রাজশাহীতে খেজুর গুড়ে চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি
শীত
মৌসুমের শুরুতেই বদলে গেছে রাজশাহীর তিনটি উপজেলার চিত্র। গ্রামগুলোতে
চলছে খেজুর রস থেকে গুড় তৈরির ধুম। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২০ হাজার
গাছির। জীবিকা চলছে লক্ষাধিক মানুষের। জেলার পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার
গাছিদের উৎপাদিত খেজুর গুড় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বিদেশেও। এতে
ভালোভাবে ঘুরে যাচ্ছে এই তিন উপজেলার গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাজশাহীতে খেজুর গাছের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। এসব গাছ থেকে প্রতি শীত মৌসুমে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ৮ হাজার টন গুড় উৎপাদন হয়। এর মধ্যে জেলায় সবচেয়ে বেশি গাছ আছে চারঘাট উপজেলায়।
এখানে গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার। বাঘা উপজেলায় খেজুরগাছ রয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার। আর পুঠিয়া উপজেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ৮৫ হাজার।
শীত এলেই এসব গাছ হয়ে ওঠে গাছিদের কর্মসংস্থানের উৎস। গুড় তৈরিতে এ অঞ্চলের পুরুষদের সঙ্গে কাজ করেন নারীরাও। গুড় তৈরির পর পুঠিয়ার বানেশ্বর, ঝলমলিয়া আর বাঘা সদরে নিয়ে পাইকারীতে বিক্রি করেন গাছিরা। এই গুড় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বরিশাল, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। ঢাকা থেকে গুড় বিদেশেও পাঠানো হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজশাহী অঞ্চলের পর পরই যশোর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর এলাকায় গুড় উৎপাদন হয়। তবে রাজশাহীর গুড়ের স্বাদ অত্যন্ত সুমিষ্ট। গন্ধও ভালো। গুড় উৎপাদনে কেমিক্যালের ব্যবহারও কম। তাই চাহিদাও বেশি। এজন্য রাজশাহী থেকেই বেশি গুড় কেনার চেষ্টা করেন তারা।
আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী হাটে গুড় কিনতে এসেছিলেন বরিশাল থেকে। তিনি বলেন, প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে তিনি ৪০ মণ গুড় কিনেছেন। বরিশালে এই গুড় ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়। গুড় বিক্রেতা মহসিন আলী বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও তিনি ৬৫ টাকা দরে গুড় বিক্রি করেছেন। এখন উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় দাম একটু কমেছে।
বাঘা, চারঘাট আর পুঠিয়ার গাছিরা ভোরের কুয়াশা ঠেলে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। আর নারীরা বাড়িতে রস জ্বাল দিয়ে তৈরি করেন লোভনীয় মিষ্টি গুড়। পুরুষরা আবার দুপুর থেকে শুরু করেন গাছের নির্দিষ্ট অংশ চেঁছে রস বের করার কাজ। সন্ধ্যায় গাছে হাঁড়ি পাতেন তারাই। বাড়িতে গুড়ের চাকি তৈরি হলে তা বাজারে নেন গাছিরাই। হাটের দিন গুড় বিক্রি করে মাছ-মাংস কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন। সব গাছির বাড়িতেই হাটবার ভালো রান্না হয়।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের খেজুর গুড় খুবই সুস্বাদু। শীতের নানা খাবার তৈরিতে এর জুড়ি নেই। এ জন্য বর্তমানে রাজশাহীর গুড় দেশ-বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এবার গুড়ের ভালো দাম পাচ্ছেন গাছিরা। ফলে জেলার পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে এখন চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাজশাহীতে খেজুর গাছের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। এসব গাছ থেকে প্রতি শীত মৌসুমে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ৮ হাজার টন গুড় উৎপাদন হয়। এর মধ্যে জেলায় সবচেয়ে বেশি গাছ আছে চারঘাট উপজেলায়।
এখানে গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার। বাঘা উপজেলায় খেজুরগাছ রয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার। আর পুঠিয়া উপজেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ৮৫ হাজার।
শীত এলেই এসব গাছ হয়ে ওঠে গাছিদের কর্মসংস্থানের উৎস। গুড় তৈরিতে এ অঞ্চলের পুরুষদের সঙ্গে কাজ করেন নারীরাও। গুড় তৈরির পর পুঠিয়ার বানেশ্বর, ঝলমলিয়া আর বাঘা সদরে নিয়ে পাইকারীতে বিক্রি করেন গাছিরা। এই গুড় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বরিশাল, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। ঢাকা থেকে গুড় বিদেশেও পাঠানো হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজশাহী অঞ্চলের পর পরই যশোর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর এলাকায় গুড় উৎপাদন হয়। তবে রাজশাহীর গুড়ের স্বাদ অত্যন্ত সুমিষ্ট। গন্ধও ভালো। গুড় উৎপাদনে কেমিক্যালের ব্যবহারও কম। তাই চাহিদাও বেশি। এজন্য রাজশাহী থেকেই বেশি গুড় কেনার চেষ্টা করেন তারা।
আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী হাটে গুড় কিনতে এসেছিলেন বরিশাল থেকে। তিনি বলেন, প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে তিনি ৪০ মণ গুড় কিনেছেন। বরিশালে এই গুড় ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়। গুড় বিক্রেতা মহসিন আলী বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও তিনি ৬৫ টাকা দরে গুড় বিক্রি করেছেন। এখন উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় দাম একটু কমেছে।
বাঘা, চারঘাট আর পুঠিয়ার গাছিরা ভোরের কুয়াশা ঠেলে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। আর নারীরা বাড়িতে রস জ্বাল দিয়ে তৈরি করেন লোভনীয় মিষ্টি গুড়। পুরুষরা আবার দুপুর থেকে শুরু করেন গাছের নির্দিষ্ট অংশ চেঁছে রস বের করার কাজ। সন্ধ্যায় গাছে হাঁড়ি পাতেন তারাই। বাড়িতে গুড়ের চাকি তৈরি হলে তা বাজারে নেন গাছিরাই। হাটের দিন গুড় বিক্রি করে মাছ-মাংস কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন। সব গাছির বাড়িতেই হাটবার ভালো রান্না হয়।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের খেজুর গুড় খুবই সুস্বাদু। শীতের নানা খাবার তৈরিতে এর জুড়ি নেই। এ জন্য বর্তমানে রাজশাহীর গুড় দেশ-বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এবার গুড়ের ভালো দাম পাচ্ছেন গাছিরা। ফলে জেলার পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে এখন চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে।
No comments