নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে আন্দোলন -ড. কামাল
দলের
দুই এমপি’র শপথ নেয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আলোচনা করে ইতিবাচকভাবে
সিদ্ধান্ত নেবো বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ
নেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল বিকালে জাতীয় শিশুকল্যাণ পরিষদে গণফোরামের
বর্ধিতসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা
বলেন। ড. কামাল বলেন, আমাদের দুইজন প্রার্থী বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত
হয়েছেন। দলীয় ফোরামে আমরা বলেছি এটা তাদের অর্জন। তারা অনেক প্রতিযোগিতার
মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গণফোরামের পক্ষ থেকে আমরা তাদের অভিনন্দনও
জানিয়েছি। তারা সেটাকে ধরে রেখে আগামীতে অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা
করবেন। তারা যদি দেখেন ভালো কাজ সম্ভব হচ্ছে না তাহলে তারা সেভাবেই
সিদ্ধান্ত নেবেন।
আমি মনে করি এই দুইজনের শপথ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার দিকেই আমরা অগ্রসর হবো। আমার ব্যক্তিগত মত হলো ইতিবাচকভাবেই আমরা চিন্তা করবো। গতকাল দলের বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে বলেন, অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা করা হবে।
ড. কামাল বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলাম যাতে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে পারি। আমরা যেহেতু ঐক্যের পক্ষে সব সময় রাজনীতি করে এসেছি। আমি মনে করি ঐক্যকে রাখার পক্ষেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ঙ্গে শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্ট রাখার ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক থাকবো। ড. কামাল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আগামীতেও যদি ঐক্যফ্রন্ট কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে তাহলে নির্বাচনসহ অন্যান্য ব্যাপারে সরকারের উপরে চাপ থাকবে। তারা আইন মেনে দায়িত্ব পালন করবে। আমরা লক্ষ্য করেছি নির্বাচনের সময় অনেক ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আইন অমান্য করার চেষ্টা করা হয়, সেখানে আমরা নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ায় অনেক চাপ তৈরি হয়েছে। এই চাপ রাখার ব্যাপারে আমাদের ঐক্য কিছুটা কাজে লেগেছে। আশা করি আগামীতেও কাজে লাগবে। তিনি বলেন, বিএনপি’র সঙ্গে আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। জনমত গঠন করাও একটা আন্দোলন। এর জন্য আমরা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি। সেই আন্দোলন চলছে। আলোচনা করে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। এগুলোও আন্দোলনের অংশ। এটা অব্যাহত আছে। এই আন্দোলন করে যাচ্ছি, করে যাব। ভবিষ্যতে এই আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে। নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের মামলা করা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের দলিলপত্র অবশ্যই আছে। গুরুতর অভিযোগ গুলো নিয়ে আইনানুগ ব্যস্থা নেয়া যেতে পারে। সেটা আমরা বিবেচনা করছি।
সাধারণত রাজনৈতিক ব্যাপারে ঘন ঘন মামলা করা হয় না। মামলা করা উচিতও না। কিন্তু গুরুতর অভিযোগ থাকলে সেটা নিয়ে অবশ্যই আমরা বিবেচনা করবো। তিনি বলেন, বছরের প্রথম দিকে আমরা যে উদ্বেগ তুলে ধরছি আশা করছি গণমাধ্যম কর্মীরা আপনাদের লেখার মাধ্যমে সেই উদ্বেগ তুলে ধরবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র হয় না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের উপর যে আঘাত দেয়া হয়েছে আশা করি আপনারা সেটা তুলে ধরবেন। জনগণ ক্ষমতার মালিক। তাদের মালিকানা ভোগ করতে পারে যদি নিরপেক্ষভাবে তারা ভোট দিতে পারে। ভোট দেয়ার অধিকারে যদি আঘাত দেয়া হয়, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিধানগুলো যদি অমান্য করা হয়। তখন কিন্তু সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়। ড. কামাল বলেন, বর্তমান সরকার একের পর এক সংবিধানের বিধানগুলো ভঙ্গ করে যাচ্ছে। একে তো তারা নির্বাচিত সরকার না সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপর তারা দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সংবিধান অমান্য করে। এসব কারণে গুরুতর সংকট তৈরি হওয়ার ব্যাপারে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জামায়াতকে ধানের শীষের প্রতীক দেয়া হবে জানলে আপনি ঐক্যফ্রন্টে যেতেন না বিদেশি গণমাধ্যমকে আপনি একথা বলেছেন। তাহলে এখন কি আপনি ঐক্যফ্রন্টে থাকবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টে নেই। তারা ২০ দলীয় জোটে আছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কারণ দু’টি আলাদা জোট। আপনারা একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। তাহলে নির্বাচনে কেন গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে গিয়েছি শেষ পর্যন্ত দেখা এবং প্রমাণ করার জন্য যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে না এবং এই নির্বাচনেও সেটা নেই। রাতে ব্যালটে সিল মারা প্রসঙ্গ টেনে ড. কামাল বলেন, অনেকে আমাকে বলেছেন- সকাল থেকে ড. কামাল ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু ব্যালটে সিল মারার কাজ তো রাতেই হয়ে গেছে। নবনির্বাচিত সরকারকে বিভিন্ন দেশ সমর্থন দিচ্ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. কামাল হোসেন বলেন, একেকটা সরকার হয়তো সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু তাদের বক্তব্য যদি পড়েন তাহলে দেখবেন তাদের সমর্থনের মধ্যেও কিন্তু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, ক্ষমতাসীন সরকার, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আদালত কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। নির্বাচন কমিশন ৩০শে ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যাদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেছে তারা কেউই নির্বাচিত নন। যাদের গেজেট প্রকাশ করেছে তারা জনগণের প্রতিনিধি নন। আমরা ইতিপূর্বেই এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি। আমরা অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, ঐক্যবদ্ধ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবোই। তিনি বলেন, জনগণ ঐকবদ্ধ হয়েছিল বলেই ১৯৭১ সালে আমরা প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক হয়েছি। ৯০-এর স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছি। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন, কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুনিশ্চিত হবে। লিখিত বক্তব্যে তিনি নির্বাচনের দিন সারা দেশে ভোটের অনিয়মসহ বিভিন্ন তথ্যের সারাংশ তুলে ধরেন। একই সঙ্গে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মুকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মফিজুল ইসলাম কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমি মনে করি এই দুইজনের শপথ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার দিকেই আমরা অগ্রসর হবো। আমার ব্যক্তিগত মত হলো ইতিবাচকভাবেই আমরা চিন্তা করবো। গতকাল দলের বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে বলেন, অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা করা হবে।
ড. কামাল বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলাম যাতে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে পারি। আমরা যেহেতু ঐক্যের পক্ষে সব সময় রাজনীতি করে এসেছি। আমি মনে করি ঐক্যকে রাখার পক্ষেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। ঙ্গে শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্ট রাখার ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক থাকবো। ড. কামাল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আগামীতেও যদি ঐক্যফ্রন্ট কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে তাহলে নির্বাচনসহ অন্যান্য ব্যাপারে সরকারের উপরে চাপ থাকবে। তারা আইন মেনে দায়িত্ব পালন করবে। আমরা লক্ষ্য করেছি নির্বাচনের সময় অনেক ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আইন অমান্য করার চেষ্টা করা হয়, সেখানে আমরা নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ায় অনেক চাপ তৈরি হয়েছে। এই চাপ রাখার ব্যাপারে আমাদের ঐক্য কিছুটা কাজে লেগেছে। আশা করি আগামীতেও কাজে লাগবে। তিনি বলেন, বিএনপি’র সঙ্গে আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। জনমত গঠন করাও একটা আন্দোলন। এর জন্য আমরা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি। সেই আন্দোলন চলছে। আলোচনা করে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। এগুলোও আন্দোলনের অংশ। এটা অব্যাহত আছে। এই আন্দোলন করে যাচ্ছি, করে যাব। ভবিষ্যতে এই আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে। নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের মামলা করা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের দলিলপত্র অবশ্যই আছে। গুরুতর অভিযোগ গুলো নিয়ে আইনানুগ ব্যস্থা নেয়া যেতে পারে। সেটা আমরা বিবেচনা করছি।
সাধারণত রাজনৈতিক ব্যাপারে ঘন ঘন মামলা করা হয় না। মামলা করা উচিতও না। কিন্তু গুরুতর অভিযোগ থাকলে সেটা নিয়ে অবশ্যই আমরা বিবেচনা করবো। তিনি বলেন, বছরের প্রথম দিকে আমরা যে উদ্বেগ তুলে ধরছি আশা করছি গণমাধ্যম কর্মীরা আপনাদের লেখার মাধ্যমে সেই উদ্বেগ তুলে ধরবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র হয় না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের উপর যে আঘাত দেয়া হয়েছে আশা করি আপনারা সেটা তুলে ধরবেন। জনগণ ক্ষমতার মালিক। তাদের মালিকানা ভোগ করতে পারে যদি নিরপেক্ষভাবে তারা ভোট দিতে পারে। ভোট দেয়ার অধিকারে যদি আঘাত দেয়া হয়, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিধানগুলো যদি অমান্য করা হয়। তখন কিন্তু সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়। ড. কামাল বলেন, বর্তমান সরকার একের পর এক সংবিধানের বিধানগুলো ভঙ্গ করে যাচ্ছে। একে তো তারা নির্বাচিত সরকার না সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপর তারা দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে সংবিধান অমান্য করে। এসব কারণে গুরুতর সংকট তৈরি হওয়ার ব্যাপারে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জামায়াতকে ধানের শীষের প্রতীক দেয়া হবে জানলে আপনি ঐক্যফ্রন্টে যেতেন না বিদেশি গণমাধ্যমকে আপনি একথা বলেছেন। তাহলে এখন কি আপনি ঐক্যফ্রন্টে থাকবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টে নেই। তারা ২০ দলীয় জোটে আছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কারণ দু’টি আলাদা জোট। আপনারা একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। তাহলে নির্বাচনে কেন গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে গিয়েছি শেষ পর্যন্ত দেখা এবং প্রমাণ করার জন্য যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে না এবং এই নির্বাচনেও সেটা নেই। রাতে ব্যালটে সিল মারা প্রসঙ্গ টেনে ড. কামাল বলেন, অনেকে আমাকে বলেছেন- সকাল থেকে ড. কামাল ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু ব্যালটে সিল মারার কাজ তো রাতেই হয়ে গেছে। নবনির্বাচিত সরকারকে বিভিন্ন দেশ সমর্থন দিচ্ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. কামাল হোসেন বলেন, একেকটা সরকার হয়তো সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু তাদের বক্তব্য যদি পড়েন তাহলে দেখবেন তাদের সমর্থনের মধ্যেও কিন্তু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, ক্ষমতাসীন সরকার, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আদালত কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। নির্বাচন কমিশন ৩০শে ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যাদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেছে তারা কেউই নির্বাচিত নন। যাদের গেজেট প্রকাশ করেছে তারা জনগণের প্রতিনিধি নন। আমরা ইতিপূর্বেই এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি। আমরা অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, ঐক্যবদ্ধ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবোই। তিনি বলেন, জনগণ ঐকবদ্ধ হয়েছিল বলেই ১৯৭১ সালে আমরা প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক হয়েছি। ৯০-এর স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছি। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন, কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুনিশ্চিত হবে। লিখিত বক্তব্যে তিনি নির্বাচনের দিন সারা দেশে ভোটের অনিয়মসহ বিভিন্ন তথ্যের সারাংশ তুলে ধরেন। একই সঙ্গে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মুকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মফিজুল ইসলাম কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments