শেষবারের মতো প্রিয় শহরে সৈয়দ আশরাফ by আশরাফুল ইসলাম
প্রিয়
শহর কিশোরগঞ্জে তার আসার কথা ছিল বিজয়ীর বেশে । থাইল্যান্ডের হাসপাতাল
থেকে নিজের শহরে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আসছেন ঠিকই, তবে নিথর দেহটাকে
কফিনবন্দি করে।
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ দেশে আনার পর রোববার হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জে আনা হবে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে লাশ ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কাঁদছে কিশোরগঞ্জ, কাঁদছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের চরম বিরুদ্ধবাদীরাও বলছেন, এ এক অপূরণীয় মৃত্যু। রাজনীতির এই মহানায়কের প্রস্থানে কিশোরগঞ্জজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেবলই শোকগাথা আর অতল শ্রদ্ধা। মৃত্যুঞ্জয়ী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাস যে বাংলাদেশের হৃদয়ে!
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জে তার বিরোধী দলের লোকজনও অশ্রুসজল হচ্ছেন।
দলমত নির্বিশেষে কিশোরগঞ্জবাসী তাদের শোকগাথা প্রকাশ করছেন প্রিয় এই নেতার জন্য। এমন কেউ কিশোরগঞ্জে নেই যিনি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে বেদনাহত হননি। প্রিয় নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে করা হচ্ছে দোয়া। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ব্যাকুল হয়ে প্রতীক্ষায় আছেন অশ্রুসজল সর্বস্তরের জনতা।
কিশোরগঞ্জের অনেকের মতে, তিনি রাজনীতির এক অনন্য কবি। তার কবিতার কারুকার্যে মোহিত কিশোরগঞ্জবাসী।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও শুকনো রুটি খেয়েছেন, স্টেনগান হাতে মাটিতে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছেন। ভারতীয় জেনারেল উবান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তার বইয়ে যে সাদামাটা, শান্ত আর বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ যোদ্ধা আশরাফের কথা বলেছিলেন, তিনিই বাংলাদেশের সৈয়দ আশরাফ।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে এবার নিয়ে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকায় এবারের নির্বাচনে তিনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন নি। তার পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। সৈয়দ আশরাফ নির্বাচনী মাঠে অনুপস্থিত থাকলেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হন।
স্থানীয়রা বলছেন, মানুষের কাছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একটি পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে। তার উদ্যোগে কিশোরগঞ্জে সরকারি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শতকোটি টাকা ব্যয়ে নরসুন্দা নদী খনন, সংস্কারসহ নরসুন্দাকে ঘিরে লেকসিটি নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, মৎস্য ইনস্টিটিউট ও নার্সিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, গাইটালস্থ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন, কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়কসহ বেশকিছু বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা যাই থাকুক না কেন, প্রিয় নেতার প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মানুষ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সৈয়দা শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের ২৩শে অক্টোবর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর থেকেই অন্তরালে চলে যান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত বছরের ৩রা জুলাই তাকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৬ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩রা জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একমাত্র সন্তান সৈয়দা রিমা ইসলাম লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনতে ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ওই রাতেই থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হন। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আগে থেকেই সৈয়দ আশরাফের মরদেহের পাশে ছিলেন ছোট দুই বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও সৈয়দা রাফিয়া নূর রুপা এবং কন্যা সৈয়দা রিমা ইসলাম। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শনিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পৌঁছায়।
বিমানবন্দর থেকে লাশ নেয়া হয় বেইলী রোডের সরকারি বাসায়। সেখান থেকে রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে প্রথম জানাজা। এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হবে কিশোরগঞ্জে। সেখানে দুই দফা জানাজা শেষে বিকালে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সবার প্রিয় এ নেতার মরদেহ। গতকাল সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে তার লাশ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতারা।
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ দেশে আনার পর রোববার হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জে আনা হবে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে লাশ ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কাঁদছে কিশোরগঞ্জ, কাঁদছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের চরম বিরুদ্ধবাদীরাও বলছেন, এ এক অপূরণীয় মৃত্যু। রাজনীতির এই মহানায়কের প্রস্থানে কিশোরগঞ্জজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেবলই শোকগাথা আর অতল শ্রদ্ধা। মৃত্যুঞ্জয়ী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাস যে বাংলাদেশের হৃদয়ে!
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জে তার বিরোধী দলের লোকজনও অশ্রুসজল হচ্ছেন।
দলমত নির্বিশেষে কিশোরগঞ্জবাসী তাদের শোকগাথা প্রকাশ করছেন প্রিয় এই নেতার জন্য। এমন কেউ কিশোরগঞ্জে নেই যিনি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে বেদনাহত হননি। প্রিয় নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে করা হচ্ছে দোয়া। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ব্যাকুল হয়ে প্রতীক্ষায় আছেন অশ্রুসজল সর্বস্তরের জনতা।
কিশোরগঞ্জের অনেকের মতে, তিনি রাজনীতির এক অনন্য কবি। তার কবিতার কারুকার্যে মোহিত কিশোরগঞ্জবাসী।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও শুকনো রুটি খেয়েছেন, স্টেনগান হাতে মাটিতে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছেন। ভারতীয় জেনারেল উবান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তার বইয়ে যে সাদামাটা, শান্ত আর বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ যোদ্ধা আশরাফের কথা বলেছিলেন, তিনিই বাংলাদেশের সৈয়দ আশরাফ।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে এবার নিয়ে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকায় এবারের নির্বাচনে তিনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন নি। তার পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। সৈয়দ আশরাফ নির্বাচনী মাঠে অনুপস্থিত থাকলেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হন।
স্থানীয়রা বলছেন, মানুষের কাছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একটি পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে। তার উদ্যোগে কিশোরগঞ্জে সরকারি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শতকোটি টাকা ব্যয়ে নরসুন্দা নদী খনন, সংস্কারসহ নরসুন্দাকে ঘিরে লেকসিটি নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, মৎস্য ইনস্টিটিউট ও নার্সিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, গাইটালস্থ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন, কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়কসহ বেশকিছু বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা যাই থাকুক না কেন, প্রিয় নেতার প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মানুষ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সৈয়দা শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের ২৩শে অক্টোবর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর থেকেই অন্তরালে চলে যান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত বছরের ৩রা জুলাই তাকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৬ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩রা জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একমাত্র সন্তান সৈয়দা রিমা ইসলাম লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনতে ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ওই রাতেই থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হন। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আগে থেকেই সৈয়দ আশরাফের মরদেহের পাশে ছিলেন ছোট দুই বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও সৈয়দা রাফিয়া নূর রুপা এবং কন্যা সৈয়দা রিমা ইসলাম। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শনিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পৌঁছায়।
বিমানবন্দর থেকে লাশ নেয়া হয় বেইলী রোডের সরকারি বাসায়। সেখান থেকে রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে প্রথম জানাজা। এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হবে কিশোরগঞ্জে। সেখানে দুই দফা জানাজা শেষে বিকালে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সবার প্রিয় এ নেতার মরদেহ। গতকাল সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে তার লাশ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতারা।
No comments