ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আহমাদিনেজাদ
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হার ২০ শতাংশে উন্নীত করতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। গতকাল রোববার লেজার প্রযুক্তিবিষয়ক এক প্রদর্শনীতে ভাষণ দেওয়ার সময় এ নির্দেশ দেন তিনি। তেহরানের একটি পরমাণু চুল্লির জন্য জ্বালানি সরবরাহের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার এক দিন পরই এ নির্দেশ দিলেন আহমাদিনেজাদ।
পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে জাতিসংঘের খসড়া চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার জন্য বিশ্বশক্তিগুলোকে দোষারোপ করলেও ইরানি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সম্ভাব্য আলোচনার দ্বার খোলা রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হওয়া ওই ভাষণে আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে তাদের দুই-তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে আমরা নিজেরাই (ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ) শুরু করব।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আহমাদিনেজাদ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পরমাণু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ করে ফেরত পাঠানো হবে—এমন শর্তে ইরান তার স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে রাজি আছে। এ ব্যাপারে বিশ্বশক্তিগুলো ও ইরানের মধ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত একটি চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, তেহরানের সাড়ে তিন শতাংশ স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার জন্য রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠানো হবে এবং তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবার ইরানে ফেরত পাঠানো হবে।
গতকাল আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘বিশ্বশক্তিগুলো নিঃশর্তভাবে আমাদের পরমাণু ও চিকিত্সা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলে আমরাও সহযোগিতা করব।
সম্প্রতি আমরা বলেছি, ‘ইউরেনিয়াম লেনদেনে আমরা রাজি। কিন্তু তারা এটা নিয়ে খেলতে শুরু করেছে। আলোচনার পথ খোলা আছে। আমরা তা বন্ধ করিনি।’
গত শনিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস অবশ্য বলেছিলেন, ‘আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি, এমন কোনো কিছু আমি অনুভব করতে পারছি না।’ আগের দিন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুচেহের মোত্তাকি বলেছিলেন, পরমাণু জ্বালানিসংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে।
পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে জাতিসংঘের খসড়া চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার জন্য বিশ্বশক্তিগুলোকে দোষারোপ করলেও ইরানি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সম্ভাব্য আলোচনার দ্বার খোলা রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হওয়া ওই ভাষণে আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে তাদের দুই-তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে আমরা নিজেরাই (ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ) শুরু করব।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আহমাদিনেজাদ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পরমাণু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ করে ফেরত পাঠানো হবে—এমন শর্তে ইরান তার স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে রাজি আছে। এ ব্যাপারে বিশ্বশক্তিগুলো ও ইরানের মধ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত একটি চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, তেহরানের সাড়ে তিন শতাংশ স্বল্পসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার জন্য রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠানো হবে এবং তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবার ইরানে ফেরত পাঠানো হবে।
গতকাল আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘বিশ্বশক্তিগুলো নিঃশর্তভাবে আমাদের পরমাণু ও চিকিত্সা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলে আমরাও সহযোগিতা করব।
সম্প্রতি আমরা বলেছি, ‘ইউরেনিয়াম লেনদেনে আমরা রাজি। কিন্তু তারা এটা নিয়ে খেলতে শুরু করেছে। আলোচনার পথ খোলা আছে। আমরা তা বন্ধ করিনি।’
গত শনিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস অবশ্য বলেছিলেন, ‘আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি, এমন কোনো কিছু আমি অনুভব করতে পারছি না।’ আগের দিন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুচেহের মোত্তাকি বলেছিলেন, পরমাণু জ্বালানিসংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে।
No comments