চুনাপাথর উত্তোলনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মেঘালয়ের খনি থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল চুনাপাথর উত্তোলনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন—এ খবরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে।
গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারটি আগের দিনের চেয়ে ৩৯ টাকা ২৫ পয়সা কমে সর্বনিম্ন ৫২১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। দরপতনের এ হার ছিল সাত শতাংশেরও বেশি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, খবরটির কারণে কোম্পানিটির ভবিষ্যত্ কার্যক্রম সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের মনে এক ধরনের সংশয় জন্ম নেওয়ায় এমনটি ঘটেছে। বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রতিদিনের বাজার বিশ্লেষণেও লাফার্জ সুরমার শেয়ারের দরপতনের কারণ হিসেবে এ শঙ্কার কথাই প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) শুভাশিস প্রিয় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এ স্থগিতাদেশ একটি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ। এটি চূড়ান্ত কোনো রায় নয়। আগামী মাসের ১৯ তারিখ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওই শুনানিতে খনিসংক্রান্ত আরও প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত ইতিমধ্যে যেসব চুনাপাথর উত্তোলন করা হয়েছে সেগুলো রপ্তানির সুযোগও বহাল রেখেছেন।
এ অবস্থায় কোম্পানির ভবিষ্যত্ কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে আগাম মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
লাফার্জ সুরমা লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান লাফার্জ উমিয়াম মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শেলা গ্রামের নিজস্ব খনি থেকে সিমেন্ট তৈরির প্রাথমিক কাঁচামাল চুনাপাথর ও শেল আহরণ করে। তারপর তা সরাসরি ১৭ কিলোমিটার কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে নিজস্ব কারখানায় সরবরাহ করা হয়। আর এ কাঁচামাল দিয়েই সিমেন্ট তৈরি করে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড।
লাফার্জ সুরমা দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা নিজস্ব কাঁচামাল দিয়ে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় কারখানায় শুষ্ক পদ্ধতিতে সিমেন্ট উত্পাদন করে। সম্পূর্ণ দেশীয় বাজারের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিক উত্পাদন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু পরের বছর শেলা গ্রামের ২১ জন আদিবাসী ও শেলা অ্যাকশন কমিটি নামে স্থানীয় একটি এনজিও পরিবেশের ক্ষতির কথা বলে আদালতে রিট পিটিশন করলে সে দেশের আদালত খনি থেকে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেন।
পরে ২০০৭ সালের ২৩ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে খনি থেকে চুনাপাথর উত্তোলন ও রপ্তানির বিষয়টি অনুমোদন করেন।
কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আবারও খনি কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
এ ব্যাপারে ভারতের পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে গত রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই ডিএসইর কাছে ব্যাখ্যা দেয় লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। এতে বলা হয়, খনি কার্যক্রম নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠায় (ভারতের) সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী শুনানিতে কোম্পানিকে বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং খনি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বলেছেন। একই সঙ্গে আবার ইতিমধ্যে উত্তোলিত চুনাপাথর রপ্তানির অনুমতি বহাল রেখেছেন।
বাংলাদেশে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের মূল উদ্যোক্তা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জ এসএ এবং সিমেন্টস মলিনস যৌথ উদ্যোগের এ কোম্পানিটি বছরে ১২ লাখ টন সিমেন্ট উত্পাদন করতে সক্ষম।
সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুরমা নদীর তীরে ৯০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানা
গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারটি আগের দিনের চেয়ে ৩৯ টাকা ২৫ পয়সা কমে সর্বনিম্ন ৫২১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। দরপতনের এ হার ছিল সাত শতাংশেরও বেশি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, খবরটির কারণে কোম্পানিটির ভবিষ্যত্ কার্যক্রম সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের মনে এক ধরনের সংশয় জন্ম নেওয়ায় এমনটি ঘটেছে। বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রতিদিনের বাজার বিশ্লেষণেও লাফার্জ সুরমার শেয়ারের দরপতনের কারণ হিসেবে এ শঙ্কার কথাই প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) শুভাশিস প্রিয় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এ স্থগিতাদেশ একটি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ। এটি চূড়ান্ত কোনো রায় নয়। আগামী মাসের ১৯ তারিখ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওই শুনানিতে খনিসংক্রান্ত আরও প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত ইতিমধ্যে যেসব চুনাপাথর উত্তোলন করা হয়েছে সেগুলো রপ্তানির সুযোগও বহাল রেখেছেন।
এ অবস্থায় কোম্পানির ভবিষ্যত্ কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে আগাম মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
লাফার্জ সুরমা লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান লাফার্জ উমিয়াম মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শেলা গ্রামের নিজস্ব খনি থেকে সিমেন্ট তৈরির প্রাথমিক কাঁচামাল চুনাপাথর ও শেল আহরণ করে। তারপর তা সরাসরি ১৭ কিলোমিটার কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে নিজস্ব কারখানায় সরবরাহ করা হয়। আর এ কাঁচামাল দিয়েই সিমেন্ট তৈরি করে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড।
লাফার্জ সুরমা দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা নিজস্ব কাঁচামাল দিয়ে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় কারখানায় শুষ্ক পদ্ধতিতে সিমেন্ট উত্পাদন করে। সম্পূর্ণ দেশীয় বাজারের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিক উত্পাদন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু পরের বছর শেলা গ্রামের ২১ জন আদিবাসী ও শেলা অ্যাকশন কমিটি নামে স্থানীয় একটি এনজিও পরিবেশের ক্ষতির কথা বলে আদালতে রিট পিটিশন করলে সে দেশের আদালত খনি থেকে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেন।
পরে ২০০৭ সালের ২৩ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে খনি থেকে চুনাপাথর উত্তোলন ও রপ্তানির বিষয়টি অনুমোদন করেন।
কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আবারও খনি কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
এ ব্যাপারে ভারতের পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে গত রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই ডিএসইর কাছে ব্যাখ্যা দেয় লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। এতে বলা হয়, খনি কার্যক্রম নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠায় (ভারতের) সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী শুনানিতে কোম্পানিকে বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং খনি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বলেছেন। একই সঙ্গে আবার ইতিমধ্যে উত্তোলিত চুনাপাথর রপ্তানির অনুমতি বহাল রেখেছেন।
বাংলাদেশে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের মূল উদ্যোক্তা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জ এসএ এবং সিমেন্টস মলিনস যৌথ উদ্যোগের এ কোম্পানিটি বছরে ১২ লাখ টন সিমেন্ট উত্পাদন করতে সক্ষম।
সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুরমা নদীর তীরে ৯০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানা
No comments