ক্ষোভে-দুঃখে আমেরিকা ছাড়ছেন প্রখ্যাত হলিউড পরিচালক জেমস ক্যামেরন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেছেন ডনাল্ড  ট্রাম্প। এদিকে প্রখ্যাত হলিউড পরিচালক তথা কালজয়ী সিনেমা টাইটানিক-এর স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন ক্ষোভে-দুঃখে আমেরিকা ছাড়ছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কারণ, ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়া মেনে নিতে পারছেন না এই অস্কারজয়ী পরিচালক। ক্যামেরন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকা যা কিছু শালীন ছিল তার থেকে বিপরীতগামী হয়ে গিয়েছে। টাইটানিক ছবির পরিচালক ২০১২ সাল থেকেই নিউজিল্যান্ডের সাউথ ওয়াইরারাপা-য় একটি বিরাট ডেয়ারি ফার্ম চালান। অবতার ছবির সময় তিনি নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েলিংটন্স ওয়েটা ডিজিটালের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। যে ছবিটি ভিজুয়াল এফেক্টসে অস্কার জেতে। সেই ক্যামেরন অনেকদিন ধরেই পাকাপাকিভাবে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হয়ে আমেরিকা-ত্যাগের কথা বলে আসছিলেন।

নিউজিল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমে ৭০ বছর বয়সী ক্যামেরনকে সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্পের দ্বিতীবার নির্বাচন নিয়ে তিনি কীরকম আতঙ্কে ছিলেন? ক্যামেরন জবাবে বলেন, আমি মনে করি এটা ভয়ঙ্কর। ঐতিহাসিক দিক থেকে আমেরিকা যুগ যুগ ধরে যে আদর্শের উপর দাঁড়িয়ে আছে, এখন তা উল্টোদিকে মোড় নিচ্ছে। পুরোটাই ফাঁপা একটি নীতির ওপর দাঁড়িয়ে। আমি মনে করি, ওরা ( ট্রাম্প প্রশাসন ) যত দ্রুত সম্ভব ওদের লাভের জন্য দেশটাকেও ফোঁপড়া করে দেবে।

তিনি বলেন, তার নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। ক্যামেরনের কথায়, এটি এমন একটি বিষয় যা আমি অর্জনের জন্য কাজ করেছি, যার জন্য আমাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। যদি আপনি আপনার পরিবারকে উপড়ে ফেলে কোথাও চলে যেতে চান, তাহলে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে, আপনাকে এর অংশ হতে হবে, আপনাকে মর্যাদা অর্জন করতে হবে।

ক্যামেরন নিউজিল্যান্ডকে তার জন্মভূমি কানাডার সাথে তুলনা করে বলেন, 'আমি কানাডায় বড় হয়েছি এবং এখানকার মানুষের আচরণের মধ্যে অনেক মিল দেখতে পাই। আসলে এখানে আমার একটু বেশি ভালো লাগে। এখানকার মানুষ সহজাত শ্রদ্ধার দাবি রাখে। আমি চেয়েছিলাম আমার সন্তানেরাও এটাই অনুভব করুক।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

mzamin


No comments

Powered by Blogger.