বৃটিশ রাজনীতিতে ব্রেক্সিট ঝড়
ইউরোপীয়
ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য বৃটেনের হাতে মাত্র কয়েক
সপ্তাহ সময় রয়েছে। কিন্তু এখনো এই বিচ্ছেদের প্রকৃতি ও বিচ্ছেদ পরবর্তী
সম্পর্ক নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি করতে পারেনি বৃটেন। উভয়পক্ষ
একটি খসড়া চুক্তির ওপর ঐকমত্যে পৌঁছালেও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’
পার্লামেন্টের সমর্থন আদায় করতে পারেন নি। এখন তেরেসা মে’ ওই খসড়াতে
সামান্য পরিবর্তন করে পার্লামেন্টের অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সার্বিক
পরিস্থিতি বিবেচনায় ইইউ থেকে বৃটেনের চুক্তিবিহীন বিচ্ছেদের আশঙ্কা দেখা
দিয়েছে।
নিশ্চিতভাবেই এমন সংকটময় পরিবেশে ব্রেক্সিট ইস্যুতে বৃটিশ রাজনীতিবিদদের হাল ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। কিন্তু এ সপ্তাহে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের ১১ এমপি ঠিক সে কাজটিই করেছেন। গত সোমবার বিরোধী লেবার পার্টির সাত সদস্য জানান, ইহুদি-বিদ্বেষ ও ব্রেক্সিট ইস্যুতে দলীয় প্রধান জেরেমি করবিনের কর্মকাণ্ডে তারা বিরক্ত।
তারা লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এখন থেকে তারা পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র এমপিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসবেন। তবে তারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন না। একটি স্বতন্ত্র গ্রুপ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপ) হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাবেন। পরে তাদের এই গ্রুপে যোগ দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৩ সদস্য। ব্রেক্সিট ইস্যুতে তারাও দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র কর্মকাণ্ডে বিরক্ত। তাদের এই পদত্যাগ বৃটিশ সরকারের সামনে বড় সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কেননা, পদত্যাগকারী ৩ কনজারভেটিভ এমপি সবসময় ইইউ’র পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ কঠোর বিচ্ছেদের পক্ষ নেয়া রাজনীতিবিদদের কড়া সমালোচনা করতেন। এই ৩ এমপি তেরেসা মে’র এই নীতির তীব্র বিরোধী ছিলেন। এখন তারা কনজারভেটিভ পার্টি ছেড়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপে যোগ দিয়েছেন। এই গ্রুপের এমপিরা ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী দল উভয় পক্ষের নীতিতেই অসন্তুষ্ট। তাই বৃটিশ পার্লামেন্টে গ্রুপটিকে ইইউপন্থি গ্রুপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্রেক্সিট ইস্যু বৃটিশ রাজনৈতিক সমীকরণকে বেশ জটিল করে তুলেছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় দলই ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বিষয়ে তেরেসা মে’র সরকার একটি খসড়া চুক্তির ওপর ইউরোপের ২৭ দেশের সঙ্গে একমত হয়েছেন। কিন্তু পার্লামেন্ট দফায় দফায় ওই খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছে। এই চুক্তির ওপর ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে হাউস অব কমন্সের ইতিহাসে সবচেয়ে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক এমপি প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র এই খসড়া চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন। ২০১৬ সালের পরে ব্রেক্সিট ইস্যু বৃটিশ রাজনীতিকে আদর্শগতভাবে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এখন বৃটেনে কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক হিসেবে মানুষকে সেভাবে যাচাই করা হয় না। এখন মোটা দাগে বৃটিশদেরকে দুই ভাবে দেখা হয়। ব্রেক্সিটপন্থি, আর ব্রেক্সিট বিরোধী। বৃটেনে এই মানদণ্ডে নাগরিকদের যাচাই করার প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নয়া বিভাজনের রাজনীতিতে মানুষ আরো কট্টরপন্থি হয়ে উঠছে। ব্রেক্সিটপন্থি ও ব্রেক্সিটবিরোধীদের মধ্যে পরস্পরের ওপর অনাস্থাশীল হওয়ার মজ্জাগতভাবে প্রবণতা খুবই বেশি।
কিন্তু সমস্যা হলো, বৃটিশদের মধ্যে এই নয়া বিভাজনের ফলে বৃটেনে বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে রাজনীতির ঐতিহ্য ভেঙে পড়বে না। যদিও প্রধান দুই দলের এমপিদের মধ্যেই দলত্যাগের প্রবণতা শুরু হয়েছে। যা হোক, ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটে একজন কি ভোট দিয়েছে, সেটা যদি তার ভবিষ্যৎ ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই বৃটিশ রাজনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তেমনটিই ঘটেছে।
কনজারভেটিভ পার্টি ব্রেক্সিটপন্থি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর লেবার পার্টির ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে ইইউপন্থি বা ব্রেক্সিট বিরোধী হিসেবে। গণভোটের ফল ও ২০১৭ সালে নির্বাচনের ফলের মধ্যে বেশ সামঞ্জস্য দেখা গেছে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রব ফোর্ডের মতে, ব্রেক্সিট কখনোই শুধুমাত্র ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি বলেন, এটা দ্বিতীয় আদর্শিক মানদণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্কের ভালোমন্দ নির্ধারণ কখনোই ব্রেক্সিটের মূল বিষয় ছিল না। বরং এর মূল প্রশ্ন ছিল উন্নত ও বৈশ্বিক বৃটেন? নাকি পশ্চাৎপদ ও গতানুগতিক দেশ।
নতুন গঠিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপের সব সদস্যই উন্নত ও বৈশ্বিক বৃটেনের পক্ষে। যা হবে আধুনিক ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বর্তমানে বৃটেনের প্রধান দুই দলই বলছে যে, তারা ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করবে। এখন পার্লামেন্টে একটি নতুন গ্রুপের আবির্ভাব হলো, যারা নিজেদের ইচ্ছা মতো কথা বলবে ও ভোট দেবে। এখন তারা ব্রেক্সিটের প্রকৃতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিতে পারে, অথবা এই ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের আহ্বান জানাতে পারে। যদি তারা এমন পদক্ষেপ নেন, তাহলে এটা সরকার ও বিরোধী দল উভয়পক্ষকেই বিপদে ফেলবে।
কিন্তু আসলেই কি তারা এমন পদক্ষেপ নেবেন? সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি বাস্তবে এমন কিছু ঘটে, তাহলে দ্বিতীয় ব্রেক্সিট গণভোটের প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে। আর এতে সমর্থন দিতে পারে লেবার পার্টি। এমন পরিস্থিতিতে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থিদের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেননা, দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হলে বৃটিশ পার্লামেন্টের হিসাবনিকাশ পুরোপুরি বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি ঘটনাপ্রবাহ বৃটেনকে নতুন একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
নিশ্চিতভাবেই এমন সংকটময় পরিবেশে ব্রেক্সিট ইস্যুতে বৃটিশ রাজনীতিবিদদের হাল ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। কিন্তু এ সপ্তাহে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের ১১ এমপি ঠিক সে কাজটিই করেছেন। গত সোমবার বিরোধী লেবার পার্টির সাত সদস্য জানান, ইহুদি-বিদ্বেষ ও ব্রেক্সিট ইস্যুতে দলীয় প্রধান জেরেমি করবিনের কর্মকাণ্ডে তারা বিরক্ত।
তারা লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এখন থেকে তারা পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র এমপিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসবেন। তবে তারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন না। একটি স্বতন্ত্র গ্রুপ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপ) হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাবেন। পরে তাদের এই গ্রুপে যোগ দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৩ সদস্য। ব্রেক্সিট ইস্যুতে তারাও দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র কর্মকাণ্ডে বিরক্ত। তাদের এই পদত্যাগ বৃটিশ সরকারের সামনে বড় সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কেননা, পদত্যাগকারী ৩ কনজারভেটিভ এমপি সবসময় ইইউ’র পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ কঠোর বিচ্ছেদের পক্ষ নেয়া রাজনীতিবিদদের কড়া সমালোচনা করতেন। এই ৩ এমপি তেরেসা মে’র এই নীতির তীব্র বিরোধী ছিলেন। এখন তারা কনজারভেটিভ পার্টি ছেড়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপে যোগ দিয়েছেন। এই গ্রুপের এমপিরা ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী দল উভয় পক্ষের নীতিতেই অসন্তুষ্ট। তাই বৃটিশ পার্লামেন্টে গ্রুপটিকে ইইউপন্থি গ্রুপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্রেক্সিট ইস্যু বৃটিশ রাজনৈতিক সমীকরণকে বেশ জটিল করে তুলেছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় দলই ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বিষয়ে তেরেসা মে’র সরকার একটি খসড়া চুক্তির ওপর ইউরোপের ২৭ দেশের সঙ্গে একমত হয়েছেন। কিন্তু পার্লামেন্ট দফায় দফায় ওই খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছে। এই চুক্তির ওপর ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে হাউস অব কমন্সের ইতিহাসে সবচেয়ে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক এমপি প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র এই খসড়া চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন। ২০১৬ সালের পরে ব্রেক্সিট ইস্যু বৃটিশ রাজনীতিকে আদর্শগতভাবে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এখন বৃটেনে কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক হিসেবে মানুষকে সেভাবে যাচাই করা হয় না। এখন মোটা দাগে বৃটিশদেরকে দুই ভাবে দেখা হয়। ব্রেক্সিটপন্থি, আর ব্রেক্সিট বিরোধী। বৃটেনে এই মানদণ্ডে নাগরিকদের যাচাই করার প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নয়া বিভাজনের রাজনীতিতে মানুষ আরো কট্টরপন্থি হয়ে উঠছে। ব্রেক্সিটপন্থি ও ব্রেক্সিটবিরোধীদের মধ্যে পরস্পরের ওপর অনাস্থাশীল হওয়ার মজ্জাগতভাবে প্রবণতা খুবই বেশি।
কিন্তু সমস্যা হলো, বৃটিশদের মধ্যে এই নয়া বিভাজনের ফলে বৃটেনে বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে রাজনীতির ঐতিহ্য ভেঙে পড়বে না। যদিও প্রধান দুই দলের এমপিদের মধ্যেই দলত্যাগের প্রবণতা শুরু হয়েছে। যা হোক, ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটে একজন কি ভোট দিয়েছে, সেটা যদি তার ভবিষ্যৎ ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই বৃটিশ রাজনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তেমনটিই ঘটেছে।
কনজারভেটিভ পার্টি ব্রেক্সিটপন্থি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর লেবার পার্টির ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে ইইউপন্থি বা ব্রেক্সিট বিরোধী হিসেবে। গণভোটের ফল ও ২০১৭ সালে নির্বাচনের ফলের মধ্যে বেশ সামঞ্জস্য দেখা গেছে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রব ফোর্ডের মতে, ব্রেক্সিট কখনোই শুধুমাত্র ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি বলেন, এটা দ্বিতীয় আদর্শিক মানদণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্কের ভালোমন্দ নির্ধারণ কখনোই ব্রেক্সিটের মূল বিষয় ছিল না। বরং এর মূল প্রশ্ন ছিল উন্নত ও বৈশ্বিক বৃটেন? নাকি পশ্চাৎপদ ও গতানুগতিক দেশ।
নতুন গঠিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপের সব সদস্যই উন্নত ও বৈশ্বিক বৃটেনের পক্ষে। যা হবে আধুনিক ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বর্তমানে বৃটেনের প্রধান দুই দলই বলছে যে, তারা ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করবে। এখন পার্লামেন্টে একটি নতুন গ্রুপের আবির্ভাব হলো, যারা নিজেদের ইচ্ছা মতো কথা বলবে ও ভোট দেবে। এখন তারা ব্রেক্সিটের প্রকৃতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিতে পারে, অথবা এই ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের আহ্বান জানাতে পারে। যদি তারা এমন পদক্ষেপ নেন, তাহলে এটা সরকার ও বিরোধী দল উভয়পক্ষকেই বিপদে ফেলবে।
কিন্তু আসলেই কি তারা এমন পদক্ষেপ নেবেন? সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি বাস্তবে এমন কিছু ঘটে, তাহলে দ্বিতীয় ব্রেক্সিট গণভোটের প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে। আর এতে সমর্থন দিতে পারে লেবার পার্টি। এমন পরিস্থিতিতে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থিদের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেননা, দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হলে বৃটিশ পার্লামেন্টের হিসাবনিকাশ পুরোপুরি বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি ঘটনাপ্রবাহ বৃটেনকে নতুন একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
No comments