বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত্রী পিটালেন পাত্রকে, বাতিল বিয়ে
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে মালাবদল প্রক্রিয়া যখন শুরু হয় তখন রবীন্দ্র কুমার ভুল করে তার নববধূর পরিবর্তে তার সেরা বন্ধুর গলায় মালা পরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে নিজের ভুল বুঝতে পারেন তিনি। ফলে সেই মালা খুলে নেন। তারপর তা একজন পুরুষ বন্ধুর গলায় পরিয়ে দেন। এরপর তা একজন বয়স্ক অতিথির গলায় পরিয়ে দেন। এতে উপস্থিত অতিথিরা বিস্ময়ে হা করে রইলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় রাধা দেবী (২১) উঠে গিয়ে রবীন্দ্র কুমারের মুখে থাপ্পড় বসিয়ে দেন। তারপর বিয়ের আসর থেকে উঠে যান। বাতিল করে দেন বিয়ে। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কনের পরিবার পরে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। তাতে বলা হয়, যৌতুক হিসেবে চার লাখ ৫০ হাজার রুপি পরিশোধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও রবীন্দ্র কুমারের পরিবার আরও যৌতুক দাবি করছিল। রাধা দেবীর ভাই ওমকারা বর্মা বলেন, পাত্রপক্ষ তাদেরকে অবমাননা করার নাটক সাজিয়েছিল। এ ছাড়া রবীন্দ্র কুমার নিজের পেশা সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছে। রবীন্দ্র কুমার নিজেকে একজন কৃষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। আসলে সে একজন ট্রাকচালক। ওইদিন ভোর ৪টা পর্যন্ত রবীন্দ্র কুমার ও তার বন্ধুরা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। তার মেডিকেল পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার শরীরে মাদকের ক্রিয়া রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতের যৌতুকবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। ওদিকে বিয়েটা মেনে নেয়ার জন্য পরিবার অনুরোধ সত্ত্বেও মিস রাধা দেবী তা বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
No comments