বিবর্তন প্রক্রিয়ায় বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেলো যে পাখি প্রজাতি
আলদাবরা
আতোল হলো ভারত মহাসাগরে অবস্থিত চারটি প্রবাল দ্বীপগুচ্ছ। একসময় সেখানে
ওড়ার সক্ষমতাহীন আলদাবরা রেল (ফ্লাইটলেস রেল) পাখিদের বসবাস ছিল। এতোদিন
ধারণা ছিল, ১ লাখ বছরেরও বেশি সময় আগে সেখান থেকে আদিম প্রজাতির পাখিগুলো
পুরোপুরিভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে এবার এ প্রজাতির পাখি নিয়ে নতুন করে
আশার বাণী শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, আতোল দ্বীপ থেকে ওই আদিম
আলদাবরা প্রজাতির পাখি একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। সে একই প্রজাতি থেকে
সেখানে নতুন করে বিবর্তিত হয়েছে উড্ডয়ন ক্ষমতাহীন পাখি। আলদাবরা আতোল
প্রবাল দ্বীপগুচ্ছ থেকে পাওয়া জীবাশ্ম পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এবং পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ
দাবি করেছেন। এ সপ্তাহে লিনিয়ান সোসাইটির জুলোজিক্যাল জার্নাল-এ গবেষণা
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, আলদাবরা আতোল দ্বীপগুচ্ছ হলো রেলিডে পরিবারের আলদাবরা রেল নামক পাখি প্রজাতির আবাসস্থল। হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতি থেকে এর উদ্ভব। আলদাবরা রেল প্রজাতির পাখি উড়তে না পারলেও হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখিরা উড়তে পারে। মুরগী আকৃতির এ পাখি মূলত মাদাগাস্কারের বাসিন্দা। তবে তারা অন্য নির্জন দ্বীপগুলোও ভ্রমণ করে থাকে এবং সেখানে আবাস গড়ে তোলে।
আলদাবরা আতোলে আবাস স্থাপনকারী হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখিরা শেষ পর্যন্ত বিবর্তিত হতে হতে এমন এক পর্যায়ে দাঁড়ালো যে তারা তাদের ওড়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলো। তারা ফ্লাইটলেস রেল প্রজাতির পাখিতে পরিণত হলো। সেখানে কোনও শিকারী না থাকায় তাদের ওড়ার প্রয়োজন পড়লো না। ওড়ার সক্ষমতা হারানোর কারণে একসময়ে এসে এ পাখি প্রজাতি আবার বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে গেলো। ১ লাখ ৩৬ হাজার বছর আগে আতোল দ্বীপ ভারত মহাসাগরে তলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার প্রাণী ও উদ্ভিদও বিলুপ্ত হয়ে গেলো। একই পরিণতি বরণ করতে হলো উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন (ফ্লাইটলেস) রেল প্রজাতির পাখিকেও।
এ ঘটনার ৩৬ বছর পর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আবারও কমে গেলো এবং আতোল দ্বীপে আবারও হাজির হলো উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন পাখি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ব রেকর্ড থেকে ইঙ্গিত মিলেছে হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখি আবারও দ্বীপটিতে আবাস স্থাপন করেছিল এবং আবারও তারা বিবর্তিত হয়ে উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন উপ প্রজাতিতে পরিণত হয়েছিল।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রধান গবেষক জুলিয়ান হিউম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অনন্য এ জীবাশ্ম এমন এক অকাট্য প্রমাণ হয়ে উঠেছে যে, রেল পরিবারের এক সদস্য সম্ভবত মাদাগাস্কার থেকে এসেছে এবং প্রত্যেকবারই স্বতন্ত্রভাবে উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছে।’ গবেষকরা বলছেন, পুনরাবৃত্তিমূলক বিবর্তনের উল্লেখজনক ঘটনা এটি। এর মানে হলো, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এ পাখি বার বারই একই আদিম প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছে।
পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, আলদাবরা আতোল দ্বীপগুচ্ছ হলো রেলিডে পরিবারের আলদাবরা রেল নামক পাখি প্রজাতির আবাসস্থল। হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতি থেকে এর উদ্ভব। আলদাবরা রেল প্রজাতির পাখি উড়তে না পারলেও হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখিরা উড়তে পারে। মুরগী আকৃতির এ পাখি মূলত মাদাগাস্কারের বাসিন্দা। তবে তারা অন্য নির্জন দ্বীপগুলোও ভ্রমণ করে থাকে এবং সেখানে আবাস গড়ে তোলে।
আলদাবরা আতোলে আবাস স্থাপনকারী হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখিরা শেষ পর্যন্ত বিবর্তিত হতে হতে এমন এক পর্যায়ে দাঁড়ালো যে তারা তাদের ওড়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলো। তারা ফ্লাইটলেস রেল প্রজাতির পাখিতে পরিণত হলো। সেখানে কোনও শিকারী না থাকায় তাদের ওড়ার প্রয়োজন পড়লো না। ওড়ার সক্ষমতা হারানোর কারণে একসময়ে এসে এ পাখি প্রজাতি আবার বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে গেলো। ১ লাখ ৩৬ হাজার বছর আগে আতোল দ্বীপ ভারত মহাসাগরে তলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার প্রাণী ও উদ্ভিদও বিলুপ্ত হয়ে গেলো। একই পরিণতি বরণ করতে হলো উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন (ফ্লাইটলেস) রেল প্রজাতির পাখিকেও।
এ ঘটনার ৩৬ বছর পর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আবারও কমে গেলো এবং আতোল দ্বীপে আবারও হাজির হলো উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন পাখি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ব রেকর্ড থেকে ইঙ্গিত মিলেছে হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখি আবারও দ্বীপটিতে আবাস স্থাপন করেছিল এবং আবারও তারা বিবর্তিত হয়ে উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন উপ প্রজাতিতে পরিণত হয়েছিল।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রধান গবেষক জুলিয়ান হিউম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অনন্য এ জীবাশ্ম এমন এক অকাট্য প্রমাণ হয়ে উঠেছে যে, রেল পরিবারের এক সদস্য সম্ভবত মাদাগাস্কার থেকে এসেছে এবং প্রত্যেকবারই স্বতন্ত্রভাবে উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছে।’ গবেষকরা বলছেন, পুনরাবৃত্তিমূলক বিবর্তনের উল্লেখজনক ঘটনা এটি। এর মানে হলো, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এ পাখি বার বারই একই আদিম প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছে।
No comments