বিশাল রেলওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে সমৃদ্ধিতে সহায়তা চীনের
বাংলাদেশের
প্রধান পর্যটন গন্তব্য কক্সবাজারের (যা মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত) সাথে
সংযুক্ত করার জন্য একটি বিশাল রেল প্রকল্প শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে কক্সবাজারের গনদুমে রেললাইন স্থাপন। স্থানটি রাজধানী ঢাকা থেকে ২৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, মিয়ানমার সীমান্তের কাছে। এটি পরিকল্পিত ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের (টিএআর) সাথে যুক্ত হবে। এখানেই হবে প্রকল্পটির প্রথম ধাপ।
প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি), ম্যাক্স জেভি (সিসিইসিসি ও ম্যাক্স ইন্টারন্যাশনালের মধ্যকার একটি যৌথ উদ্যোগ) ও চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড ও তোমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের একটি যৌথ উদ্যোগের মধ্যে একটি চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশী ও চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ১০২ কিলোমিটার নতুন ডুয়েল গজ লাইন নির্মাণ করবে। এর মাধ্যমে কক্সবাজার যুক্ত হবে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের সাথে।
বাংলাদেশে সিসিইসিসির প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার জু ঝিপেই সম্প্রতি সিনহুয়াকে বলেন, তারা চীন থেকে ৬০টি টাম্প ট্রাক, ৩০টি জেনারেটর, ৫০টি এক্সকাভেটরসহ ২৫০টি একেবারে নতুন সমরঞ্জাম কিনেছেন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পে আমাদের বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি এখন সূচি অনুযায়ী চলছে। প্রকল্প কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সিসিইসিসির উপ প্রকল্প ম্যানেজার ঝাও ঝু বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের আওতায় তারা এখন মোট ৫১ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করছেন। এছাড়া ২১টি সেতু ও ৭৬টি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য চীনা ও বাংলাদেশী শ্রমিকেরা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পর্যটন বাড়াতে রেলওয়ে ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রতিবেশী মিয়ানমারের মাধ্যমে চীন ও অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবেশ করতে বাংলাদেশের রেললাইন প্রকল্পকে সমর্থন করছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক।
চীনা কোম্পানিগুলোর সাবলীল কর্মব্যবস্থা স্থানীয় শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের মুগ্ধ করেছে।
প্রকল্প শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, তিনি চীনা কোম্পানির সাথে কাজ করতে পেরে খুশি।
তিনি বলেন, আমার বস ভালো শিক্ষকও। আমি এখানে কাজ করতে পেরে অনেক কিছু শিখেছি। তারা সবসময় আমাদের কল্যাণ কামনা করে, আমাদের সর্বোত্তম সুবিধা দিয়ে থাকে। এটি একটি খুবই ভালো কোম্পানি।
মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। চীনা লোকজনের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, তারা চীনা বিশেষজ্ঞ ও তাদের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।
তিনি বলেন, সেতু প্রকৌশলী হিসেবে আমি খোলাখুলিভাবে বলছি, চীনা কারিগররা অত্যন্ত দক্ষ, তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে।
স্থানীয় অধিবাসী শিবলি মাহমুদ ইব্রাহিম বলেন, চীনা লোকজন খুবই কঠোর পরিশ্রমী।
তিনি বলেন, তারা খুবই দক্ষ, তাদের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো, তাদের কাজের মান খুবই সুন্দর।
তিনি বলেন, তাদের স্ট্যামিনা ও সক্ষমতায় আমরা উদ্দীপ্ত। তারা কাজ করে আন্তরিকতার সাথে। তারা প্রতিটি কাজ করে মান বজায় রেখে।
আরিফুল নামের এক ফোরম্যান বলেন, কাজের শুরুতেই আমার বস আমাকে কিভাবে কাজ করতে হবে তা শিখিয়েছেন। এখন আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে পারি।
শওকত হোসেন নামের স্থানীয় এক প্রকৌশলী বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ ও অপেক্ষাকৃত ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেনি।
ম্যানেজার মা কিয়াং বলেন, তারা বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার প্রয়াসে ও বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতি উন্নত করতে সহায়তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে লোকজন ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বাসে করে নয়, ট্রেনে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এখন ঢাকা-কক্সবাজার রুটে উচ্চগতির পর্যটন ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে।
এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে কক্সবাজারের গনদুমে রেললাইন স্থাপন। স্থানটি রাজধানী ঢাকা থেকে ২৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, মিয়ানমার সীমান্তের কাছে। এটি পরিকল্পিত ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের (টিএআর) সাথে যুক্ত হবে। এখানেই হবে প্রকল্পটির প্রথম ধাপ।
প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি), ম্যাক্স জেভি (সিসিইসিসি ও ম্যাক্স ইন্টারন্যাশনালের মধ্যকার একটি যৌথ উদ্যোগ) ও চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড ও তোমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের একটি যৌথ উদ্যোগের মধ্যে একটি চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশী ও চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ১০২ কিলোমিটার নতুন ডুয়েল গজ লাইন নির্মাণ করবে। এর মাধ্যমে কক্সবাজার যুক্ত হবে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের সাথে।
বাংলাদেশে সিসিইসিসির প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার জু ঝিপেই সম্প্রতি সিনহুয়াকে বলেন, তারা চীন থেকে ৬০টি টাম্প ট্রাক, ৩০টি জেনারেটর, ৫০টি এক্সকাভেটরসহ ২৫০টি একেবারে নতুন সমরঞ্জাম কিনেছেন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পে আমাদের বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি এখন সূচি অনুযায়ী চলছে। প্রকল্প কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সিসিইসিসির উপ প্রকল্প ম্যানেজার ঝাও ঝু বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের আওতায় তারা এখন মোট ৫১ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করছেন। এছাড়া ২১টি সেতু ও ৭৬টি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য চীনা ও বাংলাদেশী শ্রমিকেরা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পর্যটন বাড়াতে রেলওয়ে ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রতিবেশী মিয়ানমারের মাধ্যমে চীন ও অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবেশ করতে বাংলাদেশের রেললাইন প্রকল্পকে সমর্থন করছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক।
চীনা কোম্পানিগুলোর সাবলীল কর্মব্যবস্থা স্থানীয় শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের মুগ্ধ করেছে।
প্রকল্প শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, তিনি চীনা কোম্পানির সাথে কাজ করতে পেরে খুশি।
তিনি বলেন, আমার বস ভালো শিক্ষকও। আমি এখানে কাজ করতে পেরে অনেক কিছু শিখেছি। তারা সবসময় আমাদের কল্যাণ কামনা করে, আমাদের সর্বোত্তম সুবিধা দিয়ে থাকে। এটি একটি খুবই ভালো কোম্পানি।
মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। চীনা লোকজনের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, তারা চীনা বিশেষজ্ঞ ও তাদের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।
তিনি বলেন, সেতু প্রকৌশলী হিসেবে আমি খোলাখুলিভাবে বলছি, চীনা কারিগররা অত্যন্ত দক্ষ, তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে।
স্থানীয় অধিবাসী শিবলি মাহমুদ ইব্রাহিম বলেন, চীনা লোকজন খুবই কঠোর পরিশ্রমী।
তিনি বলেন, তারা খুবই দক্ষ, তাদের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো, তাদের কাজের মান খুবই সুন্দর।
তিনি বলেন, তাদের স্ট্যামিনা ও সক্ষমতায় আমরা উদ্দীপ্ত। তারা কাজ করে আন্তরিকতার সাথে। তারা প্রতিটি কাজ করে মান বজায় রেখে।
আরিফুল নামের এক ফোরম্যান বলেন, কাজের শুরুতেই আমার বস আমাকে কিভাবে কাজ করতে হবে তা শিখিয়েছেন। এখন আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে পারি।
শওকত হোসেন নামের স্থানীয় এক প্রকৌশলী বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ ও অপেক্ষাকৃত ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেনি।
ম্যানেজার মা কিয়াং বলেন, তারা বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার প্রয়াসে ও বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতি উন্নত করতে সহায়তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে লোকজন ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বাসে করে নয়, ট্রেনে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এখন ঢাকা-কক্সবাজার রুটে উচ্চগতির পর্যটন ট্রেন চালানোর কথা ভাবছে।
No comments