টেলরের স্মৃতিতে সেই সেঞ্চুরি
ওয়ানডেতে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ৫টি ফিফটি। খারাপ ফর্মে আছেন, নিন্দুকেরাও বলতে পারবে না। রস টেলর তার পরও ঠিক স্বস্তিতে নেই। তিন অঙ্কের দেখা নেই যে বছর দুই হতে চলল! বাংলাদেশে এসে ব্যথাটা বুকে বাজছে বেশি করে। আবার বাংলাদেশ বলেই দেখছেন আশার আলোও!
নিউজিল্যান্ডের গত বাংলাদেশ সফরে এই টেলরের ব্যাটেই পিষ্ট হয়েছিল বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। মাশরাফি-জুনায়েদ-আশরাফুলের বীরত্বে প্রথম ম্যাচজয়ী বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল ৭৫ রানে। তৃতীয় ম্যাচে ১৩ রানের মধ্যেই প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের দুই ওপেনারকে তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টেলরের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি (১১৯ বলে ১০৩) নিউজিল্যান্ডকে এনে দেয় ম্যাচ জয়ের মতো স্কোর। ২৪৯ রান তোলা নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জেতে ৭৯ রানে।
ওই ম্যাচটি ছিল টেলরের ৪৮তম ওয়ানডে। এরপর খেলে ফেলেছেন আরও ৩৬টি ম্যাচ, ৩৫.৩০ গড়ে রান করেছেন ১০৫৯। কিন্তু সেঞ্চুরি থেমে আছে ওই তিনটিতেই। এই সময়ে ফিফটি অবশ্য পেয়েছেন ১০টি, আছে দলকে জেতানো ইনিংসও। কিন্তু তাতে কি সেঞ্চুরি না পাওয়ার দুঃখ ঘোচে! সেঞ্চুরি-তৃষ্ণা ইদানীং বড় বেশি অনুভব করছেন। যে তৃষ্ণা মেটানোর ভরসা পাচ্ছেন বাংলাদেশে এসে, ‘গত বাংলাদেশে সফরে চট্টগ্রামে করা সেঞ্চুরিটা ওয়ানডেতে আমার সর্বশেষ সেঞ্চুরি। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। একটা সেঞ্চুরি এখন বড্ড প্রয়োজন। আশা করি, গত সফরের স্মৃতিটা এবারও ফিরিয়ে আনতে পারব।’
সর্বশেষ যে টুর্নামেন্টটা খেলেছেন, তাতে অবশ্য খুব ভালো করতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ৫ ম্যাচে করেছেন ৬৪। তবে টি-টোয়েন্টি বলেই এটিকে পাত্তা দিতে চান না, ‘টি-টোয়েন্টি দিয়ে আসলে ফর্মের বিচার করা যায় না। টি-টোয়েন্টিতে বেশির ভাগ সময়ই উইকেটে গিয়ে ভাবনা-চিন্তার কোনো অবকাশ থাকে না। কিন্তু ওয়ানডেতে ইনিংস গড়ে তোলার সময় পাওয়া যায়। ওয়ানডেতে ভালো ফর্মেই আছি, আশা করি এই সিরিজেও ভালো করব।’
শুধু নিজেকে নিয়েই নয়, টেলরকে ভাবতে হয় এখন দল নিয়েও। বয়স মাত্রই ২৬, কিন্তু এই বয়সেই শুধু সিনিয়র ব্যাটসম্যানই নন, দলের সহ-অধিনায়কও। এটাকে অবশ্য মোটেই চাপ মনে করছেন না, বরং দায়িত্বকে মনে করছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি, ‘সহ-অধিনায়কের দায়িত্বটা পেয়েছি মাস ছয়েক আগে, খুব উপভোগ করছি। শ্রীলঙ্কায় তো ক্যাপ্টেনসিও করলাম, সব মিলিয়ে ভালো লাগছে। দায়িত্ব আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে, উৎসাহ পাই। খুব বেশি অবশ্য ভাবি না, শুধু জানি রান করতে হবে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
মনে কী আছে কে জানে, মুখে অন্তত ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মতো বাংলাদেশকে সমীহ দেখাচ্ছেন টেলর। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন স্পিনারদের, ‘স্পিন উপমহাদেশের সব দেশের জন্যই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। উইকেট নিশ্চিতভাবেই স্লো হবে আর বাংলাদেশের স্পিনাররাও আমাদের কাজ কঠিন করে তুলবে। গত ১২ মাসে বাংলাদেশ অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ঘরের মাঠে তারা শক্ত প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশকে আমরা যথেষ্টই সমীহ করি। লড়াইটা কঠিনই হবে।’
মাশরাফি-সাকিবরা নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের কথার মান রাখলে হয়!
নিউজিল্যান্ডের গত বাংলাদেশ সফরে এই টেলরের ব্যাটেই পিষ্ট হয়েছিল বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। মাশরাফি-জুনায়েদ-আশরাফুলের বীরত্বে প্রথম ম্যাচজয়ী বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল ৭৫ রানে। তৃতীয় ম্যাচে ১৩ রানের মধ্যেই প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের দুই ওপেনারকে তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টেলরের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি (১১৯ বলে ১০৩) নিউজিল্যান্ডকে এনে দেয় ম্যাচ জয়ের মতো স্কোর। ২৪৯ রান তোলা নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জেতে ৭৯ রানে।
ওই ম্যাচটি ছিল টেলরের ৪৮তম ওয়ানডে। এরপর খেলে ফেলেছেন আরও ৩৬টি ম্যাচ, ৩৫.৩০ গড়ে রান করেছেন ১০৫৯। কিন্তু সেঞ্চুরি থেমে আছে ওই তিনটিতেই। এই সময়ে ফিফটি অবশ্য পেয়েছেন ১০টি, আছে দলকে জেতানো ইনিংসও। কিন্তু তাতে কি সেঞ্চুরি না পাওয়ার দুঃখ ঘোচে! সেঞ্চুরি-তৃষ্ণা ইদানীং বড় বেশি অনুভব করছেন। যে তৃষ্ণা মেটানোর ভরসা পাচ্ছেন বাংলাদেশে এসে, ‘গত বাংলাদেশে সফরে চট্টগ্রামে করা সেঞ্চুরিটা ওয়ানডেতে আমার সর্বশেষ সেঞ্চুরি। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। একটা সেঞ্চুরি এখন বড্ড প্রয়োজন। আশা করি, গত সফরের স্মৃতিটা এবারও ফিরিয়ে আনতে পারব।’
সর্বশেষ যে টুর্নামেন্টটা খেলেছেন, তাতে অবশ্য খুব ভালো করতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ৫ ম্যাচে করেছেন ৬৪। তবে টি-টোয়েন্টি বলেই এটিকে পাত্তা দিতে চান না, ‘টি-টোয়েন্টি দিয়ে আসলে ফর্মের বিচার করা যায় না। টি-টোয়েন্টিতে বেশির ভাগ সময়ই উইকেটে গিয়ে ভাবনা-চিন্তার কোনো অবকাশ থাকে না। কিন্তু ওয়ানডেতে ইনিংস গড়ে তোলার সময় পাওয়া যায়। ওয়ানডেতে ভালো ফর্মেই আছি, আশা করি এই সিরিজেও ভালো করব।’
শুধু নিজেকে নিয়েই নয়, টেলরকে ভাবতে হয় এখন দল নিয়েও। বয়স মাত্রই ২৬, কিন্তু এই বয়সেই শুধু সিনিয়র ব্যাটসম্যানই নন, দলের সহ-অধিনায়কও। এটাকে অবশ্য মোটেই চাপ মনে করছেন না, বরং দায়িত্বকে মনে করছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি, ‘সহ-অধিনায়কের দায়িত্বটা পেয়েছি মাস ছয়েক আগে, খুব উপভোগ করছি। শ্রীলঙ্কায় তো ক্যাপ্টেনসিও করলাম, সব মিলিয়ে ভালো লাগছে। দায়িত্ব আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে, উৎসাহ পাই। খুব বেশি অবশ্য ভাবি না, শুধু জানি রান করতে হবে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
মনে কী আছে কে জানে, মুখে অন্তত ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মতো বাংলাদেশকে সমীহ দেখাচ্ছেন টেলর। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন স্পিনারদের, ‘স্পিন উপমহাদেশের সব দেশের জন্যই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। উইকেট নিশ্চিতভাবেই স্লো হবে আর বাংলাদেশের স্পিনাররাও আমাদের কাজ কঠিন করে তুলবে। গত ১২ মাসে বাংলাদেশ অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ঘরের মাঠে তারা শক্ত প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশকে আমরা যথেষ্টই সমীহ করি। লড়াইটা কঠিনই হবে।’
মাশরাফি-সাকিবরা নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের কথার মান রাখলে হয়!
No comments