ভারতকে আল-কায়েদার চেয়ে বড় হুমকি মনে করে পাকিস্তানিরা
পাকিস্তানের অধিকাংশ নাগরিক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার চেয়ে ভারতকে তাদের দেশের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করে। একইভাবে ভারতীয়রাও পাকিস্তানকে তাদের দেশের জন্য হুমকি বিবেচনা করে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপের ফলাফলে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জরিপে আরও দেখা গেছে, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যায় মার্কিন গোপন অভিযানে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানিরা। তারা এ হত্যাকাণ্ডকে খারাপ দিক হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে মাত্র ১৪ শতাংশ নাগরিক এ হত্যাকাণ্ডের পক্ষে মত দিয়ে বলেছে, এটা ভালো হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ভারত, আল-কায়েদা ও তালেবানের মধ্যে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি কে—এই প্রশ্নের জবাবে ৫৭ শতাংশ পাকিস্তানি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের কথা বলেছে। পাকিস্তানিদের মধ্যে ভারত-বিদ্বেষ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। প্রতি চারজনের তিনজন (৭৫ শতাংশ) ভারতের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে, যা পাঁচ বছর আগের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
তবে একই সঙ্গে প্রতি ১০ জনের সাতজন পাকিস্তানি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ভবিষ্যতে আলোচনাকে সমর্থন করে তারা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিকে ভালো দিক বলে মনে করছে।
একইভাবে জরিপে অংশ নেওয়া ৬৫ শতাংশ ভারতীয় পাকিস্তানের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে। পাকিস্তানকে সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে ৪৫ শতাংশ ভারতীয়। তবে পাকিস্তানের মতো ভারতের নাগরিকেরাও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন দেখতে চায়। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টিও সমর্থন করে বেশির ভাগ ভারতীয়।
জরিপে অংশ নেওয়া অনেক পাকিস্তানি ওসামা বিন লাদেন হত্যায় মার্কিন অভিযানকে নেতিবাচক হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, এর ফলে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যকার উত্তেজনাকর সম্পর্কে আরও প্রভাব পড়বে।
জরিপে আরও দেখা যায়, ১২ শতাংশ পাকিস্তানি আল-কায়েদা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে। ২০১০ সালে এই হার ছিল ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া ২৭ শতাংশ লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং পাকিস্তানভিত্তিক আরেক জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান ও আফগানিস্তানভিত্তিক তালেবানকে সমর্থন করে ১২ শতাংশ। তবে এ ক্ষেত্রেও আগের চেয়ে হার কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে মাত্র ১২ শতাংশ পাকিস্তানি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। ৮ শতাংশ বলেছে, বিশ্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পাকিস্তানিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের চেয়ে ওবামার জনপ্রিয়তা কম।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপের ফলাফলে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জরিপে আরও দেখা গেছে, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যায় মার্কিন গোপন অভিযানে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানিরা। তারা এ হত্যাকাণ্ডকে খারাপ দিক হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে মাত্র ১৪ শতাংশ নাগরিক এ হত্যাকাণ্ডের পক্ষে মত দিয়ে বলেছে, এটা ভালো হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ভারত, আল-কায়েদা ও তালেবানের মধ্যে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি কে—এই প্রশ্নের জবাবে ৫৭ শতাংশ পাকিস্তানি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের কথা বলেছে। পাকিস্তানিদের মধ্যে ভারত-বিদ্বেষ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। প্রতি চারজনের তিনজন (৭৫ শতাংশ) ভারতের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে, যা পাঁচ বছর আগের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
তবে একই সঙ্গে প্রতি ১০ জনের সাতজন পাকিস্তানি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ভবিষ্যতে আলোচনাকে সমর্থন করে তারা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিকে ভালো দিক বলে মনে করছে।
একইভাবে জরিপে অংশ নেওয়া ৬৫ শতাংশ ভারতীয় পাকিস্তানের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে। পাকিস্তানকে সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে ৪৫ শতাংশ ভারতীয়। তবে পাকিস্তানের মতো ভারতের নাগরিকেরাও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন দেখতে চায়। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টিও সমর্থন করে বেশির ভাগ ভারতীয়।
জরিপে অংশ নেওয়া অনেক পাকিস্তানি ওসামা বিন লাদেন হত্যায় মার্কিন অভিযানকে নেতিবাচক হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, এর ফলে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যকার উত্তেজনাকর সম্পর্কে আরও প্রভাব পড়বে।
জরিপে আরও দেখা যায়, ১২ শতাংশ পাকিস্তানি আল-কায়েদা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে। ২০১০ সালে এই হার ছিল ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া ২৭ শতাংশ লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং পাকিস্তানভিত্তিক আরেক জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান ও আফগানিস্তানভিত্তিক তালেবানকে সমর্থন করে ১২ শতাংশ। তবে এ ক্ষেত্রেও আগের চেয়ে হার কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে মাত্র ১২ শতাংশ পাকিস্তানি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। ৮ শতাংশ বলেছে, বিশ্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পাকিস্তানিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের চেয়ে ওবামার জনপ্রিয়তা কম।
No comments