গাদ্দাফি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন না
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন না। তবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছেন। গত সোমবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির সঙ্গে বৈঠকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা এ কথা জানান।
প্রেসিডেন্ট জুমা লিবিয়া ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক জোট ন্যাটো ত্রিপোলির বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) পক্ষে শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে ত্রিপোলি যান প্রেসিডেন্ট জুমা। গাদ্দাফির সঙ্গে বৈঠকের পর জুমা বলেন, ন্যাটো লিবিয়ায় বিমান হামলা বন্ধ করলে গাদ্দাফি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে রাজি আছেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করবেন না। জ্যাকব জুমা আরও বলেন, লিবিয়ায় সংঘাত বন্ধে এইউর রূপরেখা বাস্তবায়নে গাদ্দাফি প্রস্তুত আছেন। তিনি জানান, গাদ্দাফি লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে দেশটির জনগণকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেন।
প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন, ‘লিবিয়ার বর্তমান সংকট সমাধানে দেশটির জনগণকে একটি সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’
তবে গাদ্দাফির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আবারও নাকচ করে দিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাথি বাজা বেনগাজিতে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। এখন আমরা কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি না। আর গাদ্দাফির এ প্রস্তাব তাঁর ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশলমাত্র।’ তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
এর আগেই এইউর পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ন্যাটো ও লিবিয়ার বিদ্রোহীরা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এইউর পরিকল্পনায় গাদ্দাফির ক্ষমতা ছাড়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জুমা ত্রিপোলি ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর ন্যাটো বোমা হামলা চালিয়েছে। তাজুরা, আল জাফরাসহ বিভিন্ন স্থানে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়।
পক্ষত্যাগ: গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করেছেন শতাধিক সামরিক কর্মকর্তা। ইতালির রাজধানী রোমে গত সোমবার লিবিয়ার ঊর্ধ্বতন আটজন সামরিক কর্মকর্তা জানান, তাঁরাসহ কমপক্ষে ১২০ সামরিক কর্মকর্তার একটি দল সম্প্রতি গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করেছে। গাদ্দাফির সেনাদের ক্ষমতার মাত্র বিশ শতাংশ অবশিষ্ট রয়েছে।
ইতালি সরকারের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়া সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঁচজন জেনারেল, দুজন কর্নেল ও একজন মেজর পদমর্যাদার।
আট কর্মকর্তার একজন জেনারেল উন আলী উন বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর যা ঘটছে, তা আমাদের আতঙ্কিত করেছে। লিবিয়ায় যা ঘটছে তা হলো গণহত্যা...নারীর প্রতি সহিংসতা। আমরা যা নিজ চোখে দেখেছি এবং আমাদের যা করতে নির্দেশ দেওয়া হতো, তা কোনো বিবেকবান মানুষ করতে পারে না।’
গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করা লিবিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুর রহমান শালগাম জানান, সম্প্রতি গাদ্দাফিকে ছেড়ে যাওয়া ১২০ জন সামরিক কর্মকর্তা এখন লিবিয়ার বাইরে অবস্থান করছেন।
প্রেসিডেন্ট জুমা লিবিয়া ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক জোট ন্যাটো ত্রিপোলির বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) পক্ষে শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে ত্রিপোলি যান প্রেসিডেন্ট জুমা। গাদ্দাফির সঙ্গে বৈঠকের পর জুমা বলেন, ন্যাটো লিবিয়ায় বিমান হামলা বন্ধ করলে গাদ্দাফি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে রাজি আছেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করবেন না। জ্যাকব জুমা আরও বলেন, লিবিয়ায় সংঘাত বন্ধে এইউর রূপরেখা বাস্তবায়নে গাদ্দাফি প্রস্তুত আছেন। তিনি জানান, গাদ্দাফি লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে দেশটির জনগণকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেন।
প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন, ‘লিবিয়ার বর্তমান সংকট সমাধানে দেশটির জনগণকে একটি সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’
তবে গাদ্দাফির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আবারও নাকচ করে দিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাথি বাজা বেনগাজিতে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। এখন আমরা কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি না। আর গাদ্দাফির এ প্রস্তাব তাঁর ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশলমাত্র।’ তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
এর আগেই এইউর পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ন্যাটো ও লিবিয়ার বিদ্রোহীরা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এইউর পরিকল্পনায় গাদ্দাফির ক্ষমতা ছাড়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জুমা ত্রিপোলি ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর ন্যাটো বোমা হামলা চালিয়েছে। তাজুরা, আল জাফরাসহ বিভিন্ন স্থানে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়।
পক্ষত্যাগ: গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করেছেন শতাধিক সামরিক কর্মকর্তা। ইতালির রাজধানী রোমে গত সোমবার লিবিয়ার ঊর্ধ্বতন আটজন সামরিক কর্মকর্তা জানান, তাঁরাসহ কমপক্ষে ১২০ সামরিক কর্মকর্তার একটি দল সম্প্রতি গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করেছে। গাদ্দাফির সেনাদের ক্ষমতার মাত্র বিশ শতাংশ অবশিষ্ট রয়েছে।
ইতালি সরকারের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়া সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঁচজন জেনারেল, দুজন কর্নেল ও একজন মেজর পদমর্যাদার।
আট কর্মকর্তার একজন জেনারেল উন আলী উন বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর যা ঘটছে, তা আমাদের আতঙ্কিত করেছে। লিবিয়ায় যা ঘটছে তা হলো গণহত্যা...নারীর প্রতি সহিংসতা। আমরা যা নিজ চোখে দেখেছি এবং আমাদের যা করতে নির্দেশ দেওয়া হতো, তা কোনো বিবেকবান মানুষ করতে পারে না।’
গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করা লিবিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুর রহমান শালগাম জানান, সম্প্রতি গাদ্দাফিকে ছেড়ে যাওয়া ১২০ জন সামরিক কর্মকর্তা এখন লিবিয়ার বাইরে অবস্থান করছেন।
No comments