রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার দ্বিতীয় চালান পৌঁছেছে তুরস্কে
যুক্তরাষ্ট্রের
হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে শনিবার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার
দ্বিতীয় চালান তুরস্কে পৌঁছেছে। ব্যবস্থাটি সক্রিয় করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
রয়েছে এই চালানে। এর আগে শুক্রবার রাশিয়া থেকে প্রথম চালান পাওয়ার কথা
জানায় তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রথম কোনো ন্যাটো সদস্য রাশিয়ার
কাছ থেকে অস্ত্র কিনলো। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ককে এস-৪০০ না কেনার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। হুমকি দিয়েছিল, তাদের ওপর আরোপ করা হবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। যাতে তুরস্কের ২০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হবে। যুক্তরাষ্ট্র আরো বলেছিল, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনলে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে রাখা হবে না তুরস্ককে।
এমনকি বিমানগুলো তাদের কাছে বিক্রিও করা হবে না।
এ বিষয়ে তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপারকে বলেন, রুশ এস-৪০০ কেনা তুরস্কের ইচ্ছার বিষয় নয়, প্রয়োজনের বিষয়। কেননা, দেশটি সিরীয় সীমান্ত থেকে হামলার গুরুতর হুমকির সম্মুখীন। এতে তাদের কৌশলগত অগ্রাধিকারে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তিনি জানান, আগামী দিনগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটির আরো চালান যাবে তুরস্কে। নতুন চালানের প্রসঙ্গে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, তুরস্ককে এস-৪০০ না কিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনতে আহ্বান জানিয়েছিল তারা। তবে তুরস্ক জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রই তাদের কাছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করতে ইচ্ছুক ছিল না। তাই মস্কোর দ্বারস্থ হয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র বরাবর দাবি করে আসছে, রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ন্যাটোর ব্যবস্থার সঙ্গে বেমানান ও তাদের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য হুমকি।
ন্যাটোর ওপর প্রভাব কমছে যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের সংঘাত নিরাপত্তা বিষয়ক অধ্যাপক আফজাল আশরাফ বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের অস্ত্র কেনার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এই প্রথম কোনো ন্যাটো সদস্যদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছে। এর মানে হচ্ছে, ন্যাটোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পেয়েছে, বিশেষ করে তুরস্কের ওপর।
তবে তিনি এও বলেন যে, সামরিক দিক থেকে বিবেচনা করলে অবশ্য এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক ধরনের সুযোগও। এতে করে ন্যাটোর ব্যবস্থায় রুশ অস্ত্র থাকছে। তারা চাইলেই এখন এই ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে ও এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। এদিকে, পশ্চিমা অন্য দেশগুলোতেও রাশিয়া-তুরস্কের এই সম্পর্ক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে নতি স্বীকার করেনি তারা।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। তুরস্কে এক মার্কিন যাজক আটকের ঘটনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হয় তুরস্ক। এতে চরম অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়ে দেশটি। দরপতন হয় এর মুদ্রার। মুদ্রাস্ফীতি কমে যায় বিপুল হারে। পরবর্তীতে ওই যাজককে মুক্ত করে দিলে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এখন নতুন করে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা তুরস্কের জন্য বিপর্যয়কারী হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ রেটিংস।
খবরে বলা হয়, রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ককে এস-৪০০ না কেনার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। হুমকি দিয়েছিল, তাদের ওপর আরোপ করা হবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। যাতে তুরস্কের ২০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হবে। যুক্তরাষ্ট্র আরো বলেছিল, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনলে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে রাখা হবে না তুরস্ককে।
এমনকি বিমানগুলো তাদের কাছে বিক্রিও করা হবে না।
এ বিষয়ে তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপারকে বলেন, রুশ এস-৪০০ কেনা তুরস্কের ইচ্ছার বিষয় নয়, প্রয়োজনের বিষয়। কেননা, দেশটি সিরীয় সীমান্ত থেকে হামলার গুরুতর হুমকির সম্মুখীন। এতে তাদের কৌশলগত অগ্রাধিকারে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তিনি জানান, আগামী দিনগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটির আরো চালান যাবে তুরস্কে। নতুন চালানের প্রসঙ্গে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, তুরস্ককে এস-৪০০ না কিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনতে আহ্বান জানিয়েছিল তারা। তবে তুরস্ক জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রই তাদের কাছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রি করতে ইচ্ছুক ছিল না। তাই মস্কোর দ্বারস্থ হয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র বরাবর দাবি করে আসছে, রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ন্যাটোর ব্যবস্থার সঙ্গে বেমানান ও তাদের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য হুমকি।
ন্যাটোর ওপর প্রভাব কমছে যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের সংঘাত নিরাপত্তা বিষয়ক অধ্যাপক আফজাল আশরাফ বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের অস্ত্র কেনার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এই প্রথম কোনো ন্যাটো সদস্যদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছে। এর মানে হচ্ছে, ন্যাটোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পেয়েছে, বিশেষ করে তুরস্কের ওপর।
তবে তিনি এও বলেন যে, সামরিক দিক থেকে বিবেচনা করলে অবশ্য এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক ধরনের সুযোগও। এতে করে ন্যাটোর ব্যবস্থায় রুশ অস্ত্র থাকছে। তারা চাইলেই এখন এই ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে ও এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। এদিকে, পশ্চিমা অন্য দেশগুলোতেও রাশিয়া-তুরস্কের এই সম্পর্ক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে নতি স্বীকার করেনি তারা।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। তুরস্কে এক মার্কিন যাজক আটকের ঘটনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হয় তুরস্ক। এতে চরম অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়ে দেশটি। দরপতন হয় এর মুদ্রার। মুদ্রাস্ফীতি কমে যায় বিপুল হারে। পরবর্তীতে ওই যাজককে মুক্ত করে দিলে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এখন নতুন করে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা তুরস্কের জন্য বিপর্যয়কারী হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ রেটিংস।
No comments