মানুষ কী খাবে? দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা, দুধে মিললো আরো বেশি অ্যান্টিবায়োটিক
বাজারে
থাকা পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায়ও মানব চিকিৎসায়
ব্যবহৃত বিপজ্জনক অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। এবার ১০টি নমুনার সবক’টিতে
অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বায়োমেডিক্যাল রিচার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
শুধু তাই নয়, আগে যেখানে এসব দুধে ৩টি এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দ্বিতীয়
দফার পরীক্ষায় সেখানে পাওয়া গেছে ৪টি এন্টিবায়োটিক। ১০টি নমুনার মধ্যে
পাস্তুরিত দুধের ৭টি নমুনা হলো- প্রাণ, মিল্কভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ইগলু,
ইগলু চকোলেট এবং ইগলু ম্যাংগো। আর অপাস্তুরিত দুধের তিনটি নমুনা আগের মতোই
রাজধানীর পলাশী, গাবতলী ও মোহাম্মদপুর বাজার থেকে সংগ্রহ করা। অধ্যাপক আ ব
ম ফারুকের প্রথম গবেষণার ফলাফল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর গবেষণার
গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক সমলোচনা করে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
শুধু তাই নয় নিজ বিভাগসহ ফার্মেসি অনুষদের চারটি বিভাগ পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি
দিয়ে পরীক্ষার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে। চতুর্মুখী
প্রতিবাদের মুখে পুনরায় পরীক্ষা চালান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রবীণ
অধ্যাপক।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক লেখেন, গত ২৫শে জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুধ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পেশকালে উপস্থিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যে, পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি সনাক্তের প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাসমূহ যেমন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ) ইত্যাদি ল্যাবরেটরিগুলোতে যেন এখন থেকে নিয়মিতভাবেই দুধে এন্টিবায়োটিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। বিএসটিআইয়ের দেড় যুগের পুরনো দুধের স্ট্যান্ডার্ডে (বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড, বিডিএস ১৭০২. ২০০২) বর্তমানের নয়টি পরীক্ষার সঙ্গে কমপক্ষে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষার মতো দু’টি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে দুধের এই স্ট্যান্ডার্ডকে যুগোপযোগী করার জন্যও আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।
এতে আমরা আরো জানিয়েছিলাম যে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুভব থেকেই আমাদের সীমিত সামর্থ্যে এই পরীক্ষাটি মাঝে মাঝে করার চেষ্টা করবো। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমরা এই পরীক্ষাটি পুনরায় সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারও পূর্বোক্ত ৫টি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনা, অর্থাৎ সর্বমোট ১০টি নতুন নমুনায় এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারও সবগুলো নমুনাতেই এন্টিবায়োটিক সনাক্ত করা গেছে। এন্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল ৪টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন)। এর মধ্যে আগের বারে ছিল না এমন এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন)।
১০টি নমুনার মধ্যে ৩টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৪টি, ৬টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৩টি এবং ১টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি। এতে আরো বলা হয়, আমরা ভবিষ্যতেও এই পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। আমরা আশা করি আমাদের প্রকাশিত এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে নিজেদের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা দূর করে পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করবে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলো দুধে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতির বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে এবং এভাবে দেশের দুধের মানের উন্নতি ঘটবে। উপরন্তু, জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক এই সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোন সরকারি কর্মকর্তাকে আর বিদেশি চক্রান্ত খুঁজতে হবে না।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক লেখেন, গত ২৫শে জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুধ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পেশকালে উপস্থিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যে, পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি সনাক্তের প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাসমূহ যেমন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ) ইত্যাদি ল্যাবরেটরিগুলোতে যেন এখন থেকে নিয়মিতভাবেই দুধে এন্টিবায়োটিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। বিএসটিআইয়ের দেড় যুগের পুরনো দুধের স্ট্যান্ডার্ডে (বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড, বিডিএস ১৭০২. ২০০২) বর্তমানের নয়টি পরীক্ষার সঙ্গে কমপক্ষে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষার মতো দু’টি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে দুধের এই স্ট্যান্ডার্ডকে যুগোপযোগী করার জন্যও আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।
এতে আমরা আরো জানিয়েছিলাম যে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুভব থেকেই আমাদের সীমিত সামর্থ্যে এই পরীক্ষাটি মাঝে মাঝে করার চেষ্টা করবো। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমরা এই পরীক্ষাটি পুনরায় সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারও পূর্বোক্ত ৫টি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনা, অর্থাৎ সর্বমোট ১০টি নতুন নমুনায় এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারও সবগুলো নমুনাতেই এন্টিবায়োটিক সনাক্ত করা গেছে। এন্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল ৪টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন)। এর মধ্যে আগের বারে ছিল না এমন এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন)।
১০টি নমুনার মধ্যে ৩টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৪টি, ৬টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৩টি এবং ১টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি। এতে আরো বলা হয়, আমরা ভবিষ্যতেও এই পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। আমরা আশা করি আমাদের প্রকাশিত এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে নিজেদের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা দূর করে পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করবে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলো দুধে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতির বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে এবং এভাবে দেশের দুধের মানের উন্নতি ঘটবে। উপরন্তু, জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক এই সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোন সরকারি কর্মকর্তাকে আর বিদেশি চক্রান্ত খুঁজতে হবে না।
No comments