আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাড়ানোর মানে কী -অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংকিং বিভাগ
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজের কমতি নেই। আর সেই কাজগুলো করতেই অনেক ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় হিমশিম খাচ্ছে। সময়মতো অনেক কাজ শেষ হচ্ছে না। দেখা দিচ্ছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এ রকম একটা অবস্থায় এই মন্ত্রণালয়ে যখন আলাদাভাবে ব্যাংকিং বিভাগ খোলার তত্পরতা শুরু হয়, তখন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয় বৈকি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরই এই তত্পরতা শুরু হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা কমিটি এটি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। ফলে এই বিভাগ স্থাপনের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নতুন এই বিভাগ খোলার বিষয়ে সরকারের উত্সাহের কোনো অভাব নেই। আর নতুন বিভাগ স্থাপন মানে যেহেতু নতুন সচিব, অতিরিক্ত সচিবের পদায়ন হবে, সেহেতু আমলারাও বেশ জোরেশোরে এটি বাস্তবায়নে উঠে-পড়ে লেগেছেন।
প্রশ্ন হলো, কেন আলাদাভাবে এই ব্যাংকিং বিভাগ স্থাপন করতে হবে? এর কাজই বা কী হবে? এ প্রশ্নগুলোর কোনো সদুত্তর এখন পর্যন্ত মেলেনি। যেটুকু জানা গেছে, তাতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে আর্থিক খাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কাজে গতি আনতে এই বিভাগ স্থাপন করা হচ্ছে। এটা কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে না। দেশের ব্যাংকিং খাত তদারক করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা আছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মতত্পরতাই প্রমাণ করে যে এই দায়িত্ব পালনে তারা যথেষ্ট সক্ষম। বরং, আরও ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোটাই বেশি জরুরি। সে ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক-বিষয়ক যাবতীয় দায়িত্ব আরও কমিয়ে ফেলা উচিত। শুধু কিছু নীতিগত বিষয় ছাড়া আর কোনো কিছুই মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার প্রয়োজন নেই।
বস্তুত, মন্ত্রণালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং বিভাগ হলে দেশের ব্যাংকব্যবস্থা তদারকের ক্ষেত্রে দ্বৈত শাসন দেখা দেবে। আর বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম বৈধ করতে ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হবেন, শুরু হবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার। এতে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এর ফলে গোটা ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, যার সুযোগ নেবে ঋণখেলাপিসহ এই খাতের দুষ্টচক্র। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা যখন আরও উন্নততর করার (ব্যাসেল-২) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন বাংলাদেশও এর বাইরে থাকতে পারবে না। এ জন্য দরকার শক্তিশালী ও স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ সেদিকে অগ্রসর না হয়ে মন্ত্রণালয়ে বিভাগ তৈরি করে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাড়ানোর দিকে পা দেওয়ার মতো পদক্ষেপ সরকার কেন নিতে যাচ্ছে, তা বোঝা মুশকিল। আর্থিক খাতের দীর্ঘমেয়াদি শৃঙ্খলার স্বার্থে সরকারের এই পদক্ষেপ থেকে সরে আসা প্রয়োজন।
প্রশ্ন হলো, কেন আলাদাভাবে এই ব্যাংকিং বিভাগ স্থাপন করতে হবে? এর কাজই বা কী হবে? এ প্রশ্নগুলোর কোনো সদুত্তর এখন পর্যন্ত মেলেনি। যেটুকু জানা গেছে, তাতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে আর্থিক খাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কাজে গতি আনতে এই বিভাগ স্থাপন করা হচ্ছে। এটা কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে না। দেশের ব্যাংকিং খাত তদারক করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা আছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মতত্পরতাই প্রমাণ করে যে এই দায়িত্ব পালনে তারা যথেষ্ট সক্ষম। বরং, আরও ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোটাই বেশি জরুরি। সে ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক-বিষয়ক যাবতীয় দায়িত্ব আরও কমিয়ে ফেলা উচিত। শুধু কিছু নীতিগত বিষয় ছাড়া আর কোনো কিছুই মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার প্রয়োজন নেই।
বস্তুত, মন্ত্রণালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং বিভাগ হলে দেশের ব্যাংকব্যবস্থা তদারকের ক্ষেত্রে দ্বৈত শাসন দেখা দেবে। আর বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম বৈধ করতে ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হবেন, শুরু হবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার। এতে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এর ফলে গোটা ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, যার সুযোগ নেবে ঋণখেলাপিসহ এই খাতের দুষ্টচক্র। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা যখন আরও উন্নততর করার (ব্যাসেল-২) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন বাংলাদেশও এর বাইরে থাকতে পারবে না। এ জন্য দরকার শক্তিশালী ও স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ সেদিকে অগ্রসর না হয়ে মন্ত্রণালয়ে বিভাগ তৈরি করে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাড়ানোর দিকে পা দেওয়ার মতো পদক্ষেপ সরকার কেন নিতে যাচ্ছে, তা বোঝা মুশকিল। আর্থিক খাতের দীর্ঘমেয়াদি শৃঙ্খলার স্বার্থে সরকারের এই পদক্ষেপ থেকে সরে আসা প্রয়োজন।
No comments