নিলেন তিনি। তারপর লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন তাদের। চি ৎ কার শুনে একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এটা কী ধরনের ঘটনা, কী হিসেবে এটাকে আখ্যায়িত করা যায়? গাজীপুরের কালীগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন কী প্রকৃতির মানুষ? গত মঙ্গলবার সপ্তম শ্রেণীর চার ছাত্রের সঙ্গে তিনি যে ব্যবহার করেছেন, তার ব্যাখ্যা কী? তিনি শিক্ষক, না ডাকাত?
এ ঘটনা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এই কিশোরদের কচি মনে কী অভিঘাত রেখে যাবে? শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তারা কীভাবে রক্ষা করবে? কী অপরাধে গণিতের শিক্ষক তাদের মেরেছেন? তারা দুষ্টামি করেছে বলে? তারা পড়া তৈরি করেনি বলে? না, খুবই অশিক্ষকসুলভ কারণে, অনেকটা দুর্বৃত্তের মতো ওই শিক্ষক তাদের আক্রমণ করেছেন।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে; তারপর অভিযুক্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। বিভাগীয় ব্যবস্থায় এই অপরাধের কি কোনো প্রতিকার হবে? ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেও যদি এটি কোনো বড় অপরাধ না হয়, নৈতিক বিচারে একজন শিক্ষকের এই দুর্বৃত্তরূপ অকল্পনীয়। আমরা আশা করব, এ ধরনের শিক্ষকের সংখ্যা বিরল। কিন্তু এই বিরলেরও যেন জায়গা না থাকে, সে উদ্যোগ নিতে হবে অন্য শিক্ষকদের, যাঁরা জাতি গঠনের মহান ও পবিত্র দায়িত্ব উপলব্ধি করেন। অভিযোগ সত্য হলে মো. আমজাদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
কিন্তু গণিতের শিক্ষক তা সইতে পারলেন না। ইংরেজির শিক্ষকের বাড়ি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথ থেকে ওই চার ছাত্রকে নিজের বাসায় ডেকে নিলেন তিনি। তারপর লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন তাদের। চি ৎ কার শুনে একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এটা কী ধরনের ঘটনা, কী হিসেবে এটাকে আখ্যায়িত করা যায়? গাজীপুরের কালীগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মো. আমজাদ হোসেন কী প্রকৃতির মানুষ? গত মঙ্গলবার সপ্তম শ্রেণীর চার ছাত্রের সঙ্গে তিনি যে ব্যবহার করেছেন, তার ব্যাখ্যা কী? তিনি শিক্ষক, না ডাকাত?
এ ঘটনা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এই কিশোরদের কচি মনে কী অভিঘাত রেখে যাবে? শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তারা কীভাবে রক্ষা করবে? কী অপরাধে গণিতের শিক্ষক তাদের মেরেছেন? তারা দুষ্টামি করেছে বলে? তারা পড়া তৈরি করেনি বলে? না, খুবই অশিক্ষকসুলভ কারণে, অনেকটা দুর্বৃত্তের মতো ওই শিক্ষক তাদের আক্রমণ করেছেন।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে; তারপর অভিযুক্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। বিভাগীয় ব্যবস্থায় এই অপরাধের কি কোনো প্রতিকার হবে? ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেও যদি এটি কোনো বড় অপরাধ না হয়, নৈতিক বিচারে একজন শিক্ষকের এই দুর্বৃত্তরূপ অকল্পনীয়। আমরা আশা করব, এ ধরনের শিক্ষকের সংখ্যা বিরল। কিন্তু এই বিরলেরও যেন জায়গা না থাকে, সে উদ্যোগ নিতে হবে অন্য শিক্ষকদের, যাঁরা জাতি গঠনের মহান ও পবিত্র দায়িত্ব উপলব্ধি করেন। অভিযোগ সত্য হলে মো. আমজাদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
No comments