বগুড়ায় সাড়ে চার বছরে মাদক মামলা ১০ হাজার by প্রতীক ওমর
সারা
দেশের ন্যায় বগুড়াতেও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকসেবী। বৃদ্ধি
পাচ্ছে ব্যবসায়ীও। এই অন্ধকার জগতে শামিল হচ্ছে কিশোর, তরুণ-তরুণী। মধ্য
বয়স্ক ব্যক্তিরাও কম নেই। মাদকের টেবিলে আসন পেতেছে শিক্ষিত-অশিক্ষিত এক
সঙ্গে। প্রতিদিন বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের থানাগুলোতে মাদকসেবী এবং কারবারি আটক
হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। হাজতে যাচ্ছে।
কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ভালো পথে ফেরানো যাচ্ছে না। এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়ার কার্যক্রমে হতাশ সাধারণ মানুষ। তাদের দৃশ্যত কোনো ভূমিকা না থাকায় দিন দিন মাদকসেবী এবং মাদক কারবারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
‘বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ লাখের বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে। এসব মাদকাসক্তের ৮৪ ভাগ পুরুষ ও ১৬ ভাগ নারী। সমাজের বিত্তশালী থেকে শুরু করে নারী, শিশু ও কিশোররাও মাদকের সঙ্গে জড়িত।’
বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ কিশোর তরুণ মাদকের সঙ্গে যুক্ত। এদের ৪৫ ভাগ বেকার ও ৬৫ ভাগ আন্ডারগ্রাজুয়েট। উচ্চশিক্ষিতদের সংখ্যা ১৫ শতাংশ।
সরকারে মাদকবিরোধী নানা পদক্ষেপ, নানা উদ্যোগ তেমন কাজে আসছে না। দিন দিন কেন মাদকসেবী বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তরের প্রবেশদ্বার বগুড়ায় আশংকাজনক হারে মাদক কারবারি এবং সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে বগুড়ায় মাদক মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৩০৭ মামলা। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪ হাজার ৩৭২ জন।
বগুড়া জেলার মাদক ও চোরাচালান উদ্ধার সংক্রান্ত বিবরণী: ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা ১ হাজার ৩১০, গ্রেপ্তার ১ হাজার ৭৯৩ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ২২ হাজার ৯৭৩ বোতল, গাঁজা ৬৯২ কেজি, হেরোইন ৪ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ২৮৭ পুরিয়া, ইয়াবা ২৬ হাজার ১৯১ পিস, চোলাই মদ ১৭৮.৫ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ১৪ হাজার ৭৩৯ অ্যাম্পুল, অ্যালকোহল ৩০৫ বোতল, জাওয়া ১ হাজার লিটার, স্প্রিট ৪০ বোতল, বিদেশি মদ ১১ বোতল, বাংলা মদ ৩৫ লিটার, বিয়ার ১২১ ক্যান।
২০১৬ সালে মামলার সংখ্যা ২ হাজার ১৮৫টি। গ্রেপ্তার ২ হাজার ৬০৯ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ১৭ হাজার ২২ বোতল, গাঁজা ৬৪৮ কেজি ৮৪৮ গ্রাম, হেরোইন ৯ কেজি, ইয়াবা ৭১ হাজার ১৮৫ পিস, চোলাই মদ ১ হাজার ২৩৫ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ২৩ হাজার ৭৭০ অ্যাম্পুল, অ্যালকোহল ৭৫ বোতল, জাওয়া ১ হাজার ৫৯৭ লিটার, স্প্রিট ১ হাজার ৩১৪ লিটার, বিদেশি মদ ৯৪৫ বোতল, বিয়ার ১২২ ক্যান।
২০১৭ সালে মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৫১১টি। গ্রেপ্তার ৩ হাজার ১৪৭ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ৯ হাজার ২৬৮ বোতল, গাঁজা ৫৭৮ কেজি ৭৪০ গ্রাম, হেরোইন ৩ কেজি ৩৮৭ গ্রাম, ইয়াবা ১ লাখ ৮ হাজার ৫২৬ পিস, চোলাই মদ ৭ হাজার ১৯৮ লিটার, ওয়াশ ১৫০ লিটার, অ্যালকোহল ১৫০ বোতল ও ১০ লিটার, স্পিরিট ৮ হাজার ১৬০ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৮ হাজার ১শ’ অ্যাম্পুল, এসিডফস ১৪৩ বোতল, বিদেশি মদ ১ বোতল।
২০১৮ মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৮০০টি। গ্রেপ্তার ৩ হাজার ৮৯৭ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ১০ হাজার ৪২৪ বোতল, গাঁজা ৪৫২ কেজি ৭৩০ গ্রাম, হেরোইন ২ কেজি ৫৯৯ গ্রাম, ইয়াবা ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৭ পিস, চোলাই মদ ৪৬১ লিটার, ওয়াশ ১৫০ লিটার, অ্যালকোহল ৪১৪ বোতল, স্পিরিট ৩৮ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৭ হাজার ৯৮৩ অ্যাম্পুল।
২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ১ হাজার ৫০১টি। গ্রেপ্তার ২ হাজার ৯২৬ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ৬ হাজার ১৭৪ বোতল, গাঁজা ৭৯ কেজি ৫৫২ গ্রাম, হেরোইন ১৮১ কেজি ০৪ গ্রাম, ইয়াবা ৪৬ হাজার ৭৬৫ পিস, চোলাই মদ ৬৯২ লিটার, অ্যালকোহল ২৫ বোতল, বিদেশি মদ ১ বোতল, স্পিরিট ২৮.৬৮ বোতল, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৯ হাজার ৪৩৭ অ্যাম্পুল।
অন্যদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়ার কার্যক্রমে হতাশ সাধারণ মানুষ। তাদের দৃশ্যত কোনো ভূমিকা না থাকায় দিন দিন মাদকসেবী এবং মাদক কারবারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
দিন দিন কেন মাদক কারবারি এবং সেবক বাড়ছে, জানতে চেয়েছিলাম বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদের কাছে। তিনি মানবজমিনকে বলেন, তরুণদের নিষিদ্ধের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করা যাবে। বাংলাদেশে মাদক কোথা থেকে কীভাবে আসছে, আইশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক আমদানি রোধ করতে পারছে না কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাদক বিভিন্ন রুটে প্রবেশ করে। ফেনসিডিল আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় ভারতীয় সীমানা আছে। এগুলো সীমান্ত ব্যবহার করেই মাদক কারবারিরা বাংলাদেশে ফেনসিডিল আনছে। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা। এসব মাদকদ্রব্য আকারে ছোট, সহজেই বহনযোগ্য। ফলে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই তারা এসব নিয়ে আসছে। অপরদিকে তিনি আরো বলেন, এসব মাদক যাদের দ্বারা বহন করা হচ্ছে তারা একান্তই ছিন্নমূল মানুষ। ফলে পুলিশের হাতে এসব লোকজনই বেশি ধরা পড়ছে। আড়ালে থেকে যাচ্ছে আসল ব্যবসায়ীরা।
মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজারও পারিবারিক সচেতনার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। তিনি মনে করেন, পরিবার থেকে মাদক বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। সন্তান কি করছে, কাদের সঙ্গে ঘুরছে- এসব বিষয় পারিবারিক ভাবে নজর রাখতে হবে।
এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়ার কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে এই দপ্তর কি ভূমিকা পালন করছেন জানতে চাইলে বগুড়া অফিসের উপ-পরিচালক দিলারা রহমান কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ভালো পথে ফেরানো যাচ্ছে না। এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়ার কার্যক্রমে হতাশ সাধারণ মানুষ। তাদের দৃশ্যত কোনো ভূমিকা না থাকায় দিন দিন মাদকসেবী এবং মাদক কারবারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
‘বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ লাখের বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে। এসব মাদকাসক্তের ৮৪ ভাগ পুরুষ ও ১৬ ভাগ নারী। সমাজের বিত্তশালী থেকে শুরু করে নারী, শিশু ও কিশোররাও মাদকের সঙ্গে জড়িত।’
বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ কিশোর তরুণ মাদকের সঙ্গে যুক্ত। এদের ৪৫ ভাগ বেকার ও ৬৫ ভাগ আন্ডারগ্রাজুয়েট। উচ্চশিক্ষিতদের সংখ্যা ১৫ শতাংশ।
সরকারে মাদকবিরোধী নানা পদক্ষেপ, নানা উদ্যোগ তেমন কাজে আসছে না। দিন দিন কেন মাদকসেবী বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তরের প্রবেশদ্বার বগুড়ায় আশংকাজনক হারে মাদক কারবারি এবং সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে বগুড়ায় মাদক মামলা হয়েছে ১০ হাজার ৩০৭ মামলা। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪ হাজার ৩৭২ জন।
বগুড়া জেলার মাদক ও চোরাচালান উদ্ধার সংক্রান্ত বিবরণী: ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা ১ হাজার ৩১০, গ্রেপ্তার ১ হাজার ৭৯৩ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ২২ হাজার ৯৭৩ বোতল, গাঁজা ৬৯২ কেজি, হেরোইন ৪ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ২৮৭ পুরিয়া, ইয়াবা ২৬ হাজার ১৯১ পিস, চোলাই মদ ১৭৮.৫ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ১৪ হাজার ৭৩৯ অ্যাম্পুল, অ্যালকোহল ৩০৫ বোতল, জাওয়া ১ হাজার লিটার, স্প্রিট ৪০ বোতল, বিদেশি মদ ১১ বোতল, বাংলা মদ ৩৫ লিটার, বিয়ার ১২১ ক্যান।
২০১৬ সালে মামলার সংখ্যা ২ হাজার ১৮৫টি। গ্রেপ্তার ২ হাজার ৬০৯ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ১৭ হাজার ২২ বোতল, গাঁজা ৬৪৮ কেজি ৮৪৮ গ্রাম, হেরোইন ৯ কেজি, ইয়াবা ৭১ হাজার ১৮৫ পিস, চোলাই মদ ১ হাজার ২৩৫ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ২৩ হাজার ৭৭০ অ্যাম্পুল, অ্যালকোহল ৭৫ বোতল, জাওয়া ১ হাজার ৫৯৭ লিটার, স্প্রিট ১ হাজার ৩১৪ লিটার, বিদেশি মদ ৯৪৫ বোতল, বিয়ার ১২২ ক্যান।
২০১৭ সালে মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৫১১টি। গ্রেপ্তার ৩ হাজার ১৪৭ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ৯ হাজার ২৬৮ বোতল, গাঁজা ৫৭৮ কেজি ৭৪০ গ্রাম, হেরোইন ৩ কেজি ৩৮৭ গ্রাম, ইয়াবা ১ লাখ ৮ হাজার ৫২৬ পিস, চোলাই মদ ৭ হাজার ১৯৮ লিটার, ওয়াশ ১৫০ লিটার, অ্যালকোহল ১৫০ বোতল ও ১০ লিটার, স্পিরিট ৮ হাজার ১৬০ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৮ হাজার ১শ’ অ্যাম্পুল, এসিডফস ১৪৩ বোতল, বিদেশি মদ ১ বোতল।
২০১৮ মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৮০০টি। গ্রেপ্তার ৩ হাজার ৮৯৭ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ১০ হাজার ৪২৪ বোতল, গাঁজা ৪৫২ কেজি ৭৩০ গ্রাম, হেরোইন ২ কেজি ৫৯৯ গ্রাম, ইয়াবা ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৭ পিস, চোলাই মদ ৪৬১ লিটার, ওয়াশ ১৫০ লিটার, অ্যালকোহল ৪১৪ বোতল, স্পিরিট ৩৮ লিটার, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৭ হাজার ৯৮৩ অ্যাম্পুল।
২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ১ হাজার ৫০১টি। গ্রেপ্তার ২ হাজার ৯২৬ জন। উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, ফেনসিডিল ৬ হাজার ১৭৪ বোতল, গাঁজা ৭৯ কেজি ৫৫২ গ্রাম, হেরোইন ১৮১ কেজি ০৪ গ্রাম, ইয়াবা ৪৬ হাজার ৭৬৫ পিস, চোলাই মদ ৬৯২ লিটার, অ্যালকোহল ২৫ বোতল, বিদেশি মদ ১ বোতল, স্পিরিট ২৮.৬৮ বোতল, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৯ হাজার ৪৩৭ অ্যাম্পুল।
অন্যদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়ার কার্যক্রমে হতাশ সাধারণ মানুষ। তাদের দৃশ্যত কোনো ভূমিকা না থাকায় দিন দিন মাদকসেবী এবং মাদক কারবারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
দিন দিন কেন মাদক কারবারি এবং সেবক বাড়ছে, জানতে চেয়েছিলাম বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদের কাছে। তিনি মানবজমিনকে বলেন, তরুণদের নিষিদ্ধের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করা যাবে। বাংলাদেশে মাদক কোথা থেকে কীভাবে আসছে, আইশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক আমদানি রোধ করতে পারছে না কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাদক বিভিন্ন রুটে প্রবেশ করে। ফেনসিডিল আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় ভারতীয় সীমানা আছে। এগুলো সীমান্ত ব্যবহার করেই মাদক কারবারিরা বাংলাদেশে ফেনসিডিল আনছে। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা। এসব মাদকদ্রব্য আকারে ছোট, সহজেই বহনযোগ্য। ফলে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই তারা এসব নিয়ে আসছে। অপরদিকে তিনি আরো বলেন, এসব মাদক যাদের দ্বারা বহন করা হচ্ছে তারা একান্তই ছিন্নমূল মানুষ। ফলে পুলিশের হাতে এসব লোকজনই বেশি ধরা পড়ছে। আড়ালে থেকে যাচ্ছে আসল ব্যবসায়ীরা।
মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজারও পারিবারিক সচেতনার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। তিনি মনে করেন, পরিবার থেকে মাদক বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। সন্তান কি করছে, কাদের সঙ্গে ঘুরছে- এসব বিষয় পারিবারিক ভাবে নজর রাখতে হবে।
এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়ার কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে এই দপ্তর কি ভূমিকা পালন করছেন জানতে চাইলে বগুড়া অফিসের উপ-পরিচালক দিলারা রহমান কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
No comments