বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির ছয়টি মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে! by আসজাদুল কিবরিয়া
বিশ্বমন্দার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখা যাচ্ছে। এ ধারণা জোরালো হয়েছে গত বৃহস্পতিবার অনেকটা নাটকীয়ভাবেই জার্মানি ও ফ্রান্স প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসার ঘোষণা দেওয়ায়।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দুই দেশের মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। এর ফলে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির চারটি দেশই মন্দার চক্র থেকে বেরিয়ে এল। গতকাল দ্য ইকোনমিক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
এ ছাড়া সপ্তাহ শেষে আরও বেশ কিছু অর্থনৈতিক সূচকের তথ্য প্রকাশ হওয়ায় ক্রয়ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির ছয়টি দেশই আর মন্দার মধ্যে নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুর থেকে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব অর্থনীতি বিষয়ে যে আস্থাসূচক (ব্লুমবার্গ প্রফেশনাল গ্লোবাল কনফিডেন্স ইনডেক্স) প্রকাশ করা হয়েছে, তা ২২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
আগস্ট মাসে এই সূচক হয়েছে ৫৮ দশমিক ১২, যা জুলাই মাসে ছিল ৩৯ দশমিক ১৩। এর মানে হলো এখন বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদীদের পাল্লাটাই ভারী।
শীর্ষ ১০ অর্থনীতির মধ্যে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কম হলেও এখন তা যথেষ্ট গতিময়তা পেয়েছে। জাপানও মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জার্মানি ও ফ্রান্স দুই দেশই টানা চার প্রান্তিক নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির চক্রে থাকার পর প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক চিত্র দেখল।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মন্দা থেকে বেরিয়ে আসার বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিয়েছে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নীতিনির্ধারণী সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে।
আবার জুন মাস শেষে আমেরিকার বাণিজ্য-ঘাটতি হ্রাস পেয়ে দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর গত জুনে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। এএফপি এ খবর পরিবেশন করেছে।
তবে আমেরিকা এখনো মন্দার মধ্যেই রয়ে গেছে। আর গত শুক্রবারই খবর এসেছে যে আলবামাভিত্তিক কলোনিয়াল ব্যাংকগ্রুপ দেউলিয়া হয়ে গেছে। দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সম্পদ ও ৩৪৬টি শাখাসংবলিত এই ব্যাংকটি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকপতনের সবচেয়ে বড় ঘটনা।
এএফপি জানিয়েছে, ২০০৫ ও ২০০৭ সালে আমেরিকায় কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি। ২০০৭ সালে তিনটি ব্যাংকের পতন ঘটে। কিন্তু ২০০৮ সালে ২৫টি ব্যাংকে লালবাতি জ্বলার মধ্য দিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে।
আমেরিকার ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অবশ্য কলোনিয়ালের দুই হাজার কোটি ডলারের আমানত ও দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ নর্থ ক্যারোলাইনাভিত্তিক ব্যাংক বিবিঅ্যান্ডটির কাছে বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।
এই পাঁচটি দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে মোট জিডিপির (পিপিপি হিসেবে) ৪৭ শতাংশ দখল করে রেখেছে।
ইউরো অঞ্চলেও জিডিপি জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে যেখানে আড়াই শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছিল, সেখানে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এই সংকোচনের হার কমে দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ইতিবাচক দিকে যাওয়ারই আভাস দিচ্ছে।
অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলের প্রবৃদ্ধিও আলোচ্য প্রান্তিকে দেড় শতাংশ হারে বেড়েছে। দেশটির প্রধান শেয়ারবাজার সর্বশেষ কার্যদিবসে ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাজ্য ও দশম বৃহত্তম অর্থনীতি ইতালি এখনো মন্দার রাহুগ্রাসে রয়ে গেছে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দুই দেশের মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার হয়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। এর ফলে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির চারটি দেশই মন্দার চক্র থেকে বেরিয়ে এল। গতকাল দ্য ইকোনমিক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
এ ছাড়া সপ্তাহ শেষে আরও বেশ কিছু অর্থনৈতিক সূচকের তথ্য প্রকাশ হওয়ায় ক্রয়ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির ছয়টি দেশই আর মন্দার মধ্যে নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুর থেকে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব অর্থনীতি বিষয়ে যে আস্থাসূচক (ব্লুমবার্গ প্রফেশনাল গ্লোবাল কনফিডেন্স ইনডেক্স) প্রকাশ করা হয়েছে, তা ২২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
আগস্ট মাসে এই সূচক হয়েছে ৫৮ দশমিক ১২, যা জুলাই মাসে ছিল ৩৯ দশমিক ১৩। এর মানে হলো এখন বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদীদের পাল্লাটাই ভারী।
শীর্ষ ১০ অর্থনীতির মধ্যে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কম হলেও এখন তা যথেষ্ট গতিময়তা পেয়েছে। জাপানও মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জার্মানি ও ফ্রান্স দুই দেশই টানা চার প্রান্তিক নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির চক্রে থাকার পর প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক চিত্র দেখল।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মন্দা থেকে বেরিয়ে আসার বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিয়েছে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নীতিনির্ধারণী সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে।
আবার জুন মাস শেষে আমেরিকার বাণিজ্য-ঘাটতি হ্রাস পেয়ে দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর গত জুনে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। এএফপি এ খবর পরিবেশন করেছে।
তবে আমেরিকা এখনো মন্দার মধ্যেই রয়ে গেছে। আর গত শুক্রবারই খবর এসেছে যে আলবামাভিত্তিক কলোনিয়াল ব্যাংকগ্রুপ দেউলিয়া হয়ে গেছে। দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সম্পদ ও ৩৪৬টি শাখাসংবলিত এই ব্যাংকটি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকপতনের সবচেয়ে বড় ঘটনা।
এএফপি জানিয়েছে, ২০০৫ ও ২০০৭ সালে আমেরিকায় কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি। ২০০৭ সালে তিনটি ব্যাংকের পতন ঘটে। কিন্তু ২০০৮ সালে ২৫টি ব্যাংকে লালবাতি জ্বলার মধ্য দিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে।
আমেরিকার ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অবশ্য কলোনিয়ালের দুই হাজার কোটি ডলারের আমানত ও দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ নর্থ ক্যারোলাইনাভিত্তিক ব্যাংক বিবিঅ্যান্ডটির কাছে বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।
এই পাঁচটি দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে মোট জিডিপির (পিপিপি হিসেবে) ৪৭ শতাংশ দখল করে রেখেছে।
ইউরো অঞ্চলেও জিডিপি জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে যেখানে আড়াই শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছিল, সেখানে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এই সংকোচনের হার কমে দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ইতিবাচক দিকে যাওয়ারই আভাস দিচ্ছে।
অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলের প্রবৃদ্ধিও আলোচ্য প্রান্তিকে দেড় শতাংশ হারে বেড়েছে। দেশটির প্রধান শেয়ারবাজার সর্বশেষ কার্যদিবসে ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাজ্য ও দশম বৃহত্তম অর্থনীতি ইতালি এখনো মন্দার রাহুগ্রাসে রয়ে গেছে।
No comments