স্টিকার সংকটে ঝুলে আছে ২০,০০০ ভারতীয় নাগরিকের ভিসা আবেদন by মিজানুর রহমান
ভিসা
স্টিকার সংকটে ত্রাহী অবস্থা বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে। কেবল ভারতেই
দেশটির নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং জরুরি প্রয়োজনে আসার জন্য ২০ হাজার
ভিসার আবেদন ঝুলে আছে! দিল্লি ও কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা
বলছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তারা এখন ‘একান্ত জরুরি’ ছাড়া
কোনো ভিসাই ইস্যু করতে পারছেন না। অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- মেশিন রিডেবল ভিসা স্টিকার স্টকে না
থাকায় দিল্লি, কলকাতাসহ বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোর কনস্যুলার সেবায় যে
সমস্যা তৈরি হয়েছে তার বিস্তারিত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার
জানানো হয়েছে। সংকট সমাধানে বিকল্প হিসাবে সাময়িক বা আপাতত স্ট্যাম্পিং
পদ্ধতি (হাতে লেখা ভিসা) চালু করা যায় কি-না? তা খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তরফেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিন্ন সুপারিশ গেছে। কিন্তু পদ্ধতিগত জটিলতা, নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠনের (ট্রানজিশন বা রূপান্তর) ওই সময়ের কারণে এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত পেতে বিলম্ব হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্টিকার স্টক ফুরিয়ে আসার আগেই তারা টেন্ডার আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু এতে ত্রুটি ধরা পড়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।
নতুন করে তারা টেন্ডার আহ্বান করেছেন এবং ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নতুন স্টিকার হাতে পেতে আরো কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। তারা বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, এটি হলে হয়তো সাময়িকভাবে সংকট কাটবে। প্রতিবেশী ভারতেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ভিসা ইস্যু হয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন- কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন থেকে গড়ে প্রতি মাসে দু’হাজার ভিসা ইস্যু করা হয়। দিল্লিতে ১২-১৫শ’। অন্যান্য মিশনেও কয়েকশ’ ভিসার আবেদন পড়ে। স্টিকার সংকটের কারণে ওই দুটি মিশনে আবেদনের স্তূপ জমা হয়ে আছে মন্তব্য করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ফের হাতে লেখা বা স্ট্যাম্পিং ভিসা দেয়া যেতে পারে। এতে অন্তত প্রতিবেশী দেশটির আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে।
অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, সাময়িকভাবে স্ট্যাম্পিং ভিসা ব্যবস্থা ফেরাতে খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ল্যান্ড পোর্টগুলোতে একটি নোটিশ জারি করতে হবে, এবং সেটা অ্যালাও করলেই হয়। এ নিয়ে ফাইল চালাচালি হচ্ছে দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায় তারা আশা করছেন নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে। অন্তত স্টিকার জটিলতার সাময়িক অবসান ঘটবে। কলকাতাস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপে বলেন, ভিসা আবেদনকারীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন আবেদন জমা পড়ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা মিশনে প্রায় ১২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, গোটা ভারতে এটি ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে জরুরি আলোচনায় কলকাতার উপ-হাই কমিশনার এখন ঢাকায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর গত এপ্রিল মাসে ৫০ লাখ মেশিন রিডেবল ভিসা স্টিকার সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস অনুসরণ না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বাতিল করে দেয়। নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় তারা দরপত্র আহ্বান করেছে। এর কারিগরি ও আর্থিক বিষয় বিবেচনা করে কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে ৩ দফায় ওই ৫০ লাখ স্টিকার হাতে বুঝে পাওয়ার কথা রয়েছে।
পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তরফেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিন্ন সুপারিশ গেছে। কিন্তু পদ্ধতিগত জটিলতা, নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠনের (ট্রানজিশন বা রূপান্তর) ওই সময়ের কারণে এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত পেতে বিলম্ব হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্টিকার স্টক ফুরিয়ে আসার আগেই তারা টেন্ডার আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু এতে ত্রুটি ধরা পড়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।
নতুন করে তারা টেন্ডার আহ্বান করেছেন এবং ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নতুন স্টিকার হাতে পেতে আরো কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। তারা বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, এটি হলে হয়তো সাময়িকভাবে সংকট কাটবে। প্রতিবেশী ভারতেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ভিসা ইস্যু হয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন- কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন থেকে গড়ে প্রতি মাসে দু’হাজার ভিসা ইস্যু করা হয়। দিল্লিতে ১২-১৫শ’। অন্যান্য মিশনেও কয়েকশ’ ভিসার আবেদন পড়ে। স্টিকার সংকটের কারণে ওই দুটি মিশনে আবেদনের স্তূপ জমা হয়ে আছে মন্তব্য করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ফের হাতে লেখা বা স্ট্যাম্পিং ভিসা দেয়া যেতে পারে। এতে অন্তত প্রতিবেশী দেশটির আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে।
অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, সাময়িকভাবে স্ট্যাম্পিং ভিসা ব্যবস্থা ফেরাতে খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ল্যান্ড পোর্টগুলোতে একটি নোটিশ জারি করতে হবে, এবং সেটা অ্যালাও করলেই হয়। এ নিয়ে ফাইল চালাচালি হচ্ছে দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায় তারা আশা করছেন নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে। অন্তত স্টিকার জটিলতার সাময়িক অবসান ঘটবে। কলকাতাস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপে বলেন, ভিসা আবেদনকারীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন আবেদন জমা পড়ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা মিশনে প্রায় ১২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, গোটা ভারতে এটি ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে জরুরি আলোচনায় কলকাতার উপ-হাই কমিশনার এখন ঢাকায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর গত এপ্রিল মাসে ৫০ লাখ মেশিন রিডেবল ভিসা স্টিকার সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস অনুসরণ না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বাতিল করে দেয়। নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় তারা দরপত্র আহ্বান করেছে। এর কারিগরি ও আর্থিক বিষয় বিবেচনা করে কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে ৩ দফায় ওই ৫০ লাখ স্টিকার হাতে বুঝে পাওয়ার কথা রয়েছে।
No comments