নোটবইয়ের বিশাল বাজার-শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে বন্ধ করতেই হবে
দেশে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে। বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। নানা রকম আইন ও নিয়মকানুন করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে শিক্ষার মান কতটা বেড়েছে, তা এখনো প্রশ্নসাপেক্ষ। শিক্ষার্থীরা যাতে মূল টেঙ্ট বই পড়ে বা প্রকৃত জ্ঞান আহরণ করে, সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনেক আগেই নোট ও গাইডবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
ফলে নোট ও গাইডের উৎপাদন, বিতরণসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া এখন নিষিদ্ধ বা অবৈধ। কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যায়? বাংলাদেশের এমন কোনো প্রান্ত নেই, যেখানে অবৈধ নোট ও গাইড বই বিক্রি হচ্ছে না। কালের কণ্ঠে (১১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে। খোদ রাজধানীর বাংলাবাজারে অর্ধশতাধিক প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ্যে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেসব দেখেও না দেখার ভান করছে। আর মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও এ ব্যাপারে নির্বিকার। চিঠি দিয়েই তারা তাদের দায়িত্ব শেষ করছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই নোট এবং গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি সবচেয়ে বেশি। এসব শিক্ষার্থীর অধিকাংশ অভিভাবকই আর্থিকভাবে সচ্ছল নন। তার পরও তাঁরা কেন তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ খরচ করে সন্তানের হাতে অবৈধ নোট বই তুলে দেন_তা আমাদের জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে কেবল আদেশ-নির্দেশের মাধ্যমে নোটবই বন্ধ করা যাবে না। যতদূর জানা যায়, অনেক শিক্ষকই এখনো সৃজনশীল পদ্ধতি বা পরিবর্তিত শিক্ষাপদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বা অভ্যস্ত হতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। যেখানে ছয় মাস প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল, সেখানে মাত্র তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক স্কুলে শ্রেণীকক্ষের পাঠদানও পর্যাপ্ত নয়, পাঠ্যক্রমও শেষ হয় না। এমনও অভিযোগ আছে, অনেক শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পড়ান না এবং ছাত্রদের বাধ্য করেন কোচিংয়ে যেতে। কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবকের পক্ষেই সেই অর্থ জোগানো সম্ভব হয় না, তখন তাঁরা সন্তানের হাতে গাইড তুলে দিয়েই হয়তো সান্ত্বনা খোঁজেন। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শিক্ষকরাও ছাত্রদের উৎসাহিত করেন গাইড কিনতে এবং তাঁরা নিজেরাই নির্দিষ্ট প্রকাশনা সংস্থার বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিনা মূল্যে গাইড সংগ্রহ করেন। কোথাও কোথাও অর্থ লেনদেনের অভিযোগও আছে। নোটবই ও গাইডের অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কার্যত সরকারের কোনো প্রচেষ্টাই দেখা যায় না। এভাবেই কি আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি?
নোট বা গাইড বইয়ে কেবল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থাকে। মূল বিষয়টি না বুঝলে প্রশ্নের উত্তরটিও বোঝা যাবে না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা উত্তরটি শুধু মুখস্থ করে। এতে ওই বিষয়ের প্রকৃত জ্ঞান সে অর্জন করতে পারে না এবং তার সৃজনশীলতার বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয়। একই প্রশ্ন একটু ঘুরিয়ে করলে বা প্রশ্নের সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ করে দিলে তখন আর সেই শিক্ষার্থী উত্তর দিতে পারে না। কাজেই শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য যেকোনো উপায়ে হোক, নোট ও গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে এসব প্রকাশনা সংস্থা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষে মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই নোট এবং গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি সবচেয়ে বেশি। এসব শিক্ষার্থীর অধিকাংশ অভিভাবকই আর্থিকভাবে সচ্ছল নন। তার পরও তাঁরা কেন তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ খরচ করে সন্তানের হাতে অবৈধ নোট বই তুলে দেন_তা আমাদের জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে কেবল আদেশ-নির্দেশের মাধ্যমে নোটবই বন্ধ করা যাবে না। যতদূর জানা যায়, অনেক শিক্ষকই এখনো সৃজনশীল পদ্ধতি বা পরিবর্তিত শিক্ষাপদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বা অভ্যস্ত হতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। যেখানে ছয় মাস প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল, সেখানে মাত্র তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক স্কুলে শ্রেণীকক্ষের পাঠদানও পর্যাপ্ত নয়, পাঠ্যক্রমও শেষ হয় না। এমনও অভিযোগ আছে, অনেক শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পড়ান না এবং ছাত্রদের বাধ্য করেন কোচিংয়ে যেতে। কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবকের পক্ষেই সেই অর্থ জোগানো সম্ভব হয় না, তখন তাঁরা সন্তানের হাতে গাইড তুলে দিয়েই হয়তো সান্ত্বনা খোঁজেন। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শিক্ষকরাও ছাত্রদের উৎসাহিত করেন গাইড কিনতে এবং তাঁরা নিজেরাই নির্দিষ্ট প্রকাশনা সংস্থার বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিনা মূল্যে গাইড সংগ্রহ করেন। কোথাও কোথাও অর্থ লেনদেনের অভিযোগও আছে। নোটবই ও গাইডের অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কার্যত সরকারের কোনো প্রচেষ্টাই দেখা যায় না। এভাবেই কি আমরা শিক্ষার মানোন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি?
নোট বা গাইড বইয়ে কেবল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থাকে। মূল বিষয়টি না বুঝলে প্রশ্নের উত্তরটিও বোঝা যাবে না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা উত্তরটি শুধু মুখস্থ করে। এতে ওই বিষয়ের প্রকৃত জ্ঞান সে অর্জন করতে পারে না এবং তার সৃজনশীলতার বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয়। একই প্রশ্ন একটু ঘুরিয়ে করলে বা প্রশ্নের সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ করে দিলে তখন আর সেই শিক্ষার্থী উত্তর দিতে পারে না। কাজেই শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য যেকোনো উপায়ে হোক, নোট ও গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে এসব প্রকাশনা সংস্থা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষে মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে।
No comments