সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের নতুন আইন করা হচ্ছে
দেশে সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। এই আইনের আওতায় সমাজসেবার নাম ভাঙিয়ে অন্য কোনো ব্যবসা করা যাবে না। অর্থাৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কথা বলে নিবন্ধন নিয়ে কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান গঠন করা যাবে না।
সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন পেতে এর উদ্যোক্তাদের আয়কর প্রদানকারী ব্যক্তি হতে হবে। পেশাগত পরিচয়ও থাকতে হবে তাঁদের।
এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে ১৫০ বছরের পুরোনো বিদ্যমান সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন আইনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘সামাজিক সংগঠন (গঠন, নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১১’।
আইনটির খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানান, আগে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের কোনো হাতিয়ার ছিল না। ফলে ছিল না এসব সংগঠনের কোনো জবাবদিহিও। জবাবদিহির বিধান রেখে নতুন আইনটি তুলনামূলক কঠোর করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যের সঙ্গে কার্যক্রমের মিল থাকলেই পরিচালনা করতে দেওয়া হবে সংগঠনকে। সংশোধিত আইনে কী উদ্দেশ্যে সোসাইটি গঠন করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত করার আগে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক কার্যালয় (রেজসকো) প্রতিনিধি নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় পর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইনের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমের কোনো মিল নেই। অনেকে সোসাইটির নিবন্ধন নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার নিবন্ধন নিয়েই এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নেমে পড়েছে ব্যবসায়। ওই সব ব্যবসায়ের লাভ-লোকসানের চিত্র বা বার্ষিক প্রতিবেদন রেজসকোতে জমা হওয়ার বিধান থাকলেও, বাস্তবে কেউ তা জমা দেয় না।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, এসব কর্মকাণ্ডের খবর সরকার জানে। কিন্তু আইনে কাঠোর কোনো শাস্তির বিধান না থাকায় লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। আবার দেশে এত বেশি সামাজিক সংগঠন হয়ে গেছে যে, এগুলোর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এবং লোকবলও রেজসকোর নেই।
কী পরিমাণ প্রতিষ্ঠান আইন লঙ্ঘন করছে বা সোসাইটি নাম নিয়ে এনজিও কার্যক্রম চালাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্যও নেই রেজসকোর কাছে।
যোগাযোগ করা হলে বিদ্যমান সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইনের ব্যাপক অপব্যবহার হওয়ার কথা প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন নিবন্ধক আহমেদুর রহিম। তিনি বলেন, মতামতের জন্য আইনের খসড়াটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের মতামতের পর বিষয়টি যাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মন্ত্রিসভায় পাস হলে তারপর যাবে তা সংসদে। নতুন আইন পাস হলে দেশের সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ভলান্টারি অর্গানাইজেশন রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের মাধ্যমেও সোসাইটির নিবন্ধন নেওয়া যায়। অনেকে আবার সোসাইটির নিবন্ধন নিয়ে থাকেন ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট আইনের আওতায়। কিন্তু সহজলভ্যতার কারণে বেশির ভাগ সোসাইটিরই নিবন্ধন হয়ে থাকে রেজসকোতে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘সামাজিক সংগঠন (গঠন, নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১১’-এর খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। মতামত দেওয়ার জন্য আইনটির খসড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ‘লেটেস্ট নিউজ অ্যান্ড কমেন্টস’ নামক পৃষ্ঠায় সংযোজন করা হয়েছে।
সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১২৩ নম্বর কক্ষে পরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন বরাবর চিঠি পাঠিয়ে; অথবা ০২-৭১৬১৬৭৯ নম্বরে ফোন করে; অথবা dto@mincom.gov.bd ঠিকানায় ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত দেওয়া যাবে।
সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন পেতে এর উদ্যোক্তাদের আয়কর প্রদানকারী ব্যক্তি হতে হবে। পেশাগত পরিচয়ও থাকতে হবে তাঁদের।
এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে ১৫০ বছরের পুরোনো বিদ্যমান সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন আইনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘সামাজিক সংগঠন (গঠন, নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১১’।
আইনটির খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানান, আগে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের কোনো হাতিয়ার ছিল না। ফলে ছিল না এসব সংগঠনের কোনো জবাবদিহিও। জবাবদিহির বিধান রেখে নতুন আইনটি তুলনামূলক কঠোর করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যের সঙ্গে কার্যক্রমের মিল থাকলেই পরিচালনা করতে দেওয়া হবে সংগঠনকে। সংশোধিত আইনে কী উদ্দেশ্যে সোসাইটি গঠন করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত করার আগে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক কার্যালয় (রেজসকো) প্রতিনিধি নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় পর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইনের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমের কোনো মিল নেই। অনেকে সোসাইটির নিবন্ধন নিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার নিবন্ধন নিয়েই এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নেমে পড়েছে ব্যবসায়। ওই সব ব্যবসায়ের লাভ-লোকসানের চিত্র বা বার্ষিক প্রতিবেদন রেজসকোতে জমা হওয়ার বিধান থাকলেও, বাস্তবে কেউ তা জমা দেয় না।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, এসব কর্মকাণ্ডের খবর সরকার জানে। কিন্তু আইনে কাঠোর কোনো শাস্তির বিধান না থাকায় লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। আবার দেশে এত বেশি সামাজিক সংগঠন হয়ে গেছে যে, এগুলোর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এবং লোকবলও রেজসকোর নেই।
কী পরিমাণ প্রতিষ্ঠান আইন লঙ্ঘন করছে বা সোসাইটি নাম নিয়ে এনজিও কার্যক্রম চালাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্যও নেই রেজসকোর কাছে।
যোগাযোগ করা হলে বিদ্যমান সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইনের ব্যাপক অপব্যবহার হওয়ার কথা প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন নিবন্ধক আহমেদুর রহিম। তিনি বলেন, মতামতের জন্য আইনের খসড়াটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের মতামতের পর বিষয়টি যাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মন্ত্রিসভায় পাস হলে তারপর যাবে তা সংসদে। নতুন আইন পাস হলে দেশের সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ভলান্টারি অর্গানাইজেশন রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের মাধ্যমেও সোসাইটির নিবন্ধন নেওয়া যায়। অনেকে আবার সোসাইটির নিবন্ধন নিয়ে থাকেন ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট আইনের আওতায়। কিন্তু সহজলভ্যতার কারণে বেশির ভাগ সোসাইটিরই নিবন্ধন হয়ে থাকে রেজসকোতে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘সামাজিক সংগঠন (গঠন, নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১১’-এর খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। মতামত দেওয়ার জন্য আইনটির খসড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ‘লেটেস্ট নিউজ অ্যান্ড কমেন্টস’ নামক পৃষ্ঠায় সংযোজন করা হয়েছে।
সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১২৩ নম্বর কক্ষে পরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন বরাবর চিঠি পাঠিয়ে; অথবা ০২-৭১৬১৬৭৯ নম্বরে ফোন করে; অথবা dto@mincom.gov.bd ঠিকানায় ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত দেওয়া যাবে।
No comments