মিন্নির গ্রেফতার চান রিফাতের বাবা?
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হালিম দুলাল শরীফ |
বরগুনা
শহরের কলেজ রোডে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শাহনেওয়াজ রিফাতকে (রিফাত শরীফ)
কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এর আগে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালেও এবার তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা
মিন্নিকেই ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছেন রিফাতের বাবা ও মামলার
বাদী আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। এ সময় মিন্নিকে গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৮টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ
দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হালিম দুলাল শরীফ অভিযোগ করেন, ‘রিফাত হত্যাকাণ্ডের নতুন ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি ধারণা করছি, আমার ছেলেকে হত্যার পেছনে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। মিন্নি যদি হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা না করে রিফাতকে জড়িয়ে ধরতো, তাহলে আমার ছেলে নির্মম হত্যার শিকার হতো না।’ এসময় মিন্নি জড়িত সন্দেহে ১০টি বিষয়কে সামনে আনেন তিনি।
গত ৬ জুলাই রিফাত হত্যার নতুন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কলেজের প্রধান ফটক থেকে মিন্নিকে নিয়ে রিফাতকে বের হতে দেখা যায়। পরে মিন্নি ফের কলেজের ভেতরের দিকে যান। এসময় রিফাত তার স্ত্রী মিন্নিকে ভেতরে যেতে বাধা দেন। এরপরই সন্ত্রাসীরা কলেজ গেট থেকে রিফাতকে ধরে সামনের দিকে নিয়ে যায়। মিন্নি তখন পেছন পেছন হাঁটছিলেন। কয়েক সেকেন্ড পরেই নয়ন বন্ড ও অন্যরা যখন রিফাত শরীফকে কিল, ঘুষি, লাথি দিতে শুরু করে, তখনই মিন্নি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। আর যখন সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে কোপাতে শুরু করে তখন মিন্নি হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আসামিরা মিন্নির ওপরে চড়াও হয়নি এবং মিন্নি কোনোভাবেই আক্রান্ত হয়নি। তার প্রশ্ন, ‘কেন, মিন্নি কেন আক্রান্ত হয়নি?’
এসময় মিন্নি বিবাহিত ছিল এবং আগের বিয়ের তথ্য গোপন করেছে এমন অভিযোগও করেন তিনি। এছাড়াও তার ছেলেকে হত্যার আগের দিন মিন্নি নয়ন বন্ডের বাসায় গিয়েছে এমনটা জেনেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের উপলব্ধি থেকেই সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছি।’
রিফাত হত্যার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে অভিযুক্ত করলে মামলায় এর প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
আবদুল হালিম দাবি করেন, মিন্নি অন্যান্য দিনে রিফাতকে ছাড়া কলেজে গেলেও ঘটনার দিন রিফাতকে কলেজে ডেকে নিয়ে গেছে। যদিও মিন্নি এর আগে দাবি করেছিলেন, তার স্বামী রিফাত শরীফ সেদিন কলেজে এসে তাকে বলেছিলেন, আব্বু ( মিন্নির শ্বশুর) এসেছে।
পরে ফোনে বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল হালিম দুলাল শরীফ জানান, মনের ভেতরে যে ক্ষোভ জমেছিল এবং যত প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল সেগুলো প্রকাশ করতেই এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। মিন্নির গ্রেফতার চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করবেন কিনা সেটা রবিবার তার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেই ঠিক করবেন।এদিকে, গত ৯ জুলাই বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিন্নি দাবি করেন, ‘কিছু লোক আছে যারা বিষয়টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। আমি চরম মানসিক নিপীড়নে ভুগছি। কেউ আমাদের পাশে নেই, সবাই শুধু সমালোচনায় মুখর। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’
রিফাত শরীফের ওপর হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মিন্নি বলেন, ‘‘ওইদিন সকাল সোয়া ১০টা হয়তো। রিফাত আমাকে বলে, ‘আব্বু (রিফাতের বাবা) আসছে, চলো, তোমার সঙ্গে দেখা করবে।’ আমি ওকে বলেছিলাম ‘আমার কাজ শেষ করে বের হই।’ ও আপত্তি করে বলে, ‘আব্বু গেটে অপেক্ষা করছে।’ আমি তখন ওর সঙ্গে বের হই। গেটের বাইরে এসে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি বাবা কোথাও নেই। তখন আমি বলি, ‘তুমি মিথ্যে বলেছো, চলো রুটিন নিয়ে আসি।’ আমি ওকে নিয়ে ভেতরে যেতে চাই। ঠিক এ মুহূর্তেই ১০-১২ জন আমাদের ঘিরে ধরে এবং রিশান ফরাজী ওর পথরোধ করে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতভম্ব হয়ে ওদের পেছনে হাঁটতে থাকি। পরে যখন আক্রমণ করে তখন প্রতিরোধের চেষ্টা করি। আমি হেল্প চাই অনেকের কাছে। কেউ আসেনি। ওরা চলে যাওয়ার পর রিফাত নিজেই হেঁটে রিকশায় ওঠে। আমার পায়ের পাতা কেটে যাওয়ায় জুতো ছাড়া হাঁটতে পারছিলাম না, তখন জুতো পায়ে দেই। এ সময় একজন আমার হাতে ব্যাগ তুলে দেয়।’’
মিন্নি বলেন, ‘আমার কাছে ফোন ছিল না। দুটি ছেলে মোটরসাইকেলে আমাদের রিকশা ফলো করে যাচ্ছিল। আমি তাদের হেল্প চাইলে তারা ধমক দেয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে মিন্নি বলেন, ‘বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য দেখেছি। মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত। আমার অনুরোধ, আমি তো আপনাদের মেয়ে বা বোন হতে পারতাম, আপনারা না জেনে কোনও মন্তব্য করবেন না। আমি চরম মানসিক নিপীড়নে ভুগছি। কেউ আমাদের পাশে নেই, সবাই শুধু সমালোচনায় মুখর। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হালিম দুলাল শরীফ অভিযোগ করেন, ‘রিফাত হত্যাকাণ্ডের নতুন ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি ধারণা করছি, আমার ছেলেকে হত্যার পেছনে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। মিন্নি যদি হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা না করে রিফাতকে জড়িয়ে ধরতো, তাহলে আমার ছেলে নির্মম হত্যার শিকার হতো না।’ এসময় মিন্নি জড়িত সন্দেহে ১০টি বিষয়কে সামনে আনেন তিনি।
গত ৬ জুলাই রিফাত হত্যার নতুন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কলেজের প্রধান ফটক থেকে মিন্নিকে নিয়ে রিফাতকে বের হতে দেখা যায়। পরে মিন্নি ফের কলেজের ভেতরের দিকে যান। এসময় রিফাত তার স্ত্রী মিন্নিকে ভেতরে যেতে বাধা দেন। এরপরই সন্ত্রাসীরা কলেজ গেট থেকে রিফাতকে ধরে সামনের দিকে নিয়ে যায়। মিন্নি তখন পেছন পেছন হাঁটছিলেন। কয়েক সেকেন্ড পরেই নয়ন বন্ড ও অন্যরা যখন রিফাত শরীফকে কিল, ঘুষি, লাথি দিতে শুরু করে, তখনই মিন্নি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। আর যখন সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে কোপাতে শুরু করে তখন মিন্নি হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আসামিরা মিন্নির ওপরে চড়াও হয়নি এবং মিন্নি কোনোভাবেই আক্রান্ত হয়নি। তার প্রশ্ন, ‘কেন, মিন্নি কেন আক্রান্ত হয়নি?’
এসময় মিন্নি বিবাহিত ছিল এবং আগের বিয়ের তথ্য গোপন করেছে এমন অভিযোগও করেন তিনি। এছাড়াও তার ছেলেকে হত্যার আগের দিন মিন্নি নয়ন বন্ডের বাসায় গিয়েছে এমনটা জেনেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের উপলব্ধি থেকেই সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছি।’
রিফাত হত্যার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে অভিযুক্ত করলে মামলায় এর প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
আবদুল হালিম দাবি করেন, মিন্নি অন্যান্য দিনে রিফাতকে ছাড়া কলেজে গেলেও ঘটনার দিন রিফাতকে কলেজে ডেকে নিয়ে গেছে। যদিও মিন্নি এর আগে দাবি করেছিলেন, তার স্বামী রিফাত শরীফ সেদিন কলেজে এসে তাকে বলেছিলেন, আব্বু ( মিন্নির শ্বশুর) এসেছে।
পরে ফোনে বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল হালিম দুলাল শরীফ জানান, মনের ভেতরে যে ক্ষোভ জমেছিল এবং যত প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল সেগুলো প্রকাশ করতেই এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। মিন্নির গ্রেফতার চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করবেন কিনা সেটা রবিবার তার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেই ঠিক করবেন।এদিকে, গত ৯ জুলাই বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিন্নি দাবি করেন, ‘কিছু লোক আছে যারা বিষয়টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। আমি চরম মানসিক নিপীড়নে ভুগছি। কেউ আমাদের পাশে নেই, সবাই শুধু সমালোচনায় মুখর। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’
রিফাত শরীফের ওপর হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মিন্নি বলেন, ‘‘ওইদিন সকাল সোয়া ১০টা হয়তো। রিফাত আমাকে বলে, ‘আব্বু (রিফাতের বাবা) আসছে, চলো, তোমার সঙ্গে দেখা করবে।’ আমি ওকে বলেছিলাম ‘আমার কাজ শেষ করে বের হই।’ ও আপত্তি করে বলে, ‘আব্বু গেটে অপেক্ষা করছে।’ আমি তখন ওর সঙ্গে বের হই। গেটের বাইরে এসে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি বাবা কোথাও নেই। তখন আমি বলি, ‘তুমি মিথ্যে বলেছো, চলো রুটিন নিয়ে আসি।’ আমি ওকে নিয়ে ভেতরে যেতে চাই। ঠিক এ মুহূর্তেই ১০-১২ জন আমাদের ঘিরে ধরে এবং রিশান ফরাজী ওর পথরোধ করে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতভম্ব হয়ে ওদের পেছনে হাঁটতে থাকি। পরে যখন আক্রমণ করে তখন প্রতিরোধের চেষ্টা করি। আমি হেল্প চাই অনেকের কাছে। কেউ আসেনি। ওরা চলে যাওয়ার পর রিফাত নিজেই হেঁটে রিকশায় ওঠে। আমার পায়ের পাতা কেটে যাওয়ায় জুতো ছাড়া হাঁটতে পারছিলাম না, তখন জুতো পায়ে দেই। এ সময় একজন আমার হাতে ব্যাগ তুলে দেয়।’’
মিন্নি বলেন, ‘আমার কাছে ফোন ছিল না। দুটি ছেলে মোটরসাইকেলে আমাদের রিকশা ফলো করে যাচ্ছিল। আমি তাদের হেল্প চাইলে তারা ধমক দেয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে মিন্নি বলেন, ‘বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য দেখেছি। মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত। আমার অনুরোধ, আমি তো আপনাদের মেয়ে বা বোন হতে পারতাম, আপনারা না জেনে কোনও মন্তব্য করবেন না। আমি চরম মানসিক নিপীড়নে ভুগছি। কেউ আমাদের পাশে নেই, সবাই শুধু সমালোচনায় মুখর। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
No comments