কঙ্গোর গণহত্যার প্রতিবেদন প্রকাশ জাতিসংঘের
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নব্বইয়ের দশকে চালানো গণহত্যাসংক্রান্ত বিতর্কিত প্রতিবেদন গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের প্রকাশ করার কথা। গত আগস্টে ওই প্রতিবেদনের খসড়া ফাঁস হয়ে যায়। এতে রুয়ান্ডার সেনাবাহিনী ও উগান্ডার বিদ্রোহী গেরিলারা কঙ্গোতে হুতু শরণার্থীদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে রুয়ান্ডা সরকার জাতিসংঘের শান্তি মিশন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে বলে হুমকি দেয়। গতকাল রুয়ান্ডা ওই প্রতিবেদনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও ভয়ংকর’ এবং ‘ইতিহাসের জন্য অপমানজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলেছে, এটি আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে পারে।
কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিবেদনের খসড়া আগেভাগে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রুয়ান্ডা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভাষায় কিছুটা নমনীয়তা আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কঙ্গোতে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এর তথ্যপ্রমাণ নিয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ৬০০ ঘটনার বিবরণ রয়েছে।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, জায়ার নামে পরিচিত গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে আশ্রয় নেওয়া রুয়ান্ডার ১০ লাখের বেশি হুতুর ওপর ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রুয়ান্ডার তুতসি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালায়। তুতসিদের নিয়ে সেনাবাহিনী জায়ারে ঢুকে লক্ষাধিক হুতুকে ভোজালি দিয়ে জবাই করে। অনেককে তারা জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলে। নারী ও কন্যাশিশুদের তারা নির্বিচারে ধর্ষণ এবং কিশোরদের বলাৎকার করে। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে দুগ্ধপোষ্য শিশু থেকে বৃদ্ধ, কেউ রেহাই পায়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার এ প্রতিবেদন তৈরি করেন।
রুয়ান্ডা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে তারা জাতিসংঘে সাত দফা আপত্তি জানিয়েছে। তারা বলেছে, এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে ওই এলাকার আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনকে খাটো করা হবে।
গত আগস্টে প্রতিবেদনের খসড়া ফাঁস হওয়ার পর রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে হুমকি দিয়েছিলেন, এটি প্রকাশ করা হলে সুদানে শান্তি মিশনে থাকা তাঁদের সেনাসদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে। তবে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
রুয়ান্ডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুশিকিয়াবো বলেন, ওই প্রতিবেদন ভুলে ভরা এবং ‘ইতিহাসের জন্য তা অপমানজনক’।
রুয়ান্ডা বরাবরই বলে আসছে, সে দেশে গণহত্যা চালিয়ে যেসব হুতু জায়ারে পালিয়ে গিয়েছিল, কেবল তাদের ধাওয়া করতেই সেনাবাহিনী সেখানে গিয়েছিল। রুয়ান্ডার দাবি, তারা সেখানে কোনো বেসামরিক লোকের ওপর হামলা চালায়নি।
উগান্ডাও ওই প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করেছে। উগান্ডার কর্মকর্তারা বলেন, যাঁরা ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো রকম কথা না বলে একতরফাভাবে তাঁদের অভিযুক্ত করেছেন।
কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিবেদনের খসড়া আগেভাগে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রুয়ান্ডা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভাষায় কিছুটা নমনীয়তা আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কঙ্গোতে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এর তথ্যপ্রমাণ নিয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ৬০০ ঘটনার বিবরণ রয়েছে।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, জায়ার নামে পরিচিত গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে আশ্রয় নেওয়া রুয়ান্ডার ১০ লাখের বেশি হুতুর ওপর ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রুয়ান্ডার তুতসি সেনাবাহিনী গণহত্যা চালায়। তুতসিদের নিয়ে সেনাবাহিনী জায়ারে ঢুকে লক্ষাধিক হুতুকে ভোজালি দিয়ে জবাই করে। অনেককে তারা জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলে। নারী ও কন্যাশিশুদের তারা নির্বিচারে ধর্ষণ এবং কিশোরদের বলাৎকার করে। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে দুগ্ধপোষ্য শিশু থেকে বৃদ্ধ, কেউ রেহাই পায়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার এ প্রতিবেদন তৈরি করেন।
রুয়ান্ডা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে তারা জাতিসংঘে সাত দফা আপত্তি জানিয়েছে। তারা বলেছে, এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে ওই এলাকার আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনকে খাটো করা হবে।
গত আগস্টে প্রতিবেদনের খসড়া ফাঁস হওয়ার পর রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে হুমকি দিয়েছিলেন, এটি প্রকাশ করা হলে সুদানে শান্তি মিশনে থাকা তাঁদের সেনাসদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে। তবে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
রুয়ান্ডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুশিকিয়াবো বলেন, ওই প্রতিবেদন ভুলে ভরা এবং ‘ইতিহাসের জন্য তা অপমানজনক’।
রুয়ান্ডা বরাবরই বলে আসছে, সে দেশে গণহত্যা চালিয়ে যেসব হুতু জায়ারে পালিয়ে গিয়েছিল, কেবল তাদের ধাওয়া করতেই সেনাবাহিনী সেখানে গিয়েছিল। রুয়ান্ডার দাবি, তারা সেখানে কোনো বেসামরিক লোকের ওপর হামলা চালায়নি।
উগান্ডাও ওই প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করেছে। উগান্ডার কর্মকর্তারা বলেন, যাঁরা ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো রকম কথা না বলে একতরফাভাবে তাঁদের অভিযুক্ত করেছেন।
No comments