প্রক্রিয়া শুরুর ১১ বছর পর দেশে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইন হচ্ছে by ফখরুল ইসলাম
প্রক্রিয়া শুরুর ১১ বছর পর দেশে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইন হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। আইনটি পাস হলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মতো আলাদা সনদ পাবেন কোম্পানি সচিব বা ব্যবস্থাপকেরা।
জানা যায়, ব্যবসায়-বাণিজ্যে উন্নত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বা কোম্পানির সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কোম্পানি সচিব বা ব্যবস্থাপকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে এ পদটি অবহেলিত। পেশাগতভাবে দক্ষ নন এমন লোকেরা এ পদে চাকরি করছেন, যা সুশাসনের অন্তরায়।
এসব বিবেচনা থেকে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অ্যান্ড ম্যানেজারস অব বাংলাদেশ (আইসিএসএমবি) আগেরবারের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৯৯৮ সালে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইনের প্রয়োজনীয়তার দিক তুলে ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব দেয়।
এর পর কয়েক দফা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েও আটকে যায় প্রস্তাবিত এ আইন। অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের জুনে এ আইনের গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু নানা অজুহাতে একে আর কার্যকর হতে দেওয়া হয়নি।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইন-২০০৯ অনুমোদিত হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, শিগগির তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভেটিং শেষে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিল আকারে উপস্থাপন করা হবে জাতীয় সংসদে।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে গঠন করা হয় আইসিএসএমবি। নির্বাচিত ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এর উদ্দেশ্য হলো বিশেষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অর্থাত্ কোম্পানি সচিব বা ব্যবস্থাপকদের পেশাগত যোগ্যতা অর্জনের সনদ দেওয়া। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা আইন না থাকায় এমন সনদ দিতে পারছিল না আইসিএসএমবি।
এ কারণেই আইসিএসএমবি ১৯৯৮ সালে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইনের প্রস্তাব জমা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু ‘দি বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অর্ডার-১৯৭০’ ও ‘দি কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অধ্যাদেশ-১৯৭৭’-এর সঙ্গে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হওয়ার আশঙ্কা থেকে দীর্ঘদিন তা আটকে রাখা হয়।
শেষ পর্যন্ত ২০০৩ সালের মার্চে উল্লিখিত দুই আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইনের স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই বলে মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
এরপর প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অধ্যাদেশ-২০০৭-এর সঙ্গে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ বিল-২০০৬-এর সম্ভাব্য অসংগতি পরীক্ষা করা হয়। এতেও স্বার্থের বিরোধ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা বাদ পড়ায় ওই বিলের সংশোধনীর প্রস্তাব করে আইসিএসএমবি।
সূত্র জানায়, আইসিএসএমবির ওই প্রস্তাবের পর ২০০৮ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি অনুমোদিত হয় এবং ওই বছরেরই জুনে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হয় এর গেজেট।
কিন্তু এই অধ্যাদেশের বেশ কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়ে। সেগুলো দূর করে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আবারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
সূত্রমতে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি আবারও অধ্যাদেশটির সংশোধিত গেজেট প্রকাশের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু ৬ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিন থাকায় এতে আইন উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আর ১৪ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠায়।
জানা যায়, ব্যবসায়-বাণিজ্যে উন্নত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বা কোম্পানির সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কোম্পানি সচিব বা ব্যবস্থাপকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে এ পদটি অবহেলিত। পেশাগতভাবে দক্ষ নন এমন লোকেরা এ পদে চাকরি করছেন, যা সুশাসনের অন্তরায়।
এসব বিবেচনা থেকে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অ্যান্ড ম্যানেজারস অব বাংলাদেশ (আইসিএসএমবি) আগেরবারের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৯৯৮ সালে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইনের প্রয়োজনীয়তার দিক তুলে ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব দেয়।
এর পর কয়েক দফা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েও আটকে যায় প্রস্তাবিত এ আইন। অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের জুনে এ আইনের গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু নানা অজুহাতে একে আর কার্যকর হতে দেওয়া হয়নি।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইন-২০০৯ অনুমোদিত হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, শিগগির তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভেটিং শেষে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিল আকারে উপস্থাপন করা হবে জাতীয় সংসদে।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে গঠন করা হয় আইসিএসএমবি। নির্বাচিত ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এর উদ্দেশ্য হলো বিশেষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অর্থাত্ কোম্পানি সচিব বা ব্যবস্থাপকদের পেশাগত যোগ্যতা অর্জনের সনদ দেওয়া। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা আইন না থাকায় এমন সনদ দিতে পারছিল না আইসিএসএমবি।
এ কারণেই আইসিএসএমবি ১৯৯৮ সালে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইনের প্রস্তাব জমা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু ‘দি বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অর্ডার-১৯৭০’ ও ‘দি কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অধ্যাদেশ-১৯৭৭’-এর সঙ্গে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হওয়ার আশঙ্কা থেকে দীর্ঘদিন তা আটকে রাখা হয়।
শেষ পর্যন্ত ২০০৩ সালের মার্চে উল্লিখিত দুই আইনের সঙ্গে প্রস্তাবিত চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইনের স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই বলে মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
এরপর প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অধ্যাদেশ-২০০৭-এর সঙ্গে চার্টার্ড সেক্রেটারিজ বিল-২০০৬-এর সম্ভাব্য অসংগতি পরীক্ষা করা হয়। এতেও স্বার্থের বিরোধ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা বাদ পড়ায় ওই বিলের সংশোধনীর প্রস্তাব করে আইসিএসএমবি।
সূত্র জানায়, আইসিএসএমবির ওই প্রস্তাবের পর ২০০৮ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি অনুমোদিত হয় এবং ওই বছরেরই জুনে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হয় এর গেজেট।
কিন্তু এই অধ্যাদেশের বেশ কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়ে। সেগুলো দূর করে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আবারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
সূত্রমতে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি আবারও অধ্যাদেশটির সংশোধিত গেজেট প্রকাশের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু ৬ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিন থাকায় এতে আইন উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আর ১৪ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠায়।
No comments