শ্মশান থেকে তুলে নবজাতকের মাথা কাটলো কিশোররা: মামলা, ৪ কিশোর সংশোধনাগারে by জিয়া চৌধুরী
মধ্যরাতে
শ্মশানে একদল কিশোর-যুবা। শ্মশান থেকে মরদেহ তুলে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে
মস্তক। তার ওপর লাল রক্ত ঢেলে আগুন জ্বেলে চলছে পূজা-অর্চনা। আধ্যাত্মিক
শক্তি লাভের আশায় মধ্যরাতে কিশোর দলের এমন কাণ্ড। গা ছমছমে ভয়াল রাতে
শ্মশানে মরদেহের মাথা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা বা গোয়েন্দা গল্পের কাহিনী মনে
হলেও খোদ রাজধানীর শ্যামপুর থানার পোস্তগোলা শ্মশানে সোমবার রাতে ঘটে এমন
কাণ্ড। কিশোরদের এমন ভৌতিক কর্মকাণ্ড টের পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন
শ্মশানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পলাশ চক্রবর্তী। ধরে ফেলেন রুদ্রকুর্মী
(১৮), শুভংকর চন্দ্র রায় (১৫), বিপুল দাস (১৫), রনক দে (১৫) ও বিজয় দে’কে
(১৬)। অবশ্য ঘটনার নেতৃত্বে থাকা শুভ (২২) ও অজ্ঞাত আরো তিন যুবক পালিয়ে
যায় বলে মানবজমিনকে জানান পলাশ চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার, আটক পাঁচ কিশোর ও আরো তিনজনকে আসামি করে পেনাল কোডের ২৯৭/৩৪ ধারায় মামলা করা হয় বলে জানান ডিএমপির শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার মফিজুর রহমান।
গতকাল দুপুরে আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলামের এজলাসে হাজির করা হয়। রিমান্ড ও জামিন কোনো ধরনের আবেদন না থাকায় আসামিদের মধ্যে রুদ্রকৃর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অপর ৪ জনকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। পলাশ চক্রবর্তী মানবজমিনকে জানান, সোমবার রাত ২টার দিকে পোস্তগোলা শ্মশানে পাহারা দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ৯/১০ জন যুবক ও কিশোর শ্মশানে প্রবেশ করে। এর কিছু পরেই আগুন জ্বলতে থাকলে কাছে গিয়ে দেখি বীভৎস চিত্র। শাঁখারীবাজারের বরীন্দ্র চন্দ্র দত্তের কন্যাশিশুর মরদেহ তুলে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে এ সময় পূজা-অর্চনা করতে থাকে তারা।
এর আগের দিন রোববার শিশুটির মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়। পরে, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার স্থানীয় আনসার সদস্য মজিবুর রহমান, স্বপন লাল ডোম, মোহন লাল ডোম ও ভারত লাল ডোমের সহায়তায় পাঁচজনকে ধরতে সক্ষম হন তারা। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় শুভ ও তার সঙ্গে থাকা আরো তিনজন। পরে শ্যামপুর থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন পলাশ চক্রবর্তী। তবে, ঠিক কি কারণে সদ্য সমাহিত শিশুকে বেছে নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে ধোঁয়াশা আছে সবার মাঝে। কেউ কেউ বলছেন, সদ্য মৃত একজনের লাশই হয়তো তুলতে চেয়েছিল কিশোর গ্যাংটি। এ কারণে হয়তো আগে থেকেই খোঁজ-খবর নিয়ে রবীন্দ্র চন্দ্রের কন্যা শিশুর লাশকে টার্গেট করে রেখেছিল আসামিরা।
মামলার এজাহারে, আসামিদের বিরুদ্ধে একই উদ্দেশ্যে শ্মশানে অনধিকার প্রবেশ করে মৃতদেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করার অপরাধ উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের কোনো মামলা দায়েরের ঘটনা মহানগর পুলিশের ইতিহাসে এর আগে ছিল না বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কৌতূহলবশত শ্মশানে মরদেহ নিয়ে আধ্যাত্মিক শক্তি লাভের কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার কিশোররা। তবে, তাদের মধ্যে বয়সে বড় ও জনতার হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া শুভ এমন ঘটনার মূল হোতা বলে জানিয়েছে আটক কিশোররা। ওইদিন শ্মশানে যাওয়া সবার বাড়ি রাজধানীর কোতোয়ালি থানার সূত্রাপুর এলাকায়।
ঘটনার পর থেকে পলাতক শুভ’র পরিবারও তার অবস্থান সম্পর্কে জানে না বলে মানবজমিনকে জানান আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসামিরা কিশোর হওয়ায় ও প্রথম অপরাধ বিবেচনায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, নিছক কৌতূহল না কি অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আমরা চেষ্টা করবো নিরপরাধ কেউ যেন সাজা না পায়। পাশাপাশি, পলাতক শুভকে খুঁজে পেলে ঘটনার মূল্য উদ্দেশ্য জানা যাবে বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার, আটক পাঁচ কিশোর ও আরো তিনজনকে আসামি করে পেনাল কোডের ২৯৭/৩৪ ধারায় মামলা করা হয় বলে জানান ডিএমপির শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার মফিজুর রহমান।
গতকাল দুপুরে আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলামের এজলাসে হাজির করা হয়। রিমান্ড ও জামিন কোনো ধরনের আবেদন না থাকায় আসামিদের মধ্যে রুদ্রকৃর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অপর ৪ জনকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। পলাশ চক্রবর্তী মানবজমিনকে জানান, সোমবার রাত ২টার দিকে পোস্তগোলা শ্মশানে পাহারা দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ৯/১০ জন যুবক ও কিশোর শ্মশানে প্রবেশ করে। এর কিছু পরেই আগুন জ্বলতে থাকলে কাছে গিয়ে দেখি বীভৎস চিত্র। শাঁখারীবাজারের বরীন্দ্র চন্দ্র দত্তের কন্যাশিশুর মরদেহ তুলে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে এ সময় পূজা-অর্চনা করতে থাকে তারা।
এর আগের দিন রোববার শিশুটির মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়। পরে, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট এলাকার স্থানীয় আনসার সদস্য মজিবুর রহমান, স্বপন লাল ডোম, মোহন লাল ডোম ও ভারত লাল ডোমের সহায়তায় পাঁচজনকে ধরতে সক্ষম হন তারা। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় শুভ ও তার সঙ্গে থাকা আরো তিনজন। পরে শ্যামপুর থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন পলাশ চক্রবর্তী। তবে, ঠিক কি কারণে সদ্য সমাহিত শিশুকে বেছে নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে ধোঁয়াশা আছে সবার মাঝে। কেউ কেউ বলছেন, সদ্য মৃত একজনের লাশই হয়তো তুলতে চেয়েছিল কিশোর গ্যাংটি। এ কারণে হয়তো আগে থেকেই খোঁজ-খবর নিয়ে রবীন্দ্র চন্দ্রের কন্যা শিশুর লাশকে টার্গেট করে রেখেছিল আসামিরা।
মামলার এজাহারে, আসামিদের বিরুদ্ধে একই উদ্দেশ্যে শ্মশানে অনধিকার প্রবেশ করে মৃতদেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করার অপরাধ উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের কোনো মামলা দায়েরের ঘটনা মহানগর পুলিশের ইতিহাসে এর আগে ছিল না বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কৌতূহলবশত শ্মশানে মরদেহ নিয়ে আধ্যাত্মিক শক্তি লাভের কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার কিশোররা। তবে, তাদের মধ্যে বয়সে বড় ও জনতার হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া শুভ এমন ঘটনার মূল হোতা বলে জানিয়েছে আটক কিশোররা। ওইদিন শ্মশানে যাওয়া সবার বাড়ি রাজধানীর কোতোয়ালি থানার সূত্রাপুর এলাকায়।
ঘটনার পর থেকে পলাতক শুভ’র পরিবারও তার অবস্থান সম্পর্কে জানে না বলে মানবজমিনকে জানান আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসামিরা কিশোর হওয়ায় ও প্রথম অপরাধ বিবেচনায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, নিছক কৌতূহল না কি অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আমরা চেষ্টা করবো নিরপরাধ কেউ যেন সাজা না পায়। পাশাপাশি, পলাতক শুভকে খুঁজে পেলে ঘটনার মূল্য উদ্দেশ্য জানা যাবে বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
No comments