উইঘুর ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ পরিদর্শনে বাংলাদেশকে চীনের আমন্ত্রণ
উইঘুরদের
‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ পরিদর্শনে বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে
চীন। আমন্ত্রণ পাওয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। তবে বাংলাদেশ শিনজং
পরিদর্শনের আমন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, চীনের জন্য সামনের দুইটি উপলক্ষে সমালোচনা
আটকে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। এদের একটি হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার
কাউন্সিলের সভা যা আগামী সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারিতে) জেনেভায় অনুষ্ঠিত হতে
যাচ্ছে। আর অন্যটি হচ্ছে আগামী এপ্রিলে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য ‘বেল্ট
অ্যান্ড রোড’ সম্মেলন, যেখানে মুসলিমপ্রধান অনেকগুলো দেশের অংশগ্রহণ করার
কথা।
চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ, দেশটি উইঘুর, কাজাখ, উজবেক ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আটক করে রেখেছে। চীনের ভাষ্য, তাদেরকে আটক করে রাখা হয়নি। বরং ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়ে চীনা সংস্কৃতিতে ‘অন্তর্ভুক্তকরণের’ প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে। চীনা সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্তকরণ বলতে মূলত অপরাপর চীনা গোষ্ঠীগুলোকে হান জনগোষ্ঠীর ধর্ম, সংস্কৃতি, পোশাক, রাজনীতি এবং ভাষা গ্রহণে বাধ্য করছে চীন। আর সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণের জন্য খোলা হয়েছে কেন্দ্র। মানবাধিকার কর্মীরা এসব ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে’ ‘বন্দিশিবির’ আখ্যায়িত করেছেন।
গত ডিসেম্বর মাস থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের অন্তত তিনটি দলকে শিনজং পরিদর্শনে নিয়ে গেছে চীন। এ মাসে বিদেশি কূটনীতিকদের আরেকটি দলের উইঘুর ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে’ যাওয়ার কথা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, কিউবা, মিসর, কম্বোডিয়া, রাশিয়া, সেনেগাল ও বেলারুশের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের পরিদর্শন শেষ হয়েছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি।
ছয়টি কূটনৈতিক সূত্র ডাক্তার নিশ্চিত করেছে, এ মাসে ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো’ পরিদর্শনের জন্য চীন আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, লেবানন, মিসর, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, লাওস, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি এবং গ্রিসের কূটনীতিকদের।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, হাঙ্গেরি, মরক্কো, মিসর, আলজেরিয়া, সৌদি আরব ও গ্রিস কোনও জবাব দেয়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও তুর্কমেনিস্তান কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন, তারা এ ধরনের কোনও সফরের বিষয়ে অবগত নন। লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমন্ত্রণ পেলেও তারা এই পরিদর্শন কর্মসূচিতে অংশ নেবে না। আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের প্রতিনিধি পরিদর্শনে যাবেন না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে নিশ্চিত করেছে, তারা শিনজং পরিদর্শনের জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তাদের ভাষ্য, ‘আমরা মনে করি এ ধরনের সফর শিনজং সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া এবং জ্ঞানকে বৃদ্ধি করবে। শিনজং একটি মুক্ত এলাকা এবং যে কেউ মুক্তমনে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে সেখানে কত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে বলেছে উইঘুরদের ‘বন্দিশিবিরে’ রাখার প্রেক্ষিতে সমালোচনা এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের যুগপৎ নিন্দায় বেইজিংয়ের কূটনীতিকরা নড়েচড়ে বসেছেন। গত জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় শিনজংয়ের উইঘুরদের বিষয়ে সবচাইতে বেশি সমালোচনামুখর ছিল সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক মন্তব্য করেছে, ‘বন্দিশিবিরগুলো মানবতার জন্য অত্যন্ত বড় লজ্জার বিষয়।’
এই পরিদর্শন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের আগামী সভা ও ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডের’ আগামী সম্মেলনে উইঘুরদের ‘বন্দিশিবিরে’ রাখা নিয়ে সম্ভাব্য সমালোচনার ঝুঁকি কমাতে চায় চীন।
চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ, দেশটি উইঘুর, কাজাখ, উজবেক ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আটক করে রেখেছে। চীনের ভাষ্য, তাদেরকে আটক করে রাখা হয়নি। বরং ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়ে চীনা সংস্কৃতিতে ‘অন্তর্ভুক্তকরণের’ প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে। চীনা সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্তকরণ বলতে মূলত অপরাপর চীনা গোষ্ঠীগুলোকে হান জনগোষ্ঠীর ধর্ম, সংস্কৃতি, পোশাক, রাজনীতি এবং ভাষা গ্রহণে বাধ্য করছে চীন। আর সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণের জন্য খোলা হয়েছে কেন্দ্র। মানবাধিকার কর্মীরা এসব ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে’ ‘বন্দিশিবির’ আখ্যায়িত করেছেন।
গত ডিসেম্বর মাস থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের অন্তত তিনটি দলকে শিনজং পরিদর্শনে নিয়ে গেছে চীন। এ মাসে বিদেশি কূটনীতিকদের আরেকটি দলের উইঘুর ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে’ যাওয়ার কথা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, কিউবা, মিসর, কম্বোডিয়া, রাশিয়া, সেনেগাল ও বেলারুশের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের পরিদর্শন শেষ হয়েছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি।
ছয়টি কূটনৈতিক সূত্র ডাক্তার নিশ্চিত করেছে, এ মাসে ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো’ পরিদর্শনের জন্য চীন আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, লেবানন, মিসর, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, লাওস, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি এবং গ্রিসের কূটনীতিকদের।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, হাঙ্গেরি, মরক্কো, মিসর, আলজেরিয়া, সৌদি আরব ও গ্রিস কোনও জবাব দেয়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও তুর্কমেনিস্তান কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন, তারা এ ধরনের কোনও সফরের বিষয়ে অবগত নন। লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমন্ত্রণ পেলেও তারা এই পরিদর্শন কর্মসূচিতে অংশ নেবে না। আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের প্রতিনিধি পরিদর্শনে যাবেন না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে নিশ্চিত করেছে, তারা শিনজং পরিদর্শনের জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তাদের ভাষ্য, ‘আমরা মনে করি এ ধরনের সফর শিনজং সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া এবং জ্ঞানকে বৃদ্ধি করবে। শিনজং একটি মুক্ত এলাকা এবং যে কেউ মুক্তমনে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে সেখানে কত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে বলেছে উইঘুরদের ‘বন্দিশিবিরে’ রাখার প্রেক্ষিতে সমালোচনা এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের যুগপৎ নিন্দায় বেইজিংয়ের কূটনীতিকরা নড়েচড়ে বসেছেন। গত জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় শিনজংয়ের উইঘুরদের বিষয়ে সবচাইতে বেশি সমালোচনামুখর ছিল সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক মন্তব্য করেছে, ‘বন্দিশিবিরগুলো মানবতার জন্য অত্যন্ত বড় লজ্জার বিষয়।’
এই পরিদর্শন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের আগামী সভা ও ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডের’ আগামী সম্মেলনে উইঘুরদের ‘বন্দিশিবিরে’ রাখা নিয়ে সম্ভাব্য সমালোচনার ঝুঁকি কমাতে চায় চীন।
No comments