সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন সোমবার, তিন মন্ত্রী প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেছেন
আগামী
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে সম্পাদক পরিষদ। আজ বেলা
১২ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সম্প্রতি পাস হওয়া বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারায় আপত্তি
জানিয়ে সংগঠনটি এই কর্মসূচি ডেকেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তিনজন মন্ত্রী ও
প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো
মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রহণযোগ্য
পরিবর্তন-পরিমার্জনের লক্ষ্যে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে প্রকাশ্যে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা এসবের কিছুই করেননি। তিনমন্ত্রীর
অনুরোধে এর আগের ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছিলো জানিয়ে
সম্পাদক পরিষদ আগামী ১৫ই অক্টোবর এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে, ৭ দফা দাবি তুলে ধরে সম্পাদক পরিষদ।
লিখিত বক্তব্যে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটন প্রতিহত করা এবং ডিজিটাল অঙ্গনে নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়নের চেষ্টা করতে গিয়ে এমন একটি আইন করা হয়েছে, যা সংবাদ মাধ্যমের কর্মকান্ডের ওপর নজরদারি, বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং আমাদের সংবিধানপ্রদত্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নাগরিকদের বাক্ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এই আইন পুলিশকে বাসাবাড়িতে প্রবেশ, অফিসে তল্লাশি, লোকজনের দেহ তল্লাশি আবেং কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, সার্ভার ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম সংক্রান্ত সবকিছু জব্দ করার ক্ষেত্রে সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েছে। পুলিশ এ আইনে দেয়া ক্ষমতাবলে পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহবশত: যেকোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। এক্ষেত্রে পুলিশের কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই। সম্পাদক পরিষদের মতে, এই আইনে অস্পষ্টতা আছে এবং এতে অনেক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে এবং সহজেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক পরিষদ তাদের সাত দফা দাবি পেশ করে। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- সাংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতা সুরক্ষার লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা অবশ্যই যথাযথভাবে সংশোধন করতে হবে। এসব সংশোধনী বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে আনতে হবে। পুলিশ বা অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে তাদেরকে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আটকে দেয়ার অনুমতি দেয়া যাবে, কিন্তু কোন কম্পিউটার ব্যবস্থা বন্ধ করার অনুমিত দেয়া যাবে না। তারা শুধু তখনই প্রকাশের বিষয়বস্তু আটকাতে পারবে, যখন সংশ্লিষ্ট সংবাদপ্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে কেন ইে বিষয়বস্তু আটকে দেয়া উচিত, সে বিষয়ে যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটন প্রতিহত করা এবং ডিজিটাল অঙ্গনে নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়নের চেষ্টা করতে গিয়ে এমন একটি আইন করা হয়েছে, যা সংবাদ মাধ্যমের কর্মকান্ডের ওপর নজরদারি, বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং আমাদের সংবিধানপ্রদত্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নাগরিকদের বাক্ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এই আইন পুলিশকে বাসাবাড়িতে প্রবেশ, অফিসে তল্লাশি, লোকজনের দেহ তল্লাশি আবেং কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, সার্ভার ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম সংক্রান্ত সবকিছু জব্দ করার ক্ষেত্রে সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েছে। পুলিশ এ আইনে দেয়া ক্ষমতাবলে পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহবশত: যেকোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। এক্ষেত্রে পুলিশের কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই। সম্পাদক পরিষদের মতে, এই আইনে অস্পষ্টতা আছে এবং এতে অনেক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে এবং সহজেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক পরিষদ তাদের সাত দফা দাবি পেশ করে। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- সাংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতা সুরক্ষার লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা অবশ্যই যথাযথভাবে সংশোধন করতে হবে। এসব সংশোধনী বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে আনতে হবে। পুলিশ বা অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে তাদেরকে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আটকে দেয়ার অনুমতি দেয়া যাবে, কিন্তু কোন কম্পিউটার ব্যবস্থা বন্ধ করার অনুমিত দেয়া যাবে না। তারা শুধু তখনই প্রকাশের বিষয়বস্তু আটকাতে পারবে, যখন সংশ্লিষ্ট সংবাদপ্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে কেন ইে বিষয়বস্তু আটকে দেয়া উচিত, সে বিষয়ে যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে।
No comments