জাপার বিবাদ প্রকাশ্যে: কাদেরকে মানছেন না রওশন
পার্টি
চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির গৃহবিবাদ প্রকাশ্য রূপ পেয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণার সিদ্ধান্ত মানছেন না
পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। এ নিয়ে সোমবার রাতে একটি
বিবৃতি দেন রওশন এরশাদ। তাতে বলা হয়, জিএম কাদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ায়
চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়নি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই থাকবেন। রওশনের এ বিবৃতিতে পার্টির নয়জন
প্রেসিডিয়াম সদস্য সমর্থন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। যদিও জিএম কাদের
রওশনের এ বিবৃতি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন। এদিকে জিএম কাদেরকে নিয়ে
এতোদিন যে বিভক্তি ছিল তা রওশনের বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলো বলে মনে
করছেন নেতাকর্মীরা।
তারা মনে করছেন সংসদে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচন নিয়ে এ বিভক্তি আরও বাড়বে। এনিয়ে সঙ্কট তৈরি হতে পারে।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে রওশনের পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিটি ছিল হাতে লেখা। তাতে রওশন ছাড়া আরও নয়জন নেতার নাম থাকলেও তাদের সাক্ষর ছিল না। বিবৃতিতে বলা হয়, জিএম কাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকবেন। এতে আরো বলা হয় তাকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত ফোরামে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তাই তিনি স্বঘোষিতভাবে চেয়ারম্যান হতে পারেন না। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, এরশাদের অবর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তাকে ভারপ্রাপ্ত নয় চেয়ারম্যান বলার অনুরোধ করছি। গত শনিবার জিএম কাদের রওশন এরশাদের বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন।
পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুর মাত্র চারদিনের মাথায় জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই রওশন এরশাদপন্থি নেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। তিনি নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারেন কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। পার্টির ভিতরে ভিতরে চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। সর্বোচ্চ নিতীনির্ধারণী ফোরামের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিভাবে জিএম কাদের নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন এটাই হয়ে উঠে বড় প্রশ্ন। সোমবার রাতে রওশন এরশাদের দেয়া বিবৃতিতে তার স্বাক্ষর থাকলেও বাকিদের নামের পাশে স্বাক্ষর ছিল না। তবে তাদের অনেকেই বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করছেন। অন্যরা হলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ফখরুল ইমাম, মীর সেলিম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা, রত্না আমিন হাওলাদার, রওশন আরা মান্নান ও আবদুস সবুর আসুদ।
এরশাদ জিএম কাদেরকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং তার অবর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এমন নির্দেশ দেয়ার পর থেকেই জাপায় রওশন এরশাদ অনুসারী বলে পরিচিত কয়েকজন সিনিয়র নেতা তা মেনে নিতে পারেননি। এরশাদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর পর কয়েকদিন এ বিষয়ে আলোচনা না হলেও তার কুলখানির পর বিষয়টি সামনে আসে।
পার্টির সার্বিক বিষয়ে জিএম কাদের গতকাল বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাদের পরিবারে পিতৃতুল্য ছিলেন, সেইভাবেই রওশন এরশাদ আমাদের মায়ের মত। তিনি আমার অভিভাবক। তার পরামর্শক্রমেই দল পরিচালিত হবে। রওশন এরশাদের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাবী এমন বিবৃতি দিতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না। বিবৃতিটি হাতে লেখা ও কাঁচা। এটা বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্য নয়। দুইদিন আগেও ভাবীর বাসায় গিয়েছি। আবারও যাবো। আমি আবারও বলছি আমাদের মাঝে কোনো বিরোধ নেই।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। তারা যে নামেই সম্বোধন করবে তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। পার্টিতে কাজ করাটাই আসল কথা। তিনি বলেন, কোন সমস্যা থাকলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করব। জাপা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
বিবৃতি দাতাদের মধ্যে পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, জিএম কাদের নিজে নিজেই চেয়ারম্যান হয়ে যাবেন। এটা কোনো কথা হল। এভাবে পার্টি চলতে দেয়া যায় না। তিনি একলা চল নীতিতে আগাচ্ছেন। এটা ঠিক না। তাকে থামানো উচিৎ। তিনি আলাপ-আলোচনা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবৃতি দেয়ার আগে আমাকে ফোন করা হয়েছিল, আমি মতামত দিয়েছি। স্যার তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সে দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্যার মারা গেলেন তার শোকের সময়টাও পার হতে পারলো না। তিনি সে সময়টা অপেক্ষা করতে পারতেন। তিনি আরো বলেন, জিএম কাদের নিজে নিজে পার্টিতে ৮ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য বানিয়েছেন এটা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এমনিতে পার্টিতে গঠনতন্ত্র থেকে ১০/১১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য বেশি ছিল। আর তিনি বানিয়েছেন তাদের অনেকেই নবাগত, পার্টিতে আসছে খুব বেশিদিন হয়নি। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা রওশন এরশাদই। কারণ বেশিরভাগ সংসদ সদস্য তার পক্ষে রয়েছেন।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন সেটা আমাদের সংসদীয় বোর্ড আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। এটার জন্য আমাদের হাতে সময় রয়েছে। আগামী অধিবেশনের পূর্বে এটা করা যাবে। রওশন এরশাদ নাকি জিএম কাদেরকে এ পদে দেখতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখনি বলতে পারছি না। এদিকে অল্প কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের সামনে জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা নিয়ে জানতে চাইেেল তিনি বলেন এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। রওশন এরশাদ এখন একটা শোকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময় পরে তিনি হয়ত কথা বলবেন। পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এড়িয়ে চলাটা ভালো চোখে দেখছেন না তিনি। পার্টির অনেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সভা সেমিনারে উপস্থিত থাকছেন না। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কাউন্সিলের মাধ্যমে সকল ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। এটা তো সেভাবে হয়নি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, পার্টি চলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। দলের চেয়ারম্যান জীবিত অবস্থায় তার অবর্তমানে দল পরিচালনা করার জন্য গঠনতন্ত্রের ২০/১-ক ধারা মোতাবেক তার সহোদর জিএম কাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন এবং বলেছেন তার অবর্তমানে জিএম কাদেরই হবেন পার্টির চেয়ারম্যান। একই গঠনতন্ত্রে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলের উপনেতা বানানো হয়েছে। তিনি এখন বিরোধীদলের প্রধান নেতা হবেন এটাই স্বাভাবিক। এখানে ভুল বুঝাবুঝির কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা। তবে পার্টি নিয়ে সবাই কথা বললে বিপদে পড়ে। তাই আর বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ বলেন, দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত ছাড়া জিএম কাদের কোনভাবেই চেয়ারম্যান হতে পারেন না। তাই রওশন এরশাদের সাক্ষরিত বিবৃতির পক্ষে আমাদের মতামত রয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেই থাকবেন, চেয়ারম্যান নয়।
তারা মনে করছেন সংসদে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচন নিয়ে এ বিভক্তি আরও বাড়বে। এনিয়ে সঙ্কট তৈরি হতে পারে।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে রওশনের পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিটি ছিল হাতে লেখা। তাতে রওশন ছাড়া আরও নয়জন নেতার নাম থাকলেও তাদের সাক্ষর ছিল না। বিবৃতিতে বলা হয়, জিএম কাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকবেন। এতে আরো বলা হয় তাকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত ফোরামে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তাই তিনি স্বঘোষিতভাবে চেয়ারম্যান হতে পারেন না। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, এরশাদের অবর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তাকে ভারপ্রাপ্ত নয় চেয়ারম্যান বলার অনুরোধ করছি। গত শনিবার জিএম কাদের রওশন এরশাদের বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন।
পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুর মাত্র চারদিনের মাথায় জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই রওশন এরশাদপন্থি নেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। তিনি নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারেন কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। পার্টির ভিতরে ভিতরে চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। সর্বোচ্চ নিতীনির্ধারণী ফোরামের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিভাবে জিএম কাদের নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন এটাই হয়ে উঠে বড় প্রশ্ন। সোমবার রাতে রওশন এরশাদের দেয়া বিবৃতিতে তার স্বাক্ষর থাকলেও বাকিদের নামের পাশে স্বাক্ষর ছিল না। তবে তাদের অনেকেই বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করছেন। অন্যরা হলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ফখরুল ইমাম, মীর সেলিম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা, রত্না আমিন হাওলাদার, রওশন আরা মান্নান ও আবদুস সবুর আসুদ।
এরশাদ জিএম কাদেরকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং তার অবর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এমন নির্দেশ দেয়ার পর থেকেই জাপায় রওশন এরশাদ অনুসারী বলে পরিচিত কয়েকজন সিনিয়র নেতা তা মেনে নিতে পারেননি। এরশাদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর পর কয়েকদিন এ বিষয়ে আলোচনা না হলেও তার কুলখানির পর বিষয়টি সামনে আসে।
পার্টির সার্বিক বিষয়ে জিএম কাদের গতকাল বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাদের পরিবারে পিতৃতুল্য ছিলেন, সেইভাবেই রওশন এরশাদ আমাদের মায়ের মত। তিনি আমার অভিভাবক। তার পরামর্শক্রমেই দল পরিচালিত হবে। রওশন এরশাদের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাবী এমন বিবৃতি দিতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না। বিবৃতিটি হাতে লেখা ও কাঁচা। এটা বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্য নয়। দুইদিন আগেও ভাবীর বাসায় গিয়েছি। আবারও যাবো। আমি আবারও বলছি আমাদের মাঝে কোনো বিরোধ নেই।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। তারা যে নামেই সম্বোধন করবে তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। পার্টিতে কাজ করাটাই আসল কথা। তিনি বলেন, কোন সমস্যা থাকলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করব। জাপা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
বিবৃতি দাতাদের মধ্যে পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, জিএম কাদের নিজে নিজেই চেয়ারম্যান হয়ে যাবেন। এটা কোনো কথা হল। এভাবে পার্টি চলতে দেয়া যায় না। তিনি একলা চল নীতিতে আগাচ্ছেন। এটা ঠিক না। তাকে থামানো উচিৎ। তিনি আলাপ-আলোচনা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবৃতি দেয়ার আগে আমাকে ফোন করা হয়েছিল, আমি মতামত দিয়েছি। স্যার তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সে দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্যার মারা গেলেন তার শোকের সময়টাও পার হতে পারলো না। তিনি সে সময়টা অপেক্ষা করতে পারতেন। তিনি আরো বলেন, জিএম কাদের নিজে নিজে পার্টিতে ৮ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য বানিয়েছেন এটা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এমনিতে পার্টিতে গঠনতন্ত্র থেকে ১০/১১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য বেশি ছিল। আর তিনি বানিয়েছেন তাদের অনেকেই নবাগত, পার্টিতে আসছে খুব বেশিদিন হয়নি। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা রওশন এরশাদই। কারণ বেশিরভাগ সংসদ সদস্য তার পক্ষে রয়েছেন।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন সেটা আমাদের সংসদীয় বোর্ড আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। এটার জন্য আমাদের হাতে সময় রয়েছে। আগামী অধিবেশনের পূর্বে এটা করা যাবে। রওশন এরশাদ নাকি জিএম কাদেরকে এ পদে দেখতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখনি বলতে পারছি না। এদিকে অল্প কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের সামনে জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা নিয়ে জানতে চাইেেল তিনি বলেন এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। রওশন এরশাদ এখন একটা শোকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময় পরে তিনি হয়ত কথা বলবেন। পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এড়িয়ে চলাটা ভালো চোখে দেখছেন না তিনি। পার্টির অনেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সভা সেমিনারে উপস্থিত থাকছেন না। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কাউন্সিলের মাধ্যমে সকল ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। এটা তো সেভাবে হয়নি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, পার্টি চলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। দলের চেয়ারম্যান জীবিত অবস্থায় তার অবর্তমানে দল পরিচালনা করার জন্য গঠনতন্ত্রের ২০/১-ক ধারা মোতাবেক তার সহোদর জিএম কাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন এবং বলেছেন তার অবর্তমানে জিএম কাদেরই হবেন পার্টির চেয়ারম্যান। একই গঠনতন্ত্রে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলের উপনেতা বানানো হয়েছে। তিনি এখন বিরোধীদলের প্রধান নেতা হবেন এটাই স্বাভাবিক। এখানে ভুল বুঝাবুঝির কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা। তবে পার্টি নিয়ে সবাই কথা বললে বিপদে পড়ে। তাই আর বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ বলেন, দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত ছাড়া জিএম কাদের কোনভাবেই চেয়ারম্যান হতে পারেন না। তাই রওশন এরশাদের সাক্ষরিত বিবৃতির পক্ষে আমাদের মতামত রয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেই থাকবেন, চেয়ারম্যান নয়।
No comments