যুক্তরাষ্ট্রবিহীন এশিয়ার নিরাপত্তা কতোটা বিপজ্জনক হবে?
তা সত্ত্বেও ট্রাম্পিয়ান আমেরিকার সঙ্গে এশিয়ার একটি নতুন হিসাব-নিকাশ শুরু হচ্ছে। জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের মধ্যে যে অবস্থা দেখা গেছে ওভাল অফিসে তাতে দেখা যায় যে, দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিয়ে যেকোনো সময় আপস হতে পারে। এমনটা মনে করেন দক্ষিণ কোারিয়ার রক্ষণশীল ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি আহন চিওল-সু। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে উদগ্রিব ট্রাম্প। এর ফলে এই ধারণা আসতে পারে যে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অথবা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে একই রকম সমঝোতায় আসতে পারেন ট্রাম্প। তার এই যে লেনাদেনা এ থেকে এশিয়ার মিত্ররাও রেহাই পাবেন বলে মনে হয় না। এ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার শুল্ক বাধার বিরুদ্ধে র্যালিতে অংশ নেন তিনি। অভিযোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের জোট অন্যায্য। ইউনিভার্সিটি অব টোকিও’র ফুজিওয়ারা কিচি বলেন, শুধু ইউরোপিয়ান দেশগুলোই নয়। জাপানও একটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়তে বাধ্য হবে, যখন তারা দেখবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আর নির্ভর করা যাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে এশিয়ার মিত্ররা কী করতে পারেন? একটি জবাব হতে পারে ডনাল্ড ট্রাম্পের সুদৃষ্টিতে থাকা। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বিনিয়োগ করার মধ্য দিয়ে সমঝোতা হতে পারে। ট্রাম্প চাইছেন আলাস্কা থেকে বড় আকারের নতুন পাইপলাইনের মাধ্যমে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস নেয়া শুরু করুক জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। জাহাজ তৈরি থেকে অর্ধপরিবাহীর কারখানা হিসেবে এশিয়ার মিত্রদের বেশ কিছু সুবিধা আছে। তারাও বৈচিত্র্যকরণের ঝুঁকি শুরু করতে পারে।
কিন্তু ইউরোপের চেয়ে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য কঠিন হবে। টোকিওর গাকুশুইন ইউনিভার্সিটির হিকোতানি তাকাকো বলেন, আমরা যদি নিজেরা আরও অনেক কিছু করি, তার মানে এই নয় যে, আমরা নিজেরা ঠিক থাকবো। যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ রাখলে ন্যাটোর বাকি মিত্রদের প্রতিরক্ষা খরচ হবে রাশিয়ার তিনগুণ। অন্যদিকে এশিয়ায় (অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ড) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যয় চীনের প্রায় অর্ধেক।
No comments