ভারত শান্ত, চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা থাকবে
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ও রামমন্দির বিরোধে বিতর্কিত সেই জমি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রায়ের পর সারা দেশ শান্ত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অযোধ্যাসহ উত্তর প্রদেশের প্রধান শহরগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত সেই জমির বিষয়ে স্থিতাবস্থা বহাল থাকবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম গতকাল নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রায়ের প্রতি জনগণ সম্মান দেখানোয় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রায়ের প্রতি জনগণের সাড়ায় আমরা সন্তুষ্ট। সারা দেশের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।’
অযোধ্যায় গতকাল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বিপণিবিতানসহ সবকিছু খোলা ছিল। বিভিন্ন সড়কে লোকজন কম দেখা গেলেও গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। উত্তর প্রদেশের বেনারস, লক্ষৌসহ অন্য শহরগুলোতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।
রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার আর কে এস রাঠোর বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
রায় ঘোষণার আগে বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত সারা দেশের পরিস্থিতিতে সেই উৎকণ্ঠা অনেকটাই কেটে গেছে। দুই পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার ঘোষণা দিলেও কোথাও রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেনি। সভা-সমাবেশ বা বিক্ষোভ মিছিল হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা সাধারণ অধিকার। যেকোনো পক্ষই এটা করতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সে পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো রায় নয়, সে বিষয়টি সবাইকে বিবেচনায় নিতে হবে।
দ্য হিন্দু পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এই রায়ে কোনো পক্ষের জয় বা হার হয়নি। বরং এই রায় মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধ মীমাংসায় সহায়তা করবে।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়, রায়ের পর রাজনৈতিক দলগুলো দারুণ বিচক্ষণতার সঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রায়ে একটি বিষয় প্রথমবারের মতো স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির ছিল। এই রায়ে কোনো পক্ষের পরাজয় হয়নি।
নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গতকালও নয়াদিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, পাটনা, এলাহাবাদ, কানপুর, কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে সতর্কাবস্থায় ছিলেন।
কলকাতায় গতকাল সভা-সমাবেশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কোথায়ও সভা-সমাবেশ বা মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি।
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয়: ভারতের লোকসভার সাবেক স্পিকার ও প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্ম নিয়ে আর রাজনীতি নয়। রায়ের পর গত বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সোমনাথ বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আর ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে এক করে দেখাও ঠিক নয়। এতে সংঘাত বাড়ে। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় যা-ই হোক না কেন, আমাদের তা মেনে নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমানকে নিয়ে আমাদের ভারতবর্ষ। আমার অনুরোধ, ধর্ম ও রাজনীতিকে নিয়ে হিংসা ছড়াবেন না।’
উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট গত বৃহস্পতিবার এক রায়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমিটি ভাগাভাগি করার নির্দেশ দেন। রায় অনুযায়ী মুসলিম সম্প্রদায়ের সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড এক-তৃতীয়াংশ এবং নির্মোহী আখড়া ও রামলালা গোষ্ঠী নামে হিন্দুত্ববাদী দুটি সংগঠন বাকি অংশ পাবে। দুই পক্ষই এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার কথা জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম গতকাল নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রায়ের প্রতি জনগণ সম্মান দেখানোয় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রায়ের প্রতি জনগণের সাড়ায় আমরা সন্তুষ্ট। সারা দেশের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।’
অযোধ্যায় গতকাল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, বিপণিবিতানসহ সবকিছু খোলা ছিল। বিভিন্ন সড়কে লোকজন কম দেখা গেলেও গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। উত্তর প্রদেশের বেনারস, লক্ষৌসহ অন্য শহরগুলোতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।
রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার আর কে এস রাঠোর বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
রায় ঘোষণার আগে বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত সারা দেশের পরিস্থিতিতে সেই উৎকণ্ঠা অনেকটাই কেটে গেছে। দুই পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার ঘোষণা দিলেও কোথাও রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেনি। সভা-সমাবেশ বা বিক্ষোভ মিছিল হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা সাধারণ অধিকার। যেকোনো পক্ষই এটা করতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সে পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো রায় নয়, সে বিষয়টি সবাইকে বিবেচনায় নিতে হবে।
দ্য হিন্দু পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এই রায়ে কোনো পক্ষের জয় বা হার হয়নি। বরং এই রায় মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধ মীমাংসায় সহায়তা করবে।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়, রায়ের পর রাজনৈতিক দলগুলো দারুণ বিচক্ষণতার সঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রায়ে একটি বিষয় প্রথমবারের মতো স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির ছিল। এই রায়ে কোনো পক্ষের পরাজয় হয়নি।
নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গতকালও নয়াদিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, পাটনা, এলাহাবাদ, কানপুর, কলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে সতর্কাবস্থায় ছিলেন।
কলকাতায় গতকাল সভা-সমাবেশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কোথায়ও সভা-সমাবেশ বা মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি।
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয়: ভারতের লোকসভার সাবেক স্পিকার ও প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্ম নিয়ে আর রাজনীতি নয়। রায়ের পর গত বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সোমনাথ বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আর ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে এক করে দেখাও ঠিক নয়। এতে সংঘাত বাড়ে। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় যা-ই হোক না কেন, আমাদের তা মেনে নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমানকে নিয়ে আমাদের ভারতবর্ষ। আমার অনুরোধ, ধর্ম ও রাজনীতিকে নিয়ে হিংসা ছড়াবেন না।’
উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট গত বৃহস্পতিবার এক রায়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমিটি ভাগাভাগি করার নির্দেশ দেন। রায় অনুযায়ী মুসলিম সম্প্রদায়ের সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড এক-তৃতীয়াংশ এবং নির্মোহী আখড়া ও রামলালা গোষ্ঠী নামে হিন্দুত্ববাদী দুটি সংগঠন বাকি অংশ পাবে। দুই পক্ষই এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার কথা জানিয়েছে।
No comments