সেই শফিউল আবারও
১৬৯ রানে ৮ উইকেট নেই। অনেকেই ধরে নিল, দিগন্তে সোনালি ঝিলিক দিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে আরেকটা জয়। গ্যালারি ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেছে তখন অনেকেই। আর জয়ের সুবাস পেয়ে চনমনে হয়ে উঠেছে ইংল্যান্ড দল।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দল হয়তো ভুলেই গিয়েছিল, বাংলাদেশের একজন শফিউল ইসলাম আছেন! যে শফিউলের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম স্কোরিং শটটিই ছিল ছক্কা। যে শফিউল গত বছর এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্টে করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি।
নাটক শেষ হতে এখনো অনেক বাকি—এই বলে ১৬৯/৮ থেকেই ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন বোলার শফিউল। বোলার পরিচয়টা তখন হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন। ইংলিশদের চোখ হতভম্ব করে দিয়ে মারলেন ৪টি চার, বিশাল ১টি ছয়। ২৪ বলে অপরাজিত ২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে এনে দিলেন স্বপ্নের এক জয়। যে জয় কোয়ার্টার ফাইনালের সম্ভাবনারেখা এঁকে দিয়েছে। যে জয় ইংলিশদের বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশও পারে।
যাঁর ব্যাটে এত কিছু বলা, ম্যাচ অ্যাজুডিকেটরদের চোখে সেই শফিউল কিন্তু ম্যাচের সেরা নন। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ১০০ বলে ৬০ রান করা ইমরুল কায়েসের হাতে। কিন্তু নায়ক এই শফিউলও। তাঁর ব্যাট অমন চওড়া না হলে ইংল্যান্ড-বধ কাব্য রচিত হয় না।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়েও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন শফিউল। সেই ম্যাচে শফিউল জেগে উঠেছিলেন বিজয়ীর চেহারায়। বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের ৪ উইকেট। সেই ম্যাচেও ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠেনি শফিউলের হাতে। সেই পুরস্কার পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল।
এমন কীর্তি গড়েও ম্যাচসেরার স্বীকৃতি না পাওয়ার একটা আক্ষেপ শফিউলের থাকতেই পারে। প্রকৃত বীরকে ট্র্যাজেডিও খুব টানে। বগুড়ার এই ছেলেটি আবার হয়তো দল আর দেশকে জেতানোর মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নেবেন।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দল হয়তো ভুলেই গিয়েছিল, বাংলাদেশের একজন শফিউল ইসলাম আছেন! যে শফিউলের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম স্কোরিং শটটিই ছিল ছক্কা। যে শফিউল গত বছর এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্টে করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি।
নাটক শেষ হতে এখনো অনেক বাকি—এই বলে ১৬৯/৮ থেকেই ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন বোলার শফিউল। বোলার পরিচয়টা তখন হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন। ইংলিশদের চোখ হতভম্ব করে দিয়ে মারলেন ৪টি চার, বিশাল ১টি ছয়। ২৪ বলে অপরাজিত ২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে এনে দিলেন স্বপ্নের এক জয়। যে জয় কোয়ার্টার ফাইনালের সম্ভাবনারেখা এঁকে দিয়েছে। যে জয় ইংলিশদের বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশও পারে।
যাঁর ব্যাটে এত কিছু বলা, ম্যাচ অ্যাজুডিকেটরদের চোখে সেই শফিউল কিন্তু ম্যাচের সেরা নন। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ১০০ বলে ৬০ রান করা ইমরুল কায়েসের হাতে। কিন্তু নায়ক এই শফিউলও। তাঁর ব্যাট অমন চওড়া না হলে ইংল্যান্ড-বধ কাব্য রচিত হয় না।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়েও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন শফিউল। সেই ম্যাচে শফিউল জেগে উঠেছিলেন বিজয়ীর চেহারায়। বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের ৪ উইকেট। সেই ম্যাচেও ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠেনি শফিউলের হাতে। সেই পুরস্কার পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল।
এমন কীর্তি গড়েও ম্যাচসেরার স্বীকৃতি না পাওয়ার একটা আক্ষেপ শফিউলের থাকতেই পারে। প্রকৃত বীরকে ট্র্যাজেডিও খুব টানে। বগুড়ার এই ছেলেটি আবার হয়তো দল আর দেশকে জেতানোর মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নেবেন।
No comments