প্রিয়া সাহা অন্যায় করেননি: -সীতাংশু গুহ
প্রিয়া
সাহা কোন অন্যায় করেননি, কোন অন্যায় দাবিও করেননি, অন্যায় কথাও বলেননি বলে
মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম
নেতা সাংবাদিক সীতাংশু গুহ। ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ প্রসঙ্গে
‘ভয়েস অব আমেরিকা’র কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। সীতাংশু গুহ বলেন, প্রিয়া
সাহা অন্যায় করেননি, অন্যায় করেছেন তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ প্রতিবাদকারীরা।
‘প্রিয়া সাহার অভিযোগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সীতাংশ গুহ বলেন, এ বিষয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র একটি স্টেটমেন্ট ইতিমধ্যে দিয়েছে- সেখানে তারা স্পষ্টভাবেই প্রিয়া সাহা এবং প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে সমর্থন করেছে। আমি এর সাথে যেটুকু যোগ করতে চাই এবং এটা আমাদের সবারই বক্তব্য প্রায় যে, প্রিয়া সাহার প্রশ্নে আমরা আবার অবাক হয়ে দেখলাম, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক চরিত্রটি। যেটি অত্যন্ত বীভৎসভাবে উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের আগে মন্ত্রী এবং নেতৃবৃন্দের দায়িত্বহীন কথাবর্তা- এটি একটি জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাষ্কর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে, তিনি একটি নির্দেশনা দিয়েছেন এবং প্রিয়া সাহার বক্তব্য শুনতে চেয়েছেন। প্রিয়া সাহা কোন অন্যায় করেননি, কোন অন্যায় দাবিও করেননি, অন্যায় কথাও বলেননি।
অন্যায় করেছেন তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ প্রতিবাদকারীরা। প্রিয়া সাহা যে একটি বিশাল সমস্যার ভিত উন্মোচন করেছেন, আসলে এটি নিয়ে কাজ করা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা বলেন, সংখ্যালঘু মিসিং বা ডিজঅ্যাপিয়ার- এটি তো একটি ওপেন সিক্রেট। সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, সমস্যাটি নিয়ে তো কোন বিতর্ক নাই। প্রিয়া যেটি করেছেন, তিনি শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন।
ভয়েস অব আমেরিকাকে ধন্যবাদ দিয়ে সীতাংশু বলেন, আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তিনি প্রিয়া সাহাকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং তিনি প্রিয়া সাহার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি কোন বেসামরিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রথম। এই ঘটনা এর আগে নাই। প্রিয়া সাহাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, তার সাহসের জন্য। আমরা আসলে- উই স্ট্যান্ড উইথ প্রিয়া সাহা এন্ড প্রিয়া সাহা যা বলেছেন তার সঙ্গে।
সীতাংশু গুহ বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে দু’টি সেনসাস হয়েছে। একটা ১৯৭২ সালে, সেখানে ছিল ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ সংখ্যালঘু। আরেকটা হয়েছিল ২০১১ সালে, সেখানে ছিল সংখ্যালঘু ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রিয়া সাহার অভিযোগের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। উনার এই বক্তব্যে তথ্যগত ভুল আছে এবং এটি রাজনৈতিক বক্তব্য। আমার মনে হয় না যে, এটি তথ্যভিত্তিক বক্তব্য। দ্বিতীয়টি হলো, যারা বলছেন যে, ১২ শতাংশ সংখ্যালঘু আছেন, ২৫ শতাংশ চাকুরি করে- এই তথ্যটি সত্য নহে। বাংলাদেশ সরকারে আগে সংখ্যালঘু দেখা যেত না, এখন দেখা যায়। শতাংশটি এখনো ৩-৫ শতাংশ। আমারটা যে সঠিক তাও না, তবে আমাদের স্ট্যাটিসটিক তাই বলে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শাহদীন মালিক, সুলতানা কামাল বা সুফিয়া কামালের মতো লোকজন এখন হারিয়ে যাচ্ছে। অর্থ্যাৎ যে এঙ্গেলে কথা বলা দরকার, সেই এঙ্গেলে কথা না বলে আমরা একটি সম্প্রদায় আরেকটি সম্প্রদায়কে দোষারোপ করে যাচ্ছি। আপনারা শাহরিয়ার কবিরের সর্বশেষ ১৫০০ দিনের যে শ্বেতপত্রটা বের হয়েছে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির, ওইটা দেখেন- ‘ঘাতক-দালালদের’ বাস্তব চিত্রটা। বাংলাদেশে যারা দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নহর বইছে, ঘটনাটি তাহা নহে।
ভয়েস অব আমেরিকার ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে যুক্ত ছিলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
‘প্রিয়া সাহার অভিযোগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সীতাংশ গুহ বলেন, এ বিষয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র একটি স্টেটমেন্ট ইতিমধ্যে দিয়েছে- সেখানে তারা স্পষ্টভাবেই প্রিয়া সাহা এবং প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে সমর্থন করেছে। আমি এর সাথে যেটুকু যোগ করতে চাই এবং এটা আমাদের সবারই বক্তব্য প্রায় যে, প্রিয়া সাহার প্রশ্নে আমরা আবার অবাক হয়ে দেখলাম, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক চরিত্রটি। যেটি অত্যন্ত বীভৎসভাবে উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের আগে মন্ত্রী এবং নেতৃবৃন্দের দায়িত্বহীন কথাবর্তা- এটি একটি জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাষ্কর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে, তিনি একটি নির্দেশনা দিয়েছেন এবং প্রিয়া সাহার বক্তব্য শুনতে চেয়েছেন। প্রিয়া সাহা কোন অন্যায় করেননি, কোন অন্যায় দাবিও করেননি, অন্যায় কথাও বলেননি।
অন্যায় করেছেন তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ প্রতিবাদকারীরা। প্রিয়া সাহা যে একটি বিশাল সমস্যার ভিত উন্মোচন করেছেন, আসলে এটি নিয়ে কাজ করা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা বলেন, সংখ্যালঘু মিসিং বা ডিজঅ্যাপিয়ার- এটি তো একটি ওপেন সিক্রেট। সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, সমস্যাটি নিয়ে তো কোন বিতর্ক নাই। প্রিয়া যেটি করেছেন, তিনি শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন।
ভয়েস অব আমেরিকাকে ধন্যবাদ দিয়ে সীতাংশু বলেন, আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তিনি প্রিয়া সাহাকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং তিনি প্রিয়া সাহার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি কোন বেসামরিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রথম। এই ঘটনা এর আগে নাই। প্রিয়া সাহাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, তার সাহসের জন্য। আমরা আসলে- উই স্ট্যান্ড উইথ প্রিয়া সাহা এন্ড প্রিয়া সাহা যা বলেছেন তার সঙ্গে।
সীতাংশু গুহ বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে দু’টি সেনসাস হয়েছে। একটা ১৯৭২ সালে, সেখানে ছিল ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ সংখ্যালঘু। আরেকটা হয়েছিল ২০১১ সালে, সেখানে ছিল সংখ্যালঘু ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রিয়া সাহার অভিযোগের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। উনার এই বক্তব্যে তথ্যগত ভুল আছে এবং এটি রাজনৈতিক বক্তব্য। আমার মনে হয় না যে, এটি তথ্যভিত্তিক বক্তব্য। দ্বিতীয়টি হলো, যারা বলছেন যে, ১২ শতাংশ সংখ্যালঘু আছেন, ২৫ শতাংশ চাকুরি করে- এই তথ্যটি সত্য নহে। বাংলাদেশ সরকারে আগে সংখ্যালঘু দেখা যেত না, এখন দেখা যায়। শতাংশটি এখনো ৩-৫ শতাংশ। আমারটা যে সঠিক তাও না, তবে আমাদের স্ট্যাটিসটিক তাই বলে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শাহদীন মালিক, সুলতানা কামাল বা সুফিয়া কামালের মতো লোকজন এখন হারিয়ে যাচ্ছে। অর্থ্যাৎ যে এঙ্গেলে কথা বলা দরকার, সেই এঙ্গেলে কথা না বলে আমরা একটি সম্প্রদায় আরেকটি সম্প্রদায়কে দোষারোপ করে যাচ্ছি। আপনারা শাহরিয়ার কবিরের সর্বশেষ ১৫০০ দিনের যে শ্বেতপত্রটা বের হয়েছে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির, ওইটা দেখেন- ‘ঘাতক-দালালদের’ বাস্তব চিত্রটা। বাংলাদেশে যারা দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নহর বইছে, ঘটনাটি তাহা নহে।
ভয়েস অব আমেরিকার ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে যুক্ত ছিলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
No comments