কালিয়াকৈরে গ্যাসের সংকটে কারখানায় উত্পাদন ব্যাহত, শিল্পমালিকেরা হতাশ by মাসুদ রানা
গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে কালিয়াকৈর উপজেলা হয়ে যমুনা সেতু পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার শিল্প-কারখানাগুলোতে বিদ্যুতের পাশাপাশি হঠাত্ করে গ্যাসের সংকটও দেখা দিয়েছে। এতে শিল্প-কারখানার মালিকেরা হতাশায় ভুগছেন। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাসের সংকট বা গ্যাসের চাপ কম থাকায় কারখানায় প্রতিনিয়ত উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে।
শিল্প-মালিকেরা জানান, প্রায় সব ধরনের সুবিধা থাকার ফলেই এই এলাকায় ওষুধ, জুতা, কোমলপানীয়, পাট, স্পিনিং, সোয়েটারসহ বহু তৈরি পোশাক-কারখানা গড়ে উঠলেও এখন বিদ্যুত্ ও গ্যাসের সংকটে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন।
এদিকে তিতাস গ্যাসের গাজীপুর শাখার উপমহাব্যবস্থাপক নওশাদ ইসলাম প্রথম আলোর কাছে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় টঙ্গী, গাজীপুর ও কালিয়াকৈর এলাকায় গ্যাসের চাপ কম রয়েছে।
উপজেলার সফিপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের সবাই প্রায় একই সুরে অভিযোগ করেন যে দুই সপ্তাহ ধরে তাঁদের কারখানাগুলোয় বেলা ১১টা থেকে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে এবং তা টানা বিকেল চারটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। যে কারণে কারখানার বেশির ভাগ মেশিনই বন্ধ রাখতে হয়। তাই উত্পাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কম হচ্ছে এবং তাঁরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না।
এ অবস্থায় রপ্তানিমুখী শিল্পমালিকেরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ে কারখানা বন্ধ হওয়া, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাওয়া এবং নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠার সম্ভাবনা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বলে জানান।
সফিপুরের মালেক স্পিনিং কারখানার নির্বাহী পরিচালক হাসান আহাম্মেদ জানান, গত জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমতে থাকে এবং দিনদিন তা প্রকট আকার ধারণ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিসিক শিল্প নগরীর কল-কারখানাগুলো। এ ছাড়া তেলিরচালা এলাকার সেজাদ সোয়াটার অ্যান্ড স্পিনিং, পূর্বানী গ্রুপ, হাইড্রো অক্সাইড লিমিটেড, মৌচাক এলাকার লিবাস টেক্সটাইল লিমিটেড, মোশাইদ, এম এস গ্রুপ, সফিপুর এলাকার যমুনা গ্রুপের শামীম কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, শামীম স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, রহিম টেক্সটাইল, ময়জুদ্দিন স্পিনিং, অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং, পল্লী বিদ্যুত্ এলাকার স্টার লিং, আয়মন টেক্সটাইল, ডংবাং লিমিটেড, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, বাড়ইপাড়া এলাকার বিডি হেচং লিমিটেডসহ আরও স্পিনিং কারখানার মালিকেরা তিতাস গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী খালিদ হাসান প্রথম আলোকে জানান, বিদ্যুত্ উত্পাদনে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করায় এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে মিল-কারখানাগুলোর ওপর। তবে কবে নাগাদ এর সমাধান হবে, তাও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্প-মালিকেরা জানান, প্রায় সব ধরনের সুবিধা থাকার ফলেই এই এলাকায় ওষুধ, জুতা, কোমলপানীয়, পাট, স্পিনিং, সোয়েটারসহ বহু তৈরি পোশাক-কারখানা গড়ে উঠলেও এখন বিদ্যুত্ ও গ্যাসের সংকটে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন।
এদিকে তিতাস গ্যাসের গাজীপুর শাখার উপমহাব্যবস্থাপক নওশাদ ইসলাম প্রথম আলোর কাছে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় টঙ্গী, গাজীপুর ও কালিয়াকৈর এলাকায় গ্যাসের চাপ কম রয়েছে।
উপজেলার সফিপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের সবাই প্রায় একই সুরে অভিযোগ করেন যে দুই সপ্তাহ ধরে তাঁদের কারখানাগুলোয় বেলা ১১টা থেকে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে এবং তা টানা বিকেল চারটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। যে কারণে কারখানার বেশির ভাগ মেশিনই বন্ধ রাখতে হয়। তাই উত্পাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কম হচ্ছে এবং তাঁরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না।
এ অবস্থায় রপ্তানিমুখী শিল্পমালিকেরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ে কারখানা বন্ধ হওয়া, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাওয়া এবং নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠার সম্ভাবনা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বলে জানান।
সফিপুরের মালেক স্পিনিং কারখানার নির্বাহী পরিচালক হাসান আহাম্মেদ জানান, গত জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমতে থাকে এবং দিনদিন তা প্রকট আকার ধারণ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিসিক শিল্প নগরীর কল-কারখানাগুলো। এ ছাড়া তেলিরচালা এলাকার সেজাদ সোয়াটার অ্যান্ড স্পিনিং, পূর্বানী গ্রুপ, হাইড্রো অক্সাইড লিমিটেড, মৌচাক এলাকার লিবাস টেক্সটাইল লিমিটেড, মোশাইদ, এম এস গ্রুপ, সফিপুর এলাকার যমুনা গ্রুপের শামীম কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, শামীম স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, রহিম টেক্সটাইল, ময়জুদ্দিন স্পিনিং, অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং, পল্লী বিদ্যুত্ এলাকার স্টার লিং, আয়মন টেক্সটাইল, ডংবাং লিমিটেড, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, বাড়ইপাড়া এলাকার বিডি হেচং লিমিটেডসহ আরও স্পিনিং কারখানার মালিকেরা তিতাস গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী খালিদ হাসান প্রথম আলোকে জানান, বিদ্যুত্ উত্পাদনে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করায় এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে মিল-কারখানাগুলোর ওপর। তবে কবে নাগাদ এর সমাধান হবে, তাও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
No comments