চট্টগ্রামেও লাল-সবুজের মেলা
হোটেল পেনিনসুলা থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়ক একেবারে সুনসান! নাগরিক যান, টেম্পো ইত্যাদি চলাচল নিষিদ্ধ। অন্যদিনের মতো তাই কাল আর এ দিকটায় নাগরিক জীবনে ভোগান্তি নেই। অল্প যে গাড়ি চলেছে, সবই বিশ্বকাপ ভেন্যুমুখী। তার মধ্যে ছিল দুই দলের ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসও।
সড়কের দুই পাশে লাল-সবুজের যেন সমাহার। বৈদ্যুতিক বাতিতে লাল-সবুজ, সিএনজি অটোরিকশায় লাল-সবুজ। রোদ থেকে বাঁচতে দেওয়া পানদোকানির আচ্ছাদনও স্বদেশের পতাকার রঙে রাঙানো। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মানুষের মিছিল তো ছিলই।
এভাবে স্টেডিয়ামপাড়া হয়ে উঠেছিল রঙিন। এ যেন মিরপুর স্টেডিয়ামপাড়া। ঢাকায় যেমন বাংলাদেশের ম্যাচে লাল-সবুজের স্রোত ছিল, চট্টগ্রামেও তাই। চট্টগ্রামের এই ম্যাচ দেখতে তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিবার নিয়ে দেশে এসেছেন মোস্তফা জামান। তাঁর ২০ মাসের শিশুসন্তান রিদোয়ান হোসাইনের শরীরও লাল-সবুজে মোড়ানো। ‘আমি শুধু বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে দেশে এসেছি। আমেরিকায় থাকতেই অনলাইনে সাতটি টিকিট কেটেছি’—পশ্চিম গ্যালারিতে বসা মোস্তফা জামান বলে যান।
ইংল্যান্ডদের ২২৫ রানে অলআউট করে ফেলল বাংলাদেশ। এরপর জয় দেখতে নড়েচড়ে বসল দর্শকেরা। বাংলাদেশের প্রতিটি রানেই নেচে উঠল গ্যালারি। ইংলিশদের উইকেট পতনেও ছিল একই রকম আনন্দ। ভুভুজেলা বাজিয়ে, নানাভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গেল দর্শকেরা। চার-ছক্কা হলে তো গ্যালারি হয়ে উঠেছে উন্মাতাল। প্রায় ১৭ হাজার দর্শক ছিল গ্যালারিতে। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য।
এই ম্যাচ দিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। এই মাঠে ফ্লাডলাইটে এটিই প্রথম ম্যাচ। মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিনে নিজেদের দেখল দর্শকেরা। সত্যিই এই ম্যাচ দিয়ে অনেক কিছুই পেল চট্টগ্রামের দর্শকেরা।
ম্যাচ দেখার জন্য এক থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে আসার পর লাইনে দাঁড়ানোর পরিশ্রমটা এই গর্বের কাছে ম্লান। তবে যারা আগেভাগে গাড়ির পাস পেয়েছিল তাদের এই কষ্ট পেতে হয়নি। ট্রান্সটেল গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতেও কিছুটা সময় লেগেছে। এ নিয়ে কারও কারও মুখে ক্ষোভ ছিল। তবে মাঠে ঢুকে বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং দেখে সব ভুলে গেছে নিমিষেই।
শুধু চট্টগ্রাম কেন? বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের অভিষেক দেখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে এসেছেন অনেকে। ঢাকার গুলশান থেকে মামার সঙ্গে চট্টগ্রামের দুটি ম্যাচ দেখার জন্য এসেছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রাফায়েল চৌধুরী। মিরপুরের ৫৮ রানের দুঃস্বপ্নের সাক্ষী এই রাফায়েল। তার পরও গায়ে লাল-সবুজ জার্সি চাপিয়ে দেশকে মাঠে বসে সমর্থন দিতে এল এই কিশোর। ছোট্ট রাফায়েল বলল, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বারবার হবে না। তাই সুযোগটা নষ্ট করিনি।’
পূর্ব গ্যালারিতে সারাক্ষণ বিশাল পাতাকা হাতে একদল তরুণ এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছুটে বেড়াল। ম্যাচের শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয় তাঁদের। প্রত্যয় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকার।
সড়কের দুই পাশে লাল-সবুজের যেন সমাহার। বৈদ্যুতিক বাতিতে লাল-সবুজ, সিএনজি অটোরিকশায় লাল-সবুজ। রোদ থেকে বাঁচতে দেওয়া পানদোকানির আচ্ছাদনও স্বদেশের পতাকার রঙে রাঙানো। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মানুষের মিছিল তো ছিলই।
এভাবে স্টেডিয়ামপাড়া হয়ে উঠেছিল রঙিন। এ যেন মিরপুর স্টেডিয়ামপাড়া। ঢাকায় যেমন বাংলাদেশের ম্যাচে লাল-সবুজের স্রোত ছিল, চট্টগ্রামেও তাই। চট্টগ্রামের এই ম্যাচ দেখতে তো যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিবার নিয়ে দেশে এসেছেন মোস্তফা জামান। তাঁর ২০ মাসের শিশুসন্তান রিদোয়ান হোসাইনের শরীরও লাল-সবুজে মোড়ানো। ‘আমি শুধু বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে দেশে এসেছি। আমেরিকায় থাকতেই অনলাইনে সাতটি টিকিট কেটেছি’—পশ্চিম গ্যালারিতে বসা মোস্তফা জামান বলে যান।
ইংল্যান্ডদের ২২৫ রানে অলআউট করে ফেলল বাংলাদেশ। এরপর জয় দেখতে নড়েচড়ে বসল দর্শকেরা। বাংলাদেশের প্রতিটি রানেই নেচে উঠল গ্যালারি। ইংলিশদের উইকেট পতনেও ছিল একই রকম আনন্দ। ভুভুজেলা বাজিয়ে, নানাভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গেল দর্শকেরা। চার-ছক্কা হলে তো গ্যালারি হয়ে উঠেছে উন্মাতাল। প্রায় ১৭ হাজার দর্শক ছিল গ্যালারিতে। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য।
এই ম্যাচ দিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। এই মাঠে ফ্লাডলাইটে এটিই প্রথম ম্যাচ। মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিনে নিজেদের দেখল দর্শকেরা। সত্যিই এই ম্যাচ দিয়ে অনেক কিছুই পেল চট্টগ্রামের দর্শকেরা।
ম্যাচ দেখার জন্য এক থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে আসার পর লাইনে দাঁড়ানোর পরিশ্রমটা এই গর্বের কাছে ম্লান। তবে যারা আগেভাগে গাড়ির পাস পেয়েছিল তাদের এই কষ্ট পেতে হয়নি। ট্রান্সটেল গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতেও কিছুটা সময় লেগেছে। এ নিয়ে কারও কারও মুখে ক্ষোভ ছিল। তবে মাঠে ঢুকে বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং দেখে সব ভুলে গেছে নিমিষেই।
শুধু চট্টগ্রাম কেন? বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের অভিষেক দেখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে এসেছেন অনেকে। ঢাকার গুলশান থেকে মামার সঙ্গে চট্টগ্রামের দুটি ম্যাচ দেখার জন্য এসেছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রাফায়েল চৌধুরী। মিরপুরের ৫৮ রানের দুঃস্বপ্নের সাক্ষী এই রাফায়েল। তার পরও গায়ে লাল-সবুজ জার্সি চাপিয়ে দেশকে মাঠে বসে সমর্থন দিতে এল এই কিশোর। ছোট্ট রাফায়েল বলল, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বারবার হবে না। তাই সুযোগটা নষ্ট করিনি।’
পূর্ব গ্যালারিতে সারাক্ষণ বিশাল পাতাকা হাতে একদল তরুণ এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছুটে বেড়াল। ম্যাচের শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয় তাঁদের। প্রত্যয় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকার।
No comments