উত্তর কোরিয়ায় স্বাস্থ্যসেবার চিত্র ভয়াবহ: অ্যামনেস্টি
চেতনা বিলোপ না করে যদি কোনো অস্ত্রোপচার করা হয়, তাহলে রোগীর অবস্থাটা কী দাঁড়াবে? নিঃসন্দেহে তা ভয়ঙ্কর এক ব্যাপার। যদি জীবাণুমুক্ত সূচ ব্যবহার না করে রোগীকে ইনজেকশন দেওয়া হয়, তাহলে সুস্থ না হয়ে বরং ভয়াবহ পরিণাম হতে পারে রোগীর। এমন সব দুর্দশা ও অব্যবস্থাপনার জটাজালে পেঁচিয়ে আছে উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্য খাত। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্যসেবার করুণচিত্র তুলে ধরা হয়।
অ্যামনেস্টি জানায়, বিদেশে অবস্থানরত ৪০ জনের বেশি উত্তর কোরীয় নাগরিকের সাক্ষাৎকার নিয়ে এবং সে দেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে উত্তর কোরিয়ায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, সেই থেকে এখনো সে দেশে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি বিদ্যমান। কিছু এলাকায় তা এতই ভয়াবহ যে জীবন ধারণে সেখানকার মানুষকে ঘাসও খেতে হয়। খায় গাছের বাকল ও শেকড়।
কমিউনিস্ট দেশের সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, সেখানে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি জানায়, সেখানে স্বাস্থ্যসেবার সব ক্ষেত্রেই টাকা লাগে। চিকিৎসকের সাধারণ ভিজিট দিতে হয় সিগারেট, মদ বা খাবারের মাধ্যমে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা অস্ত্রোপচারের জন্য দিতে হয় নগদ অর্থ।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগর মুসানের বসিন্দা ৫৬ বছর বয়সী এক নারী জানান, ২০০১ সালে চেতনা বিলোপ না করেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর অ্যাপেনডিক্স অপসারণ করা হয়।
প্রতিবেদনে ২০ বছর বয়সী এক শরণার্থী তরুণীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘এখানে আপনার যদি টাকা না থাকে, তাহলে আপনি মারা যাবেন।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে উত্তর কোরিয়ায় স্বাস্থসেবা খাতে ব্যয় কম। এই খাতে সেখানে বছরে মাথাপিছু এক ডলারেরও কম খরচ হয়।
প্রতিবেদনে খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় উত্তর কোরিয়াকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আন্তর্জাতিক খাদ্য সহায়তা নেওয়া ও তা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করারও অনুরোধ জানানো হয়।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দাতা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। উত্তর কোরিয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক বিবেচনায় না এনে প্রয়োজনের কথা ভেবে তাদের সহায়তা নিশ্চিত করার আবেদন জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ক্যাথেরিন বাবের এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা করার বিষটিকে দাতা দেশগুলোর রাজনীতির ফুটবল হিসেবে দেখা উচিত নয়।
অ্যামনেস্টি জানায়, বিদেশে অবস্থানরত ৪০ জনের বেশি উত্তর কোরীয় নাগরিকের সাক্ষাৎকার নিয়ে এবং সে দেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নব্বইয়ের দশকে উত্তর কোরিয়ায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, সেই থেকে এখনো সে দেশে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি বিদ্যমান। কিছু এলাকায় তা এতই ভয়াবহ যে জীবন ধারণে সেখানকার মানুষকে ঘাসও খেতে হয়। খায় গাছের বাকল ও শেকড়।
কমিউনিস্ট দেশের সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, সেখানে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি জানায়, সেখানে স্বাস্থ্যসেবার সব ক্ষেত্রেই টাকা লাগে। চিকিৎসকের সাধারণ ভিজিট দিতে হয় সিগারেট, মদ বা খাবারের মাধ্যমে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা অস্ত্রোপচারের জন্য দিতে হয় নগদ অর্থ।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগর মুসানের বসিন্দা ৫৬ বছর বয়সী এক নারী জানান, ২০০১ সালে চেতনা বিলোপ না করেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর অ্যাপেনডিক্স অপসারণ করা হয়।
প্রতিবেদনে ২০ বছর বয়সী এক শরণার্থী তরুণীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘এখানে আপনার যদি টাকা না থাকে, তাহলে আপনি মারা যাবেন।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে উত্তর কোরিয়ায় স্বাস্থসেবা খাতে ব্যয় কম। এই খাতে সেখানে বছরে মাথাপিছু এক ডলারেরও কম খরচ হয়।
প্রতিবেদনে খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় উত্তর কোরিয়াকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আন্তর্জাতিক খাদ্য সহায়তা নেওয়া ও তা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করারও অনুরোধ জানানো হয়।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দাতা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। উত্তর কোরিয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক বিবেচনায় না এনে প্রয়োজনের কথা ভেবে তাদের সহায়তা নিশ্চিত করার আবেদন জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ক্যাথেরিন বাবের এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা করার বিষটিকে দাতা দেশগুলোর রাজনীতির ফুটবল হিসেবে দেখা উচিত নয়।
No comments