ঋণপত্র না খুলেও আমদানি করার সুযোগ পাওয়া যাবে
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং পোশাকশিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে এখন আর বাণিজ্যিক ব্যাংকে প্রয়োজনে কোনো ঋণপত্র (এলসি) না খুললেও চলবে। শতভাগ বিদেশি উদ্যোগে স্থাপিত শিল্পের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিকেও রাখা হয়েছে এলসিমুক্ত।
রপ্তানি-সুবিধা সহজ ও সম্প্রসারণের এমন বিধান সংযোজন করে তিন বছর মেয়াদি আমদানি নীতি আদেশ (২০০৯-১২) জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
২০০৯ সালের ৩০ জুন আগের আমদানি নীতির মেয়াদ শেষ হওয়ার সাত মাস পর গত ২৬ জানুয়ারি এ ব্যাপারে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নতুন আমদানি নীতিতে রিকন্ডিশনড বৈদ্যুতিক জেনারেটর বা জেনারেটিং সিট আমদানি এবং শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য উত্পাদনের কাঁচামাল আমদানির সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে।
এ দুটিসহ শতভাগ বিদেশি উদ্যোগে স্থাপিত শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আগে কোনো বিধানই ছিল না। অর্থাত্ রপ্তানিমুখী শিল্প খাতকে সুবিধা দিতে তিনটি বিধান সংযোজন করা হয়েছে একেবারেই নতুন।
নতুন আমদানি নীতি প্রণয়নে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এগুলো হচ্ছে: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় বিশ্বায়ন ও মুক্তবাজার অর্থনীতির ক্রমবিকাশের ধারা আরও সহজ করা; রপ্তানি-সহায়ক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি-ব্যবস্থা সহজ করার মাধ্যমে রপ্তানি খাতকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো; পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা শিথিল করা এবং গুণগত মানসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।
আগের এবং নতুন—উভয় আমদানি নীতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে আগের আমদানি নীতিতে এলসি খোলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও নতুনটিতে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
আপত্কালীন, জরুরি ও দ্রুত আমদানির স্বার্থে তা করা হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নতুন আমদানি নীতিতে দুগ্ধজাত খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে শর্তারোপ করা হয়েছে। আগেরটিতে আমদানিকৃত দুগ্ধজাত খাদ্য মেলামিনমুক্ত থাকা-সংক্রান্ত কোনো শর্ত ছিল না। জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবারেরটিতে আমদানিকৃত দুগ্ধজাত খাদ্য মেলামিনমুক্ত থাকার শর্তারোপ করা হয়েছে।
‘আমদানিকৃত দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য মেলামিনমুক্ত’—এই মর্মে রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া সনদ আমদানিকারককে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে হবে।
এ ছাড়া ভোজ্যতেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া বিকাশমান রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণশিল্পকেও সুবিধা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আমদানি নীতিতে। আগে শুধু তৈজসপত্র প্রস্তুতের জন্য কাঁচামাল আমদানির বিধান ছিল।
প্রকৃত ব্যবহারকারী স্বীকৃত শিল্পপ্রতিষ্ঠান তার আমদানি-স্বত্ব অনুযায়ী আয়রন ও স্টিল স্ক্র্যাপ এবং অ্যালুমিনিয়াম ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে পারবে।
হাঁস-মুরগি ও পাখি আমদানির ক্ষেত্রে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জামুক্ত মর্মে রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সনদ দাখিল করতে হবে।
২০১২ সালের ৩০ জুন এই আমদানি নীতি বলবত্ থাকবে
রপ্তানি-সুবিধা সহজ ও সম্প্রসারণের এমন বিধান সংযোজন করে তিন বছর মেয়াদি আমদানি নীতি আদেশ (২০০৯-১২) জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
২০০৯ সালের ৩০ জুন আগের আমদানি নীতির মেয়াদ শেষ হওয়ার সাত মাস পর গত ২৬ জানুয়ারি এ ব্যাপারে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নতুন আমদানি নীতিতে রিকন্ডিশনড বৈদ্যুতিক জেনারেটর বা জেনারেটিং সিট আমদানি এবং শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য উত্পাদনের কাঁচামাল আমদানির সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে।
এ দুটিসহ শতভাগ বিদেশি উদ্যোগে স্থাপিত শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আগে কোনো বিধানই ছিল না। অর্থাত্ রপ্তানিমুখী শিল্প খাতকে সুবিধা দিতে তিনটি বিধান সংযোজন করা হয়েছে একেবারেই নতুন।
নতুন আমদানি নীতি প্রণয়নে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এগুলো হচ্ছে: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় বিশ্বায়ন ও মুক্তবাজার অর্থনীতির ক্রমবিকাশের ধারা আরও সহজ করা; রপ্তানি-সহায়ক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি-ব্যবস্থা সহজ করার মাধ্যমে রপ্তানি খাতকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো; পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা শিথিল করা এবং গুণগত মানসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।
আগের এবং নতুন—উভয় আমদানি নীতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে আগের আমদানি নীতিতে এলসি খোলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও নতুনটিতে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
আপত্কালীন, জরুরি ও দ্রুত আমদানির স্বার্থে তা করা হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নতুন আমদানি নীতিতে দুগ্ধজাত খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে শর্তারোপ করা হয়েছে। আগেরটিতে আমদানিকৃত দুগ্ধজাত খাদ্য মেলামিনমুক্ত থাকা-সংক্রান্ত কোনো শর্ত ছিল না। জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবারেরটিতে আমদানিকৃত দুগ্ধজাত খাদ্য মেলামিনমুক্ত থাকার শর্তারোপ করা হয়েছে।
‘আমদানিকৃত দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য মেলামিনমুক্ত’—এই মর্মে রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া সনদ আমদানিকারককে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে হবে।
এ ছাড়া ভোজ্যতেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া বিকাশমান রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণশিল্পকেও সুবিধা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আমদানি নীতিতে। আগে শুধু তৈজসপত্র প্রস্তুতের জন্য কাঁচামাল আমদানির বিধান ছিল।
প্রকৃত ব্যবহারকারী স্বীকৃত শিল্পপ্রতিষ্ঠান তার আমদানি-স্বত্ব অনুযায়ী আয়রন ও স্টিল স্ক্র্যাপ এবং অ্যালুমিনিয়াম ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে পারবে।
হাঁস-মুরগি ও পাখি আমদানির ক্ষেত্রে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জামুক্ত মর্মে রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সনদ দাখিল করতে হবে।
২০১২ সালের ৩০ জুন এই আমদানি নীতি বলবত্ থাকবে
No comments