একটি হিল্লা বিয়ে নিয়ে আলোচনা ভারতে
একটি
‘হিল্লা’ বিয়ে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ভারতে। রায়বেরেলির একজন নারী অভিযোগ
করেছেন তাকে প্রথমে তার শ্বশুরের সঙ্গে হিল্লা বিয়ে দেয়া হয়েছিল। পরের বার
তার এক দেবরের সঙ্গে হিল্লা বিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় আদালতে গিয়েছেন ওই নারীর
এক বোন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে ওই নারীর নাম প্রকাশ
করা হয় নি। বল াহয়েছে ২০০৯ সালের ৫ই জুলাই কিলা এলাকার একজন বাসিন্দার
সঙ্গে বিয়ে হয় ওই নারীর। এরপর তাদের দাম্পত্য বেশ ভালই কাটছিল।
এরপরই তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। কারণ, তিনি সন্তানের জন্ম দিতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় তারা ওই নারীকে বাঁজা বলে আখ্যায়িত করতে থাকে। তাকে কয়েকদিন রাখা হয় খাবার ছাড়া। মামলায় তার বোন বলেছেন, সামান্য কারণে আমার বোনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রহার করতেন। এটা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। অনেক বার আমার বোন তার স্বামীর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর তার স্বামী তাকে তিন তালাক দেয়। এ সময় আমাদের পরিবার তার স্বামীকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করে। সে তাতে রাজি হয়। তবে শর্ত দেয় যে, হিল্লা বিয়ে দিতে হবে তার পিতার সঙ্গে।
ওই নারীর বোন মামলায় আরো বলেছেন, আমার বোন যখন হিল্লা বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায় তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর জোর করে চেতনানাশক ইঞ্জেকশ পুশ করে। তারপর তার শ্বশুরের সঙ্গে হিল্লা বিয়ে সম্পন্ন করে। ১০ দিন ধরে তার শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এরপরেই তিনি তাকে তিন তালাক দেন, যাতে আমার বোন তার স্বামীকে বিয়ে করতে পারে। আবার তাদের বিয়ে হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে আমার বোনকে তার স্বামী আবার তিন তালাক দেয়। আবার তার পরিবার তার দেবরের সঙ্গে হিল্লা বিয়েতে জোর প্রয়োগ করতে থাকে। তাদের হিল্লা বিয়ে হয়েও যায়। এ অবস্থার আমাদের পরিবার বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক আদালতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ই ফেব্রুয়ারি। যৌতুক দাবি, অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্ক, ইচ্ছাকৃত নির্যাতনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া, বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ করা, বন্দি করে রাখা সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে ওই মামলা হয়েছে। বিচারক অজয় সিংয়ের আদালতে মামলাটি গ্রহণ করা হয়।
এরপরই তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। কারণ, তিনি সন্তানের জন্ম দিতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় তারা ওই নারীকে বাঁজা বলে আখ্যায়িত করতে থাকে। তাকে কয়েকদিন রাখা হয় খাবার ছাড়া। মামলায় তার বোন বলেছেন, সামান্য কারণে আমার বোনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রহার করতেন। এটা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। অনেক বার আমার বোন তার স্বামীর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর তার স্বামী তাকে তিন তালাক দেয়। এ সময় আমাদের পরিবার তার স্বামীকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করে। সে তাতে রাজি হয়। তবে শর্ত দেয় যে, হিল্লা বিয়ে দিতে হবে তার পিতার সঙ্গে।
ওই নারীর বোন মামলায় আরো বলেছেন, আমার বোন যখন হিল্লা বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায় তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর জোর করে চেতনানাশক ইঞ্জেকশ পুশ করে। তারপর তার শ্বশুরের সঙ্গে হিল্লা বিয়ে সম্পন্ন করে। ১০ দিন ধরে তার শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এরপরেই তিনি তাকে তিন তালাক দেন, যাতে আমার বোন তার স্বামীকে বিয়ে করতে পারে। আবার তাদের বিয়ে হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে আমার বোনকে তার স্বামী আবার তিন তালাক দেয়। আবার তার পরিবার তার দেবরের সঙ্গে হিল্লা বিয়েতে জোর প্রয়োগ করতে থাকে। তাদের হিল্লা বিয়ে হয়েও যায়। এ অবস্থার আমাদের পরিবার বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক আদালতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ই ফেব্রুয়ারি। যৌতুক দাবি, অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্ক, ইচ্ছাকৃত নির্যাতনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া, বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ করা, বন্দি করে রাখা সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে ওই মামলা হয়েছে। বিচারক অজয় সিংয়ের আদালতে মামলাটি গ্রহণ করা হয়।
No comments