প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন by বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী
দেশে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেও উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) সূত্রের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে দেশে মোট ছয় কোটি ছয় লাখ ৬১ হাজার ৪৭৬ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা এ বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ছয় লাখ ৬১ হাজার ৪৭৬ কেজি, আগের ২০০৮ সালের তুলনায় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯১ কেজি এবং এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ উৎপাদন রেকর্ডের বছর ২০০৫ সালের চেয়ে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৬ কেজি বেশি। দেশে ২০০৮ সালে পাঁচ কোটি ৯১ লাখ ৮২ হাজার ৮৫ কেজি এবং ২০০৫ সালে পাঁচ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল।
চা-শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মৌসুমের শুরুতে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ, ২০০৯) অনাবৃষ্টির কারণে তাঁরা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে বেশ শংকিত ছিলেন। কারণ ২০০৯ সালের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় সময়মতো চা-পাতা চয়নের কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে ২০০৮ সালের তুলনায় এপ্রিল ২০০৯ পর্যন্ত উৎপাদন প্রায় ১৪ শতাংশ কম হয়। তবে মে মাস থেকে চা-শিল্পাঞ্চলে সুষম বৃষ্টিপাত হওয়ায় নিয়মিত বিরতিতে চা-পাতা চয়ন (প্লাকিং রাউন্ড) করা সম্ভব হয়। এতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে উৎপাদন-ঘাটতি পুষিয়েও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, যা বছর শেষে ছয় কোটি কেজির সার্বিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যায়।
সূত্রমতে, ২০০৯ সালে মৌলভীবাজার জেলার ৯৮টি চা-বাগানে চার কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪ কেজি, হবিগঞ্জ জেলার ১৮টি বাগানে ৮৩ লাখ সাত হাজার ৩৯৫ কেজি, সিলেট জেলার ১৬টি বাগানে ৪৩ লাখ নয় হাজার ৩৭৬ কেজি, চট্টগ্রাম জেলার ২২টি বাগানে ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৭ কেজি এবং পঞ্চগড়ের আটটি চা-বাগানে ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৪ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক হারুন অর রশীদ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের চা-শিল্প প্রকৃতির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। তিনি জানান, চা-শিল্পের উন্নয়নে মাঠপর্যায়ে কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে সফলতা পাওয়া গেছে।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি চা-বাগানে পাহাড়ি ঝরনার পানি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আটকিয়ে রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যাতে বৃষ্টি না হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী চা-গাছে পানি দেওয়া যায়।
মোহাম্মদ রুহুল আমিন আরও জানান, সার ব্যবহারের নিয়মে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি পাতা উত্তোলনের পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে উৎপাদন আরও বাড়তে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) সূত্রের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে দেশে মোট ছয় কোটি ছয় লাখ ৬১ হাজার ৪৭৬ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা এ বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ছয় লাখ ৬১ হাজার ৪৭৬ কেজি, আগের ২০০৮ সালের তুলনায় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯১ কেজি এবং এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ উৎপাদন রেকর্ডের বছর ২০০৫ সালের চেয়ে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৬ কেজি বেশি। দেশে ২০০৮ সালে পাঁচ কোটি ৯১ লাখ ৮২ হাজার ৮৫ কেজি এবং ২০০৫ সালে পাঁচ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল।
চা-শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মৌসুমের শুরুতে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ, ২০০৯) অনাবৃষ্টির কারণে তাঁরা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে বেশ শংকিত ছিলেন। কারণ ২০০৯ সালের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় সময়মতো চা-পাতা চয়নের কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে ২০০৮ সালের তুলনায় এপ্রিল ২০০৯ পর্যন্ত উৎপাদন প্রায় ১৪ শতাংশ কম হয়। তবে মে মাস থেকে চা-শিল্পাঞ্চলে সুষম বৃষ্টিপাত হওয়ায় নিয়মিত বিরতিতে চা-পাতা চয়ন (প্লাকিং রাউন্ড) করা সম্ভব হয়। এতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে উৎপাদন-ঘাটতি পুষিয়েও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, যা বছর শেষে ছয় কোটি কেজির সার্বিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যায়।
সূত্রমতে, ২০০৯ সালে মৌলভীবাজার জেলার ৯৮টি চা-বাগানে চার কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪ কেজি, হবিগঞ্জ জেলার ১৮টি বাগানে ৮৩ লাখ সাত হাজার ৩৯৫ কেজি, সিলেট জেলার ১৬টি বাগানে ৪৩ লাখ নয় হাজার ৩৭৬ কেজি, চট্টগ্রাম জেলার ২২টি বাগানে ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৭ কেজি এবং পঞ্চগড়ের আটটি চা-বাগানে ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৪ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক হারুন অর রশীদ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের চা-শিল্প প্রকৃতির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। তিনি জানান, চা-শিল্পের উন্নয়নে মাঠপর্যায়ে কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে সফলতা পাওয়া গেছে।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি চা-বাগানে পাহাড়ি ঝরনার পানি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আটকিয়ে রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যাতে বৃষ্টি না হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী চা-গাছে পানি দেওয়া যায়।
মোহাম্মদ রুহুল আমিন আরও জানান, সার ব্যবহারের নিয়মে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি পাতা উত্তোলনের পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে উৎপাদন আরও বাড়তে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
No comments