বনানী ট্র্যাজেডি: ল্যাডার দুটি সচল থাকলে... by রুদ্র মিজান
বনানীর
এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের আগেই কেনা হয়েছিল অত্যাধুনিত দুটি ল্যাডার।
জার্মানি থেকে প্রায় ২৪ কোটি টাকা মূল্যে কেনা হয় আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এ
ল্যাডার দুটি। এ ল্যাডার দিয়ে ২৩ থেকে ২৪ তলা ভবনে অগ্নিনির্বাপণের কাজ
করা সম্ভব। কিন্তু বহুতল ভবন এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে কোনো কাজে আসেনি
ল্যাডার দুটি। বিদেশ থেকে আসা ল্যাডারগুলো প্যাকেটবন্দি আছে এখনো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পরীক্ষামূলক পরিচালনা করার পরই ব্যবহারের উপযোগী করা
হবে। তবে সেই প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে নির্দিষ্ট করে তা জানাতে পারেননি তারা।
গত ২৮শে মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বনানীর এফআর টাওয়ারে।
সেদিন অন্তত পাঁচটি ল্যাডার দিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপনের কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ল্যাডারগুলোর মধ্যে দুটি ছিল বড়। তা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ১৯ তলা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপন ও উদ্ধার কাজ করা সম্ভব। কিন্তু ২৩ তলা ওই ভবনের বিভিন্ন তলায় ও ছাদে আটকে ছিলেন অনেকে। তাদের উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মনে করেন, জার্মানি থেকে আমদানিকৃত ওই দুটি ল্যাডার সেদিন সক্রিয় থাকলে ২৪ তলা পর্যন্ত উদ্ধার ও পানি দিয়ে আগুন নেভানো অনেকটা সহজ হতো।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বছরের শুরুর দিকেই জার্মানি থেকে ল্যাডার দুটি আমদানি করা হয়। এই দুটি ল্যাডারসহ ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডার রয়েছে ৯টি। আমদানিকৃত ল্যাডারের মধ্যে এই দুটি ল্যাডার দিয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপন ও উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব। এছাড়াও ৫৪ মিটার ও ২৭ মিটার উচ্চতার ল্যাডার রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের বহরে। এখন সারাদেশে ল্যাডার আছে ১৯টি। এক একটি ল্যাডারের মূল্য ৯ থেকে ১২ কোটি টাকা। তবে অত্যাধুনিক দুটি ল্যাডারের মূল্য প্রায় ২৪ কোটি টাকা। এফআর টাওয়ার অগ্নিকান্ডের আগে এই দুটি ল্যাডার আমদানি করা হলেও তা প্যাকেটজাত করা ছিলো। সংশ্লিষ্টরা জানান, কারিগরি কারণেই তা ব্যবহার করা হয়নি। এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবেই ব্যবহার করা হবে। তবে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, ল্যাডার দুটি আমদানি করার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেছে, একটির কমপ্রেসারে টিকমতো কাজ করছে না। তারপর জার্মানি থেকে টেকনেশিয়ান এসে এটি সমাধান করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. এম জুলফিকার রহমান বলেন, ল্যাডারগুলো জার্মানি থেকে আমদানি করা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা আমদানি হয়। ৬৪ মিটারের দুটি ল্যাডার এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের আগে আনা হলেও তা ব্যবহার উপযোগী না হওয়ায় তখন ব্যবহার করা হয়নি। এই দুটি ল্যাডার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। শিগগিরই ব্যবহার উপযোগী হবে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই আরও ছয়টি ল্যাডার আমদানি করা হচ্ছে। ওই ছয়টি ল্যাডার আমদানি হলে দেশে ল্যাডারের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৫টি।
সেদিন অন্তত পাঁচটি ল্যাডার দিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপনের কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ল্যাডারগুলোর মধ্যে দুটি ছিল বড়। তা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ১৯ তলা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপন ও উদ্ধার কাজ করা সম্ভব। কিন্তু ২৩ তলা ওই ভবনের বিভিন্ন তলায় ও ছাদে আটকে ছিলেন অনেকে। তাদের উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মনে করেন, জার্মানি থেকে আমদানিকৃত ওই দুটি ল্যাডার সেদিন সক্রিয় থাকলে ২৪ তলা পর্যন্ত উদ্ধার ও পানি দিয়ে আগুন নেভানো অনেকটা সহজ হতো।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বছরের শুরুর দিকেই জার্মানি থেকে ল্যাডার দুটি আমদানি করা হয়। এই দুটি ল্যাডারসহ ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডার রয়েছে ৯টি। আমদানিকৃত ল্যাডারের মধ্যে এই দুটি ল্যাডার দিয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপন ও উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব। এছাড়াও ৫৪ মিটার ও ২৭ মিটার উচ্চতার ল্যাডার রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের বহরে। এখন সারাদেশে ল্যাডার আছে ১৯টি। এক একটি ল্যাডারের মূল্য ৯ থেকে ১২ কোটি টাকা। তবে অত্যাধুনিক দুটি ল্যাডারের মূল্য প্রায় ২৪ কোটি টাকা। এফআর টাওয়ার অগ্নিকান্ডের আগে এই দুটি ল্যাডার আমদানি করা হলেও তা প্যাকেটজাত করা ছিলো। সংশ্লিষ্টরা জানান, কারিগরি কারণেই তা ব্যবহার করা হয়নি। এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবেই ব্যবহার করা হবে। তবে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, ল্যাডার দুটি আমদানি করার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেছে, একটির কমপ্রেসারে টিকমতো কাজ করছে না। তারপর জার্মানি থেকে টেকনেশিয়ান এসে এটি সমাধান করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. এম জুলফিকার রহমান বলেন, ল্যাডারগুলো জার্মানি থেকে আমদানি করা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা আমদানি হয়। ৬৪ মিটারের দুটি ল্যাডার এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের আগে আনা হলেও তা ব্যবহার উপযোগী না হওয়ায় তখন ব্যবহার করা হয়নি। এই দুটি ল্যাডার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। শিগগিরই ব্যবহার উপযোগী হবে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই আরও ছয়টি ল্যাডার আমদানি করা হচ্ছে। ওই ছয়টি ল্যাডার আমদানি হলে দেশে ল্যাডারের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৫টি।
No comments