স্ট্রাউসের কাঠগড়ায় উইকেট
শফিউল ইসলামের বীরত্ব, নবম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাঁর অসমাপ্ত ৫৮ রানের দুর্দান্ত জুটি, বাংলাদেশের সুশৃঙ্খল বোলিং—এর কোনো মূল্য নেই? কাল বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে যা ঘটেছে, তার সব দায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটের?
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড অধিনায়কের কথার একটা অংশ শুনলে অনেকেরই মনে হতে পারে এ রকম। ‘বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট দিয়ে কোনো মাঠের দিবা-রাত্রির ম্যাচের যাত্রা শুরুটা একটু আশ্চর্যজনকই’—অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস কি পরাজয়ের দায় চাপাতে চাইলেন না জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটের ওপর?
শুধু উইকেটই তো নয়, কাল প্রকৃতিকেও দুষতে চাইলেন স্ট্রাউস। পরাজয়ের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক টেনে আনলেন শিশির-তত্ত্বকেও, ‘আমরা যখন বোলিং করেছি, তখন প্রথম ২০ ওভার পর্যন্ত অবস্থা খুবই বাজে ছিল। গ্রায়েম (গ্রায়েম সোয়ান) তো বলই গ্রিপ করতে পারছিল না। স্পিন যেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সেখানে একজন স্পিনারের বল গ্রিপ করতে না পারাটা একটু কেমনই যেন।’
কিন্তু মাঠ আর প্রকৃতির ওপর দায় চাপিয়ে দিলেই তো আর হয় না। কিছু দোষ নিজেদের ঘাড়েও নিতে হয়। ম্যাচের পরের অংশে নাহয় শিশিরের সমস্যা ছিল, কিন্তু ইংল্যান্ডের ব্যাটিংটা এত খারাপ হলো কেন? অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বললেন, ‘এই উইকেটে প্রথমে ব্যাট করা খুব কঠিন। স্লো ও লো উইকেট এটা। তবু আমি ভেবেছিলাম, ২২০ রানই যথেষ্ট। তবে এটা ঠিক যে আমরা এর চেয়েও বেশি রান করতে পারতাম।’
শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্ট্রাউস স্বীকার করেছেন, ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংটাও ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের, ‘নতুন বলে যতটা ভালো করা উচিত ছিল, ততটা ভালো আমরা করতে পারিনি। অনেক বেশি ওয়াইড দিয়ে ফেলেছি। ম্যাচটা জেতার মতো দারুণ জায়গায় গিয়েও আমরা জিততে পারিনি।’
এ জায়গাতে এসেই ইংল্যান্ড অধিনায়ককে বলতে হলো শফিউল আর মাহমুদউল্লাহর কথা। এ দুজনই ইংল্যান্ডের প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি ছিনিয়ে নিয়েছেন। স্ট্রাউস তাই নিজের বোলারদের ব্যর্থতার কথা বলতে গিয়ে পরোক্ষে প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের জয়ের এই দুই নায়ককে, ‘বাংলাদেশের শেষ দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো খেলেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতে তারাই বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছে কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। আর এটাই ওয়ানডে ক্রিকেট।’
ওয়ানডে ক্রিকেট যেমন অনিশ্চিত, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। স্ট্রাউসরা কি পারবেন স্বপ্নের দৌড়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে? ইংলিশদের চিরকালীন একটি আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের বাসনা নিয়েই তো উপমহাদেশে এসেছে স্ট্রাউসের দল। সেই আকাঙ্ক্ষা কি পূরণ হবে? তবে হাল ছাড়ছেন না স্ট্রাউস, ‘আমরা এখনো বিশ্বকাপ জিততে পারি।’
এখান থেকে বিশ্বকাপ জিততে হলে কী করতে হবে, স্ট্রাউসের তা বিলক্ষণ জানা। তাই বললেন, ‘আমাদের বাতিল করে দেওয়া যাবে না। সমস্যা হচ্ছে, আমরা ধারাবাহিক নই। আর ব্যাটিং ও বোলিংয়ে এখনো একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ গ্রুপ ম্যাচে আমাদের সেটাই করতে হবে।’
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড অধিনায়কের কথার একটা অংশ শুনলে অনেকেরই মনে হতে পারে এ রকম। ‘বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট দিয়ে কোনো মাঠের দিবা-রাত্রির ম্যাচের যাত্রা শুরুটা একটু আশ্চর্যজনকই’—অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস কি পরাজয়ের দায় চাপাতে চাইলেন না জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটের ওপর?
শুধু উইকেটই তো নয়, কাল প্রকৃতিকেও দুষতে চাইলেন স্ট্রাউস। পরাজয়ের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক টেনে আনলেন শিশির-তত্ত্বকেও, ‘আমরা যখন বোলিং করেছি, তখন প্রথম ২০ ওভার পর্যন্ত অবস্থা খুবই বাজে ছিল। গ্রায়েম (গ্রায়েম সোয়ান) তো বলই গ্রিপ করতে পারছিল না। স্পিন যেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সেখানে একজন স্পিনারের বল গ্রিপ করতে না পারাটা একটু কেমনই যেন।’
কিন্তু মাঠ আর প্রকৃতির ওপর দায় চাপিয়ে দিলেই তো আর হয় না। কিছু দোষ নিজেদের ঘাড়েও নিতে হয়। ম্যাচের পরের অংশে নাহয় শিশিরের সমস্যা ছিল, কিন্তু ইংল্যান্ডের ব্যাটিংটা এত খারাপ হলো কেন? অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বললেন, ‘এই উইকেটে প্রথমে ব্যাট করা খুব কঠিন। স্লো ও লো উইকেট এটা। তবু আমি ভেবেছিলাম, ২২০ রানই যথেষ্ট। তবে এটা ঠিক যে আমরা এর চেয়েও বেশি রান করতে পারতাম।’
শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্ট্রাউস স্বীকার করেছেন, ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংটাও ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের, ‘নতুন বলে যতটা ভালো করা উচিত ছিল, ততটা ভালো আমরা করতে পারিনি। অনেক বেশি ওয়াইড দিয়ে ফেলেছি। ম্যাচটা জেতার মতো দারুণ জায়গায় গিয়েও আমরা জিততে পারিনি।’
এ জায়গাতে এসেই ইংল্যান্ড অধিনায়ককে বলতে হলো শফিউল আর মাহমুদউল্লাহর কথা। এ দুজনই ইংল্যান্ডের প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি ছিনিয়ে নিয়েছেন। স্ট্রাউস তাই নিজের বোলারদের ব্যর্থতার কথা বলতে গিয়ে পরোক্ষে প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের জয়ের এই দুই নায়ককে, ‘বাংলাদেশের শেষ দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো খেলেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতে তারাই বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছে কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। আর এটাই ওয়ানডে ক্রিকেট।’
ওয়ানডে ক্রিকেট যেমন অনিশ্চিত, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। স্ট্রাউসরা কি পারবেন স্বপ্নের দৌড়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে? ইংলিশদের চিরকালীন একটি আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের বাসনা নিয়েই তো উপমহাদেশে এসেছে স্ট্রাউসের দল। সেই আকাঙ্ক্ষা কি পূরণ হবে? তবে হাল ছাড়ছেন না স্ট্রাউস, ‘আমরা এখনো বিশ্বকাপ জিততে পারি।’
এখান থেকে বিশ্বকাপ জিততে হলে কী করতে হবে, স্ট্রাউসের তা বিলক্ষণ জানা। তাই বললেন, ‘আমাদের বাতিল করে দেওয়া যাবে না। সমস্যা হচ্ছে, আমরা ধারাবাহিক নই। আর ব্যাটিং ও বোলিংয়ে এখনো একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ গ্রুপ ম্যাচে আমাদের সেটাই করতে হবে।’
No comments