অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে আজই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে! by উদিসা ইসলাম
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক (ছবি: সংগৃহীত) |
আজ
রবিবারই (১৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের
সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে নিরাপদ
খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলে দাবি করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন । তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে আমরা
তাকে চ্যালেঞ্জ করে চিঠি দিচ্ছি না, তবে তার গবেষণার বিষয়ে তথ্য চাই। এর
আগে সাতদিন সময় দিয়ে তথ্য চাওয়ার পরেও তিনি তা না পাঠানোয় রবিবার আবারও
তাকে চিঠি দেওয়া হবে।
গত ২৫ জুন প্রথম দফায় ও শনিবার (১৩ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় পাঁচটি কোম্পানির সাতটি ব্র্যান্ডের গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার বিষয়ে গবেষণা তথ্য প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। এর মধ্যে প্রথমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে সংবাদ সম্মেলন করে এবং দ্বিতীয় দফায় সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে। তবে প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনের পরই তার গবেষণা তথ্য যথেষ্ট উত্তাপ ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়। এরপরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদভুক্ত চারটি বিভাগের সভাপতিরা যৌথ বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন, এই গবেষণার সঙ্গে বিভাগগুলোর সংশ্লিষ্টতা নেই। গবেষণাটি গবেষকদের নিজস্ব। বিভাগগুলো দায় এড়ালেও ফার্মেসি বিভাগের ডিন এখনও অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঙ্গে আছেন। মূলত এরপরেই চাপে পড়ে যান এই অধ্যাপক। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাকে নানা রকম হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের হুমকিটি ছিল প্রকাশ্য। কোনও স্বীকৃত গবেষণাপত্রে গবেষণাটি প্রকাশ না করেই তার তথ্য জনসমক্ষে জানানো ও দুধ নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন এই সচিব।
কাজী ওয়াছি উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তার (অধ্যাপক আ ব ম ফারুক) কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। তিনি তাদেরকেও তথ্য না দেওয়ায় রবিবার তারা (নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ) আবারও চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কালকেই (রবিবার) জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
তবে অব্যাহত চাপেও নিজের গবেষণায় পাওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অধ্যাপক ফারুক। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আবারও জানিয়েছেন, তাদের গবেষণা দলটি পাঁচটি কোম্পানির ৭টি ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা বাজার থেকে দ্বিতীয় দফায় সংগ্রহ করে আবারও গবেষণা করেছে। এবার গতবারের তুলনায় দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ আরও বেশি পাওয়া গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ৭টি ব্র্যান্ডের তরল দুধ দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করা হয়েছে সেই ব্র্যান্ডগুলো হলো: মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণ, ফার্ম ফ্রেশ ও ইগলু। এর মধ্যে ইগলুর তরল দুধ ছাড়াও আরও দুটি ফ্লেভারের দুধ রয়েছে। এর আগে ২৫ জুন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তাতে ৩টি করে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। গত সপ্তাহে ওই ৭টি ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা একই জায়গা থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এবার মিলেছে চার ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক।
এদিকে, অধ্যাপক ফারুকের গবেষণার ফলকে গ্রহণ না করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি বা হয়রানির বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তার মতো একজন শিক্ষককে কেবল গবেষষণা ফল প্রকাশের জন্য হয়রানি করা অন্যায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম পোস্ট দিতে দেখা গেছে। এই গবেষণাটির ফল সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য ভিন্ন গবেষণাগারে নমুনাগুলো আবারও পরীক্ষার দাবি তুলেছেন বেশিরভাগ সচেতন মানুষ।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুকও বলেছেন, সন্দেহ দূর করার জন্য স্বীকৃত একাধিক গবেষণাগারে দুধের নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষার ফল জানার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে পারে।
তবে কোনও স্বীকৃত গবেষণাপত্রে প্রকাশ না করে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করতে পারেন কিনা কাজী ওয়াসি উদ্দিনের তোলা এ প্রশ্নের জবাবে এর আগে গণমাধ্যমগুলোকে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জানিয়েছেন, স্বীকৃত গবেষণাপত্রে প্রকাশের জন্য তার গবেষণাটি পাঠানো হচ্ছে, তবে যে কোনও গবেষণাপত্রে গবেষণা প্রকাশ সময়সাধ্য বিষয়। আর বিষয়টি জনস্বার্থ সম্পর্কিত। সেজন্যই জনস্বার্থে তিনি বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে চিঠি দেইনি, রবিবারের চিঠিটিও তেমন হবে না। কিন্তু আমাদের জানতে হবে তিনি কোন ল্যাবে এই পরীক্ষাটি করেছেন। আমাদের দেশে এমন গবেষণাগার আছে আর আমরা জানি না এটি আমাদের কাছে ভীষণ আশ্চর্যের। তিনি আরও বলেন, আমরা তার গবেষণা প্রতিবেদন দেখে আকাশ থেকে পড়ছি। আমার দেশে এমন পরীক্ষণাগার আছে। অ্যান্টিবায়েটিক কিভাবে ৩টা থেকে ৫টা করে বের করছেন তিনি। মাত্রাটি কী, অ্যান্টিবায়োটিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রার ওপরে- নিচে নাকি সমান, সে তথ্যও উনি দেননি। আমরা দু-দুটো পরীক্ষণাগারে পরীক্ষা করে যা পাইনি তা উনি কীভাবে পেলেন জানতে হবে না? আমাদের তো এই ল্যাব দরকার।’
অধ্যাপক ফারুক কেন গোপন করছেন, তিনি কেন লুকোচুরি খেলছেন অভিযোগ করে মাহবুব কবীর বলেন, তিনি যা পেয়েছেন সেটা বিশাল সমস্যা। জাতিগতভাবে সবাই মিলে সমাধান করতে হবে। আমরা যে দুই পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেছি সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়নি, কিন্তু তাতে করে আমি বলতে পারবো না যে বাকি দুধের স্যাম্পলগুলোতে এসব নেই।
তিনি আরও বলেন, কোনও কোম্পানি দুধে অ্যান্টিবায়োটিক মিশিয়ে দেয় না। গরুকে হয়তো দেন কিছু খামারি, কিন্তু সব খামারি সব গরুকে দেন না। আবার যেগুলোকে দেন সেগুলোর দুধ প্রক্রিয়াজাত হয়ে বাজারে আসতে আসতে অ্যান্টিবায়োটিক নাই হয়ে যায়। তাহলে উনি কোন পদ্ধতিতে কী পেলেন তা জানতে চেয়েই আমরা চিঠি দিয়ে সাত দিন সময় দিয়েছিলাম। সেটি শেষ হওয়ায় রবিবার আবারও চিঠি পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে টেলিফোনের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত আমি ব্যস্ত থাকবো। এরপরে বিস্তারিত কথা হবে।
গত ২৫ জুন প্রথম দফায় ও শনিবার (১৩ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় পাঁচটি কোম্পানির সাতটি ব্র্যান্ডের গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার বিষয়ে গবেষণা তথ্য প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। এর মধ্যে প্রথমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে সংবাদ সম্মেলন করে এবং দ্বিতীয় দফায় সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে। তবে প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনের পরই তার গবেষণা তথ্য যথেষ্ট উত্তাপ ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়। এরপরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদভুক্ত চারটি বিভাগের সভাপতিরা যৌথ বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন, এই গবেষণার সঙ্গে বিভাগগুলোর সংশ্লিষ্টতা নেই। গবেষণাটি গবেষকদের নিজস্ব। বিভাগগুলো দায় এড়ালেও ফার্মেসি বিভাগের ডিন এখনও অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঙ্গে আছেন। মূলত এরপরেই চাপে পড়ে যান এই অধ্যাপক। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাকে নানা রকম হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের হুমকিটি ছিল প্রকাশ্য। কোনও স্বীকৃত গবেষণাপত্রে গবেষণাটি প্রকাশ না করেই তার তথ্য জনসমক্ষে জানানো ও দুধ নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন এই সচিব।
কাজী ওয়াছি উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তার (অধ্যাপক আ ব ম ফারুক) কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। তিনি তাদেরকেও তথ্য না দেওয়ায় রবিবার তারা (নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ) আবারও চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কালকেই (রবিবার) জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
তবে অব্যাহত চাপেও নিজের গবেষণায় পাওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অধ্যাপক ফারুক। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আবারও জানিয়েছেন, তাদের গবেষণা দলটি পাঁচটি কোম্পানির ৭টি ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা বাজার থেকে দ্বিতীয় দফায় সংগ্রহ করে আবারও গবেষণা করেছে। এবার গতবারের তুলনায় দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ আরও বেশি পাওয়া গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ৭টি ব্র্যান্ডের তরল দুধ দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করা হয়েছে সেই ব্র্যান্ডগুলো হলো: মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণ, ফার্ম ফ্রেশ ও ইগলু। এর মধ্যে ইগলুর তরল দুধ ছাড়াও আরও দুটি ফ্লেভারের দুধ রয়েছে। এর আগে ২৫ জুন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তাতে ৩টি করে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। গত সপ্তাহে ওই ৭টি ব্র্যান্ডের দুধের নমুনা একই জায়গা থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এবার মিলেছে চার ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক।
এদিকে, অধ্যাপক ফারুকের গবেষণার ফলকে গ্রহণ না করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি বা হয়রানির বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তার মতো একজন শিক্ষককে কেবল গবেষষণা ফল প্রকাশের জন্য হয়রানি করা অন্যায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম পোস্ট দিতে দেখা গেছে। এই গবেষণাটির ফল সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য ভিন্ন গবেষণাগারে নমুনাগুলো আবারও পরীক্ষার দাবি তুলেছেন বেশিরভাগ সচেতন মানুষ।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুকও বলেছেন, সন্দেহ দূর করার জন্য স্বীকৃত একাধিক গবেষণাগারে দুধের নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষার ফল জানার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে পারে।
তবে কোনও স্বীকৃত গবেষণাপত্রে প্রকাশ না করে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করতে পারেন কিনা কাজী ওয়াসি উদ্দিনের তোলা এ প্রশ্নের জবাবে এর আগে গণমাধ্যমগুলোকে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জানিয়েছেন, স্বীকৃত গবেষণাপত্রে প্রকাশের জন্য তার গবেষণাটি পাঠানো হচ্ছে, তবে যে কোনও গবেষণাপত্রে গবেষণা প্রকাশ সময়সাধ্য বিষয়। আর বিষয়টি জনস্বার্থ সম্পর্কিত। সেজন্যই জনস্বার্থে তিনি বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে চিঠি দেইনি, রবিবারের চিঠিটিও তেমন হবে না। কিন্তু আমাদের জানতে হবে তিনি কোন ল্যাবে এই পরীক্ষাটি করেছেন। আমাদের দেশে এমন গবেষণাগার আছে আর আমরা জানি না এটি আমাদের কাছে ভীষণ আশ্চর্যের। তিনি আরও বলেন, আমরা তার গবেষণা প্রতিবেদন দেখে আকাশ থেকে পড়ছি। আমার দেশে এমন পরীক্ষণাগার আছে। অ্যান্টিবায়েটিক কিভাবে ৩টা থেকে ৫টা করে বের করছেন তিনি। মাত্রাটি কী, অ্যান্টিবায়োটিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রার ওপরে- নিচে নাকি সমান, সে তথ্যও উনি দেননি। আমরা দু-দুটো পরীক্ষণাগারে পরীক্ষা করে যা পাইনি তা উনি কীভাবে পেলেন জানতে হবে না? আমাদের তো এই ল্যাব দরকার।’
অধ্যাপক ফারুক কেন গোপন করছেন, তিনি কেন লুকোচুরি খেলছেন অভিযোগ করে মাহবুব কবীর বলেন, তিনি যা পেয়েছেন সেটা বিশাল সমস্যা। জাতিগতভাবে সবাই মিলে সমাধান করতে হবে। আমরা যে দুই পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেছি সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়নি, কিন্তু তাতে করে আমি বলতে পারবো না যে বাকি দুধের স্যাম্পলগুলোতে এসব নেই।
তিনি আরও বলেন, কোনও কোম্পানি দুধে অ্যান্টিবায়োটিক মিশিয়ে দেয় না। গরুকে হয়তো দেন কিছু খামারি, কিন্তু সব খামারি সব গরুকে দেন না। আবার যেগুলোকে দেন সেগুলোর দুধ প্রক্রিয়াজাত হয়ে বাজারে আসতে আসতে অ্যান্টিবায়োটিক নাই হয়ে যায়। তাহলে উনি কোন পদ্ধতিতে কী পেলেন তা জানতে চেয়েই আমরা চিঠি দিয়ে সাত দিন সময় দিয়েছিলাম। সেটি শেষ হওয়ায় রবিবার আবারও চিঠি পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে টেলিফোনের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত আমি ব্যস্ত থাকবো। এরপরে বিস্তারিত কথা হবে।
No comments