এসএসসি পরীক্ষার ফল -এখন প্রয়োজন গুণগত মানের উন্নতি
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার ও সর্বোত্তম ফল অর্জনকারীর সংখ্যা—সব মিলিয়েই এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এটা জাতির জন্য বড় আনন্দের সংবাদ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, তাদের শিক্ষকমণ্ডলী ও অভিভাবকদের আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন!
দেশের আটটি বোর্ড মিলিয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল নয় লাখ ১২ হাজার ৫৭৭, যা আগের বছরের চেয়ে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৮৬ জন বেশি। এবার গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। এবং এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬২ হাজার ১৩৪, যা আগের বছরের চেয়ে ১৬ হাজার ২০০ বেশি। একজন পরীক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হয়নি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা এবার কমেছে, ৭২ থেকে নেমে এসেছে ৪৯-এ। আর সব পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে ২০১টি। এসএসসির সমমানের পরীক্ষা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিলের পাসের হার সবচেয়ে বেশি, ৮৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এগুলো ধারাবাহিক উন্নতির সূচক। নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠান, দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ, ফল প্রকাশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার—এই চর্চাগুলো আগের তুলনায় আরও কার্যকর হয়েছে। এ বছরই প্রথমবারের মতো বাংলা ও ধর্ম বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু হওয়ায় অনেক শিক্ষক ও অভিভাবকের আশঙ্কা ছিল যে, এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যেতে পারে পরীক্ষার ফলাফলে। কিন্তু তেমনটি ঘটেনি। আর পাসের হার আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পাসের হার বৃদ্ধি। এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক প্রবণতা। কারণ, বহু বছর ধরে দেখা গেছে, এই দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার কারণেই গড় পাসের হার কম হয়। এবার এটা অনেকাংশেই কাটিয়ে ওঠা গেছে, বিশেষত গণিতে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে এসেছে। এই ধারা যাতে অব্যাহত থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী— সবার।
পরীক্ষায় পাসের হার ও ভালো ফলের হার বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক ও উৎসাহব্যঞ্জক। এসএসসি পর্যায়ের পরীক্ষায় কেন গড় পাসের হার ৭৮ শতাংশ হবে, কেন ৯৮ শতাংশ হবে না—এমন প্রশ্ন আমরা তুলতে পারি। এবং সেই লক্ষ্যে উদ্যোগও নিতে পারি, যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষার এই ধাপটি অতিক্রম করতে পারে। সবার জন্য শিক্ষা—এই লক্ষ্যে এগিয়ে আমরা যেন কয়েক বছরের মধ্যে এমন অবস্থায় পৌঁছাতে পারি, যখন একজন মানুষও থাকবে না যে এসএসসি পাস করেনি; বিশেষত যাদের জন্ম ২০০০ সালের পর। তবে শুধু পাসের হার বৃদ্ধি নয়, জাতি গঠনের জন্য শিক্ষার গুণগত মানও বাড়াতে হবে। ভালো ফলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিক্ষার গুণমানও নিশ্চিত করার নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।
দেশের আটটি বোর্ড মিলিয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল নয় লাখ ১২ হাজার ৫৭৭, যা আগের বছরের চেয়ে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৮৬ জন বেশি। এবার গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। এবং এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬২ হাজার ১৩৪, যা আগের বছরের চেয়ে ১৬ হাজার ২০০ বেশি। একজন পরীক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হয়নি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা এবার কমেছে, ৭২ থেকে নেমে এসেছে ৪৯-এ। আর সব পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে ২০১টি। এসএসসির সমমানের পরীক্ষা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিলের পাসের হার সবচেয়ে বেশি, ৮৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এগুলো ধারাবাহিক উন্নতির সূচক। নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠান, দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ, ফল প্রকাশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার—এই চর্চাগুলো আগের তুলনায় আরও কার্যকর হয়েছে। এ বছরই প্রথমবারের মতো বাংলা ও ধর্ম বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু হওয়ায় অনেক শিক্ষক ও অভিভাবকের আশঙ্কা ছিল যে, এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যেতে পারে পরীক্ষার ফলাফলে। কিন্তু তেমনটি ঘটেনি। আর পাসের হার আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পাসের হার বৃদ্ধি। এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক প্রবণতা। কারণ, বহু বছর ধরে দেখা গেছে, এই দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার কারণেই গড় পাসের হার কম হয়। এবার এটা অনেকাংশেই কাটিয়ে ওঠা গেছে, বিশেষত গণিতে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে এসেছে। এই ধারা যাতে অব্যাহত থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী— সবার।
পরীক্ষায় পাসের হার ও ভালো ফলের হার বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক ও উৎসাহব্যঞ্জক। এসএসসি পর্যায়ের পরীক্ষায় কেন গড় পাসের হার ৭৮ শতাংশ হবে, কেন ৯৮ শতাংশ হবে না—এমন প্রশ্ন আমরা তুলতে পারি। এবং সেই লক্ষ্যে উদ্যোগও নিতে পারি, যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষার এই ধাপটি অতিক্রম করতে পারে। সবার জন্য শিক্ষা—এই লক্ষ্যে এগিয়ে আমরা যেন কয়েক বছরের মধ্যে এমন অবস্থায় পৌঁছাতে পারি, যখন একজন মানুষও থাকবে না যে এসএসসি পাস করেনি; বিশেষত যাদের জন্ম ২০০০ সালের পর। তবে শুধু পাসের হার বৃদ্ধি নয়, জাতি গঠনের জন্য শিক্ষার গুণগত মানও বাড়াতে হবে। ভালো ফলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিক্ষার গুণমানও নিশ্চিত করার নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।
No comments