আল-মেগরাহিকে মুক্তি না দিতে স্কটল্যান্ডের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
লকারবি বোমা হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত লিবীয় নাগরিক আল-মেগরাহিকে মুক্তি না দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জোরালোভাবে বলেছেন, স্কটল্যান্ডের কারাগারেই আল-মেগরাহির শাস্তি ভোগ করা উচিত।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আল-মেগরাহিকে মুক্তি না দিতে স্কটল্যান্ড কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দেয়। আল-মেগরাহি ব্রিটিশ কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত আল-মেগরাহি। স্কটল্যান্ড রাজ্যের বিচারমন্ত্রী কেনি ম্যাকআসকিল আগামী সপ্তাহে তাঁর মুক্তির ঘোষণা দিতে পারেন। এ খবরের পর থেকেই মার্কিন কর্তারা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন।
১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবি গ্রামের আকাশে একটি যাত্রীবাহী বিমানে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ২৭০ জন আরোহী মারা যায়। এদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী। তারা ইউরোপে পড়াশোনা করত। বড়দিনের ছুটি কাটাতে দেশে ফিরছিল।
ওই ঘটনায় নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক আদালতে স্কটল্যান্ডের আইনে আল-মেগরাহির বিচার হয়। হেগের আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সাজার ২৭ বছর পর তাঁর মুক্তির বিষয়টি বৈধ হওয়ার কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আফ্রিকা সফর শেষে গত শুক্রবার দেশে ফিরেই হিলারি ক্লিনটন স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী কেনি ম্যাকআসকিলকে ফোন করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেছেন, ‘আল-মেগরাহির কারাবাসের পেছনে অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে। আমরা সব সময় ন্যায়বিচারের পক্ষে। আমরা লকারবি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে এ ঘটনার পেছনে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি দাড় করানোর জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’ ক্রাউলি আরও বলেছেন, আল-মেগরাহির বিচার হয়েছে। তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। তিনি দোষী। তিনি শাস্তি ভোগ করছেন। আমরা মনে করি, তাঁকে কারাবন্দী করেই রাখা উচিত।’
লিবিয়া সরকার ব্রিটেনের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী আল-মেগরাহিকে তাঁর দেশে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে। স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী লিবীয় সরকারের এ অনুরোধ বিবেচনা করছে।
এদিকে স্কটল্যান্ড সরকার বলেছে, আল-মেগরাহির ভবিষ্যতের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী বলেছেন, লকারবি বোমা হামলার দায় থেকে মুক্তি পেতে আল-মেগরাহির আপিল খারিজ করে দিতে তাঁর ওপর কোনো প্রকার চাপ নেই।
বর্তমানে লিবিয়া সফররত মার্কিন সিনেটরদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিষয়টি নিয়ে ত্রিপলী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ওই দলের সদস্য রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা চান না যে, আল-মেগরাহি মুক্তি পাক।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আল-মেগরাহিকে মুক্তি না দিতে স্কটল্যান্ড কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দেয়। আল-মেগরাহি ব্রিটিশ কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত আল-মেগরাহি। স্কটল্যান্ড রাজ্যের বিচারমন্ত্রী কেনি ম্যাকআসকিল আগামী সপ্তাহে তাঁর মুক্তির ঘোষণা দিতে পারেন। এ খবরের পর থেকেই মার্কিন কর্তারা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন।
১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবি গ্রামের আকাশে একটি যাত্রীবাহী বিমানে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ২৭০ জন আরোহী মারা যায়। এদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী। তারা ইউরোপে পড়াশোনা করত। বড়দিনের ছুটি কাটাতে দেশে ফিরছিল।
ওই ঘটনায় নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক আদালতে স্কটল্যান্ডের আইনে আল-মেগরাহির বিচার হয়। হেগের আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সাজার ২৭ বছর পর তাঁর মুক্তির বিষয়টি বৈধ হওয়ার কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আফ্রিকা সফর শেষে গত শুক্রবার দেশে ফিরেই হিলারি ক্লিনটন স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী কেনি ম্যাকআসকিলকে ফোন করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেছেন, ‘আল-মেগরাহির কারাবাসের পেছনে অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে। আমরা সব সময় ন্যায়বিচারের পক্ষে। আমরা লকারবি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে এ ঘটনার পেছনে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি দাড় করানোর জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’ ক্রাউলি আরও বলেছেন, আল-মেগরাহির বিচার হয়েছে। তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। তিনি দোষী। তিনি শাস্তি ভোগ করছেন। আমরা মনে করি, তাঁকে কারাবন্দী করেই রাখা উচিত।’
লিবিয়া সরকার ব্রিটেনের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী আল-মেগরাহিকে তাঁর দেশে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে। স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী লিবীয় সরকারের এ অনুরোধ বিবেচনা করছে।
এদিকে স্কটল্যান্ড সরকার বলেছে, আল-মেগরাহির ভবিষ্যতের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী বলেছেন, লকারবি বোমা হামলার দায় থেকে মুক্তি পেতে আল-মেগরাহির আপিল খারিজ করে দিতে তাঁর ওপর কোনো প্রকার চাপ নেই।
বর্তমানে লিবিয়া সফররত মার্কিন সিনেটরদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিষয়টি নিয়ে ত্রিপলী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ওই দলের সদস্য রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা চান না যে, আল-মেগরাহি মুক্তি পাক।
No comments