আর্জেন্টিনা-মেসি তাতে কী?

এমন একজন কোচই তো খুঁজছিল জাপান। যিনি হবেন অকুতোভয়। প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, যত কঠিনই হোক; বুক চিতিয়ে লড়বেন তিনি, লড়াই করবেন তাঁর খেলোয়াড়েরা। জাপানের নতুন কোচ আলবার্তো জাকেরনি ঠিক যেন সে রকমই। না হলে আর্জেন্টিনা আর লিওনেল মেসির মতো প্রতিপক্ষকে ভয় না পাওয়ার মতো সাহস করেন!
এ মাসের ৮ তারিখ আর্জেন্টিনার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ জাপানের। ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে জাপানের নতুন কোচ জাকেরনি বলেছেন, ‘আমাদের আর্জেন্টিনাকে ভয় পেলে চলবে না।’ এরপর বলেছেন মেসি, হিগুয়েইন আর ডি মারিয়ার সমন্বয়ে গঠিত আক্রমণভাগকেও এতটুকু ভয় নেই তাঁর, ‘রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে মাঠে নামাটাও ভুল হবে।’
জাপানের ইতালিয়ান কোচ আর্জেন্টিনার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের যে ২৫ সদস্যের দল দিয়েছেন, তাতে আক্রমণাত্মক ফুটবলারই বেশি।
জাকেরনির ফরোয়ার্ড লাইনআপে তিনজন মিডফিল্ডার—কেইসুকে হোন্ডা, টম টমস্কের নতুন খেলোয়াড় দাইসুকে মাতসুই ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোল-মেশিন শিনজি কাগোয়া। এই তিনজনের সামনে হয়তো খেলবেন কাতানিয়ার স্ট্রাইকার তাকায়ুকি মরিমতো ও সিমিজু এস-পালসের ফরোয়ার্ড শিনজি ওকাজাকি।
জাপানের কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটিই জাকেরনির অভিষেক ম্যাচ। বিশ্বকাপের পর থেকেই কোচ খুঁজছিল জাপান। প্রায় দুই মাস খুঁজে জাকেরনির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে তারা। যিনি ইতালিয়ান লিগের ৬টি ক্লাবকে কোচিং করালেও এর আগে কখনো জাতীয় দলের কোচ ছিলেন না। সাবেক এসি মিলান কোচ ইতালির বাইরের কোনো ক্লাবেও কাজ করেননি।

No comments

Powered by Blogger.