হার্ট-অ্যাটাকের ‘ঝুঁকি কমাতে পারে ব্যাথার ওষুধ’: গবেষণা
হার্ট
অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে প্রদাহ উপশমের ওষুধ। ১০হাজার রোগীর
ওপর চালানো এক গবেষণায় এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। আর্থারাইটিস রোগের চিকিৎসায়
ব্যবহৃত ব্যাথার ওষুধ ‘ক্যানাকিনুমাব’ নিয়ে গবেষণাটি চালনো হয়। এতে দেখা
যায় একবার হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগীদের মধ্যে পূণরায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার
ঝুঁকি কমেছে ১৫ শতাংশ। তবে, অনেকেই এই ওষুধটির ফলপ্রসূতা,
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ওষুধ সেবন করা রোগীদের
মধ্যে প্রাণঘাতী সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়তে দেখা গেছে।
তবে, বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন (বিএইচএফ) বলছে, তারপরও নতুন এই পরীক্ষাটি অনেক জীবন বাঁচাতে পারে।
নতুন গবেষণাটি নিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগীদের পূনরায় অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করার জন্য কলোস্টেরল মাত্রা কমানোর ওষুধ স্ট্যাটিন এবং রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ (ব্লাড থিনিং ড্রাগস) নিয়মিত দেয়া হয়। এই গবেষণায় ১০ হাজার রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয় যাদের অতীতে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তাদেরকে তিন মাসে একবার প্রদাহ উপশমের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। গবেষণার আওতাভূক্ত রোগীদের নেয়া হয় প্রায় ৪০ টি বিভিন্ন দেশ থেকে। সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত তাদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গবেষকরা বলছেন, যেসব রোগীরা শুধু স্ট্যাটিন নিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমতে দেখা গেছে। তবে, ব্যাথার ওষুধ প্রয়োগের পর অনেকের প্রানঘাতী সংক্রমনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে দেখা গেছে।
স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলোজি’র এক সভায় গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণায় ব্যবহৃত ‘ক্যানাকিনুমাব’ নামের ব্যাথার ওষুধটি প্রস্তুত করেছে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস। রিউমেটয়েড আর্থারাইটিসের চিকিৎসায় এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, গবেষণাটিতে অর্থায়ন করেছে নোভার্টিস।
হার্ট অ্যাটাক এমন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে হার্টে রক্তের প্রবাহ হঠাৎ বাধাগ্রস্থ হয়। কিছু রক্তনালীর প্রদাহের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাব্য যোগসূত্র নিয়ে অতীতে কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, গবেষকরা বলছেন, এমন যোগসূত্র আগে কখনও মানবদেহের ক্ষেত্রে প্রমাণ করা সম্ভব হয় নি। সাম্প্রতিক গবেষণাটির শীর্ষ রচয়িতা এবং হার্ভাড মেডিকেল স্কুলের অঙ্গীভূত ব্রিগাম এন্ড ও উইমেন্স হাসপাতালের ড. পল রিডকার বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এই গবেষণাটি মাইলফলক’ হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা সুনির্দিষ্টভাবে দেখাতে সক্ষম হয়েছি যে, কলেস্টরেল ছাড়াই প্রদাহ কমিয়ে আনলে কার্ডিওভাস্কিউলার ঝুকি কমে যায়। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকবে।’ ড. পল বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় আমি হৃদবিজ্ঞান প্রতিরোধের তিনটি বড় যুগ দেখার সুযোগ পেয়েছি। প্রথম যুগে আমরা শরীরচর্চা করা, ধূমপান বন্ধ করা এবং খ্যাদাভ্যাসের গুরুত্ব শনাক্ত করেছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা কলেস্টরোল কমানোর ওষুধ যেমন স্ট্যাটিন্সেরর ব্যাপক উপকারীতা দেখেছিল। এখন আমরা তৃতীয় আরেকটি যুগের প্রবেশপথে। দিস ইজ বেরি এক্সাইটিং।’
গবেষণা থেকে আশাব্যঞ্জক তথ্যপ্রমাণ মিলেছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইন্সটিটিউটের পরিচালক গ্যারি গিবন্স আরো গবেষণা ও অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
তবে, বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন (বিএইচএফ) বলছে, তারপরও নতুন এই পরীক্ষাটি অনেক জীবন বাঁচাতে পারে।
নতুন গবেষণাটি নিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগীদের পূনরায় অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করার জন্য কলোস্টেরল মাত্রা কমানোর ওষুধ স্ট্যাটিন এবং রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ (ব্লাড থিনিং ড্রাগস) নিয়মিত দেয়া হয়। এই গবেষণায় ১০ হাজার রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয় যাদের অতীতে একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তাদেরকে তিন মাসে একবার প্রদাহ উপশমের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। গবেষণার আওতাভূক্ত রোগীদের নেয়া হয় প্রায় ৪০ টি বিভিন্ন দেশ থেকে। সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত তাদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গবেষকরা বলছেন, যেসব রোগীরা শুধু স্ট্যাটিন নিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমতে দেখা গেছে। তবে, ব্যাথার ওষুধ প্রয়োগের পর অনেকের প্রানঘাতী সংক্রমনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে দেখা গেছে।
স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলোজি’র এক সভায় গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণায় ব্যবহৃত ‘ক্যানাকিনুমাব’ নামের ব্যাথার ওষুধটি প্রস্তুত করেছে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস। রিউমেটয়েড আর্থারাইটিসের চিকিৎসায় এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, গবেষণাটিতে অর্থায়ন করেছে নোভার্টিস।
হার্ট অ্যাটাক এমন একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে হার্টে রক্তের প্রবাহ হঠাৎ বাধাগ্রস্থ হয়। কিছু রক্তনালীর প্রদাহের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাব্য যোগসূত্র নিয়ে অতীতে কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, গবেষকরা বলছেন, এমন যোগসূত্র আগে কখনও মানবদেহের ক্ষেত্রে প্রমাণ করা সম্ভব হয় নি। সাম্প্রতিক গবেষণাটির শীর্ষ রচয়িতা এবং হার্ভাড মেডিকেল স্কুলের অঙ্গীভূত ব্রিগাম এন্ড ও উইমেন্স হাসপাতালের ড. পল রিডকার বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এই গবেষণাটি মাইলফলক’ হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা সুনির্দিষ্টভাবে দেখাতে সক্ষম হয়েছি যে, কলেস্টরেল ছাড়াই প্রদাহ কমিয়ে আনলে কার্ডিওভাস্কিউলার ঝুকি কমে যায়। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকবে।’ ড. পল বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় আমি হৃদবিজ্ঞান প্রতিরোধের তিনটি বড় যুগ দেখার সুযোগ পেয়েছি। প্রথম যুগে আমরা শরীরচর্চা করা, ধূমপান বন্ধ করা এবং খ্যাদাভ্যাসের গুরুত্ব শনাক্ত করেছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা কলেস্টরোল কমানোর ওষুধ যেমন স্ট্যাটিন্সেরর ব্যাপক উপকারীতা দেখেছিল। এখন আমরা তৃতীয় আরেকটি যুগের প্রবেশপথে। দিস ইজ বেরি এক্সাইটিং।’
গবেষণা থেকে আশাব্যঞ্জক তথ্যপ্রমাণ মিলেছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইন্সটিটিউটের পরিচালক গ্যারি গিবন্স আরো গবেষণা ও অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
No comments