হাইতিকে দেওয়া ঋণ মওকুফের অঙ্গীকার করেছে জি-৭
বিশ্বের শীর্ষ সাতটি শিল্পোন্নত দেশ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাইতিকে দেওয়া ঋণ মওকুফ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। কানাডার উত্তরাঞ্চলে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-এর দুই দিনব্যাপী বৈঠকের পর গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার অর্থমন্ত্রী জিম ফ্লাহার্টি এ কথা জানান। তিনি বলেন, জি-৭ হাইতিতে তাদের সমস্ত দ্বিপক্ষীয় ঋণ মওকুফ করে দেবে।
কানাডার অর্থমন্ত্রী বলেন, হাইতিতে গত ১২ জানুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সহায়তা দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে জি-৭। ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র-এই সাতটি শিল্পোন্নত দেশের কাছে হাইতির ঋণ তুলনামূলক কম। তার পরও দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। এ ঋণের শতকরা ৪১ ভাগ ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং ২৭ ভাগ বিশ্ব ব্যাংক দাবিদার।
গত বছরের জুন মাসে প্যারিস ক্লাব হাইতিতে তাদের ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ঋণ মওকুফ করে। ফ্রান্স পর্যায়ক্রমে হাইতির ঋণ মওকুফ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ১২ জানুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ফ্রান্স হাইতির কাছে পাওনা পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ইউরোর পুরোটাই মওকুফ করে।
হাইতির উদ্বাস্তুশিবিরে ধর্ষণ ঠেকাতে কড়া পাহারা
হাইতির আশ্রয় শিবিরে নারী ও মেয়েশিশুরা যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এ সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মীরা। আশ্রয়শিবিরগুলোয় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ধর্ষণ ঠেকাতে কোনো কোনো আশ্রয়শিবিরে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।
১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার পর তার উদ্ধারকারী তাকে ধর্ষণ করেছে—এমন সংবাদ ইতিমধ্যে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এমন আরও অনেক খবর থেকে যাচ্ছে আড়ালে।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বজন হারানো নারী ও মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা বলছেন, আশ্রয়শিবিরে এমন অনেক নারী ও মেয়েশিশু রয়েছে, যাদের পরিবারের পুরুষ সদস্য বলতে কেউ নেই। ভূমিকম্পে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়া এসব নারী ও শিশু এখন ধর্ষণ-আতঙ্কে ভুগছে। রাত নেমে আসার পর তারা আশ্রয়শিবিরের বাইরে যেতে সাহস পায় না। এমনকি খাবার সংগ্রহ করতেও না। আশ্রয়শিবিরের ভেতরও তারা কতটা নিরাপদ—এই ভয় সব সময় তাদের তাড়া করছে। আক্রমণ প্রতিহত করতে অনেক মেয়ে জিনস পরতে শুরু করেছে। তারা হাতের কাছে লোহার রড কিংবা ছুরি রাখছে।
আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির (আইআরসি) সন্ত্রাসবিষয়ক কো-অর্ডিনেটর সারাহ স্পেন্সার হাইতির ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত পোর্ট অ প্রিন্সে দুই সপ্তাহ আগে পৌঁছান। তিনি বলেন, হাইতিতে নারী ও মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার আগেও হতো। কিন্তু এখন এই সংখ্যা বেড়ে গেছে।
পোর্ট অ প্রিন্সের অদূরের টি-সোর্স ক্যাম্পে তিন হাজার শরণার্থী রয়েছে। সেখানে পুরুষ সদস্যরা পালাক্রমে সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। মার্টিন জোসিল (২৪) বলেন, ‘ভূমিকম্পে সব হারিয়ে আশ্রয়শিবিরে উঠেছি। সেই থেকে আমরা রাস্তায় ঘুমাই। অনেকের মুখে মুখে ফিরছে ধর্ষণ ও ডাকাতির খবর। এতে ভয় হয়। আমরা ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে পাহারা বসিয়েছি। নারী ও পুরুষের পাঁচ সদস্যের একটি করে দল পালাক্রমে পাহারায় থাকে। অন্যরা ঘুমায়।’
কানাডার অর্থমন্ত্রী বলেন, হাইতিতে গত ১২ জানুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সহায়তা দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে জি-৭। ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র-এই সাতটি শিল্পোন্নত দেশের কাছে হাইতির ঋণ তুলনামূলক কম। তার পরও দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। এ ঋণের শতকরা ৪১ ভাগ ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং ২৭ ভাগ বিশ্ব ব্যাংক দাবিদার।
গত বছরের জুন মাসে প্যারিস ক্লাব হাইতিতে তাদের ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ঋণ মওকুফ করে। ফ্রান্স পর্যায়ক্রমে হাইতির ঋণ মওকুফ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ১২ জানুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ফ্রান্স হাইতির কাছে পাওনা পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ইউরোর পুরোটাই মওকুফ করে।
হাইতির উদ্বাস্তুশিবিরে ধর্ষণ ঠেকাতে কড়া পাহারা
হাইতির আশ্রয় শিবিরে নারী ও মেয়েশিশুরা যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এ সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মীরা। আশ্রয়শিবিরগুলোয় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ধর্ষণ ঠেকাতে কোনো কোনো আশ্রয়শিবিরে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।
১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার পর তার উদ্ধারকারী তাকে ধর্ষণ করেছে—এমন সংবাদ ইতিমধ্যে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এমন আরও অনেক খবর থেকে যাচ্ছে আড়ালে।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বজন হারানো নারী ও মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা বলছেন, আশ্রয়শিবিরে এমন অনেক নারী ও মেয়েশিশু রয়েছে, যাদের পরিবারের পুরুষ সদস্য বলতে কেউ নেই। ভূমিকম্পে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়া এসব নারী ও শিশু এখন ধর্ষণ-আতঙ্কে ভুগছে। রাত নেমে আসার পর তারা আশ্রয়শিবিরের বাইরে যেতে সাহস পায় না। এমনকি খাবার সংগ্রহ করতেও না। আশ্রয়শিবিরের ভেতরও তারা কতটা নিরাপদ—এই ভয় সব সময় তাদের তাড়া করছে। আক্রমণ প্রতিহত করতে অনেক মেয়ে জিনস পরতে শুরু করেছে। তারা হাতের কাছে লোহার রড কিংবা ছুরি রাখছে।
আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির (আইআরসি) সন্ত্রাসবিষয়ক কো-অর্ডিনেটর সারাহ স্পেন্সার হাইতির ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত পোর্ট অ প্রিন্সে দুই সপ্তাহ আগে পৌঁছান। তিনি বলেন, হাইতিতে নারী ও মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার আগেও হতো। কিন্তু এখন এই সংখ্যা বেড়ে গেছে।
পোর্ট অ প্রিন্সের অদূরের টি-সোর্স ক্যাম্পে তিন হাজার শরণার্থী রয়েছে। সেখানে পুরুষ সদস্যরা পালাক্রমে সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। মার্টিন জোসিল (২৪) বলেন, ‘ভূমিকম্পে সব হারিয়ে আশ্রয়শিবিরে উঠেছি। সেই থেকে আমরা রাস্তায় ঘুমাই। অনেকের মুখে মুখে ফিরছে ধর্ষণ ও ডাকাতির খবর। এতে ভয় হয়। আমরা ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে পাহারা বসিয়েছি। নারী ও পুরুষের পাঁচ সদস্যের একটি করে দল পালাক্রমে পাহারায় থাকে। অন্যরা ঘুমায়।’
No comments