পিস্টোরিয়াসের হৃদয়জুড়ে স্টিনক্যাম্প!
বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে গুলি করে মেরেছেন। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে অস্কার পিস্টোরিয়াসের বিরুদ্ধে। তবে সিএনএনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে পিস্টোরিয়াসের চাচা জানিয়েছেন, স্টিনক্যাম্পকে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারেননি বিশ্বের পা-বিহীন দ্রুততম মানব। হত্যার অভিযোগে মামলায় জামিনে থাকা পিস্টোরিয়াস সারাক্ষণ স্টিনক্যাম্পের ছবি নিয়ে পড়ে থাকেন।
সম্পর্কে চাচা হলেও আরনল্ড পিস্টোরিয়াস একই সঙ্গে পিস্টোরিয়াসের এজেন্ট ও কোচ। জামিন পাওয়ার পর তিন মাস ধরে তাঁর বাড়িতেই আছেন এই অ্যাথলেট। পিস্টোরিয়াসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আরনল্ড জানান, স্টিনক্যাম্পকে হারিয়ে পিস্টোরিয়াসের হৃদয় ভেঙে গেছে। তাঁর কেবলই মনে হয়, জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে গুলি করে মেরেছেন তিনি। এই বাস্তবতা নিয়ে তাঁকে গোটা জীবন কাটাতে হবে। এখন সারাক্ষণ নিজের চারপাশে বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পের ছবি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন পিস্টোরিয়াস।
আগামী মঙ্গলবার পিস্টোরিয়াসকে প্রিটোরিয়ার আদালতে হাজির করা হবে। ভাতিজার জন্য তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে জানিয়ে আরনল্ড বলেন, ‘পিস্টোরিয়াস ঘরের ভেতরেই দিন-রাত পার করছে; বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না। সে দাড়ি রেখেছে, যেন তাকে দেখে কেউ চিনতে না পারে। আপনার ভালোবাসার মানুষ মারা গেলে আপনি কেমন অনুভব করবেন? আর তার মৃত্যুটা যদি আপনার কারণেই হয়? এটা অচিন্তনীয়।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের ভোরে প্রিটোরিয়ায় পিস্টোরিয়াসের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্টিনক্যাম্প। ২৯ বছর বয়সী স্টিনক্যাম্পের লাশের পাশেই একটি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া যায়। ওই পিস্তলের চারটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে। ঘটনার পরপরই বাড়িটি ঘেরাও করে পিস্টোরিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৬ বছর বয়সী পিস্টোরিয়াসের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত হত্যা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য আদালতে লিখিত জবানবন্দিতে দক্ষিণ আফ্রিকান এই অ্যাথলেট দাবি করেন, তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁর ঘরে অনাহূত কোনো চোর বা ডাকাত ঢুকেছে। সেটা ভেবেই গুলি চালিয়েছিলেন। তবে পিস্টোরিয়াসের এক প্রতিবেশী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই রাতে পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী স্টিনক্যাম্পের ঝগড়াঝাটির শোরগোল পাওয়া যাচ্ছিল। এর পরই শোনা যায় গুলির শব্দ।
আদালতে হত্যার অভিযোগ পড়ে শোনানোর সময় ম্যাজিস্ট্রেট ডেসমন্ড নাইরের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন পিস্টোরিয়াস। একপর্যায়ে দুই হাতে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। এর এক সপ্তাহ পর ডেসমন্ড নাইর পিস্টোরিয়াসের জামিন মঞ্জুর করলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও ভক্তরা। তবে এ সময় নির্বিকার ছিলেন বিশ্বের পা-হীন দ্রুততম মানব।
স্টিনক্যাম্প ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মডেলিং জগতে পরিচিত এক মুখ। পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় গত বছরের নভেম্বরে। আইন বিষয়ে স্নাতক পোর্ট এলিজাবেথের এই স্টিনক্যাম্প মারা যাওয়ার আগে দেশটির ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে পিস্টোরিয়াসকে ‘নিষ্কলুষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
সম্পর্কে চাচা হলেও আরনল্ড পিস্টোরিয়াস একই সঙ্গে পিস্টোরিয়াসের এজেন্ট ও কোচ। জামিন পাওয়ার পর তিন মাস ধরে তাঁর বাড়িতেই আছেন এই অ্যাথলেট। পিস্টোরিয়াসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আরনল্ড জানান, স্টিনক্যাম্পকে হারিয়ে পিস্টোরিয়াসের হৃদয় ভেঙে গেছে। তাঁর কেবলই মনে হয়, জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে গুলি করে মেরেছেন তিনি। এই বাস্তবতা নিয়ে তাঁকে গোটা জীবন কাটাতে হবে। এখন সারাক্ষণ নিজের চারপাশে বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পের ছবি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন পিস্টোরিয়াস।
আগামী মঙ্গলবার পিস্টোরিয়াসকে প্রিটোরিয়ার আদালতে হাজির করা হবে। ভাতিজার জন্য তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে জানিয়ে আরনল্ড বলেন, ‘পিস্টোরিয়াস ঘরের ভেতরেই দিন-রাত পার করছে; বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না। সে দাড়ি রেখেছে, যেন তাকে দেখে কেউ চিনতে না পারে। আপনার ভালোবাসার মানুষ মারা গেলে আপনি কেমন অনুভব করবেন? আর তার মৃত্যুটা যদি আপনার কারণেই হয়? এটা অচিন্তনীয়।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের ভোরে প্রিটোরিয়ায় পিস্টোরিয়াসের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্টিনক্যাম্প। ২৯ বছর বয়সী স্টিনক্যাম্পের লাশের পাশেই একটি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া যায়। ওই পিস্তলের চারটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে। ঘটনার পরপরই বাড়িটি ঘেরাও করে পিস্টোরিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৬ বছর বয়সী পিস্টোরিয়াসের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত হত্যা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য আদালতে লিখিত জবানবন্দিতে দক্ষিণ আফ্রিকান এই অ্যাথলেট দাবি করেন, তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁর ঘরে অনাহূত কোনো চোর বা ডাকাত ঢুকেছে। সেটা ভেবেই গুলি চালিয়েছিলেন। তবে পিস্টোরিয়াসের এক প্রতিবেশী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই রাতে পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী স্টিনক্যাম্পের ঝগড়াঝাটির শোরগোল পাওয়া যাচ্ছিল। এর পরই শোনা যায় গুলির শব্দ।
আদালতে হত্যার অভিযোগ পড়ে শোনানোর সময় ম্যাজিস্ট্রেট ডেসমন্ড নাইরের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন পিস্টোরিয়াস। একপর্যায়ে দুই হাতে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। এর এক সপ্তাহ পর ডেসমন্ড নাইর পিস্টোরিয়াসের জামিন মঞ্জুর করলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও ভক্তরা। তবে এ সময় নির্বিকার ছিলেন বিশ্বের পা-হীন দ্রুততম মানব।
স্টিনক্যাম্প ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মডেলিং জগতে পরিচিত এক মুখ। পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় গত বছরের নভেম্বরে। আইন বিষয়ে স্নাতক পোর্ট এলিজাবেথের এই স্টিনক্যাম্প মারা যাওয়ার আগে দেশটির ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে পিস্টোরিয়াসকে ‘নিষ্কলুষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
No comments